ছবি : ভোরের আকাশ
বাগেরহাট সদর উপজেলার রাহাতের মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ আট জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২৮ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বাগেরহাট সদর আর্মি ক্যাম্পের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় একটি বাড়ি থেকে আটজনকে আটক করে সেনাবাহিনী।
আটককৃতদের কাছ থেকে ৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ গ্রাম গাঁজা, ৫টি এক্সপেন্ডেবল ব্যাটন, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি ছুরি, ১টি রামদা, ২টি ককটেল, ৪টি ভুয়া আইডি কার্ড, ৩টি খালি পিস্তলের কার্তুজ, ১২টি মোবাইল ফোন এবং ৪টি লাইটার উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে এসকে সুমনের নেতৃত্বে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। আটককৃত ব্যাক্তিরা হচ্ছে, জেলা বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার বডিগার্ড হিসেবে পরিচিত বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমারতা ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের এস কে আলমের ছেলে এসকে সুমন, কচুয়া উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের পুত্র মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলার হুমায়ুন কোবির মুরাদের ছেলে মোঃ হৃদয় মল্লিক, নাজিরপুর থানার রঘুনাথপুর গ্রামের মাহাবুব শেখের ছেলে মোঃ জাকারিয়া হোসেন, কচুয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের শাহজান শেখের ছেলে মোহাম্মদ অভি, সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের হাসেম আলী শেখ এর ছেলে শেখ মুফাসসিল হোসেন, কচুয়া উপজেলার বারইখালী গ্রামের চিত্তরঞ্জন সাহার ছেলে সবুজ কুমার সাহা ও সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর মেয়ে রিক্তা আক্তার।
আটককৃতদের এবং উদ্ধারকৃত সকল আলামত বাগেরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এসকে সুমনসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
‘জুলাই পূর্ণজাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫’ উপলক্ষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উদ্যোগে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার চর-মাদ্রাজ ইউনিয়নেরর ২০৯ নং পূর্ব মিয়াজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী ক্যাম্পে এ সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে নৌবাহিনীর একটি প্রশিক্ষিত চিকিৎসক দল।দিনব্যাপী এ আয়োজনে চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী, পুরুষ, শিশু ও প্রবীণসহ প্রায় ৪৩০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন। চিকিৎসাসেবার মধ্যে ছিল সাধারণ চিকিৎসা ছাড়াও চক্ষু, চর্ম, হৃদরোগ, শিশু ও ডায়াবেটিস রোগের বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এছাড়া অনেক রোগীর মাঝে প্রয়োজনীয় ওষুধও বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন রোগী জানান, ‘অর্থের অভাবে অনেক সময় চিকিৎসকের কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না। এখানে এসে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়ে আমরা দারুণভাবে উপকৃত হয়েছি।’ তাঁরা নৌবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।চিকিৎসা কার্যক্রমের সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।২০৯ নং পূর্ব মিয়াজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াজেদ বলেন, ‘নৌবাহিনীর এ ধরনের উদ্যোগ শুধু চিকিৎসা নয়, এটি একটি মানবিক প্রয়াস—যা মানুষের মনে আস্থা ও ভালোবাসা তৈরি করে।চিকিৎসাসেবা শেষে স্থানীয়দের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নৌবাহিনী একটি পরামর্শমূলক সেশনও পরিচালনা করে। এতে অংশগ্রহণকারীরা স্বাস্থ্যবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা পান।উল্লেখ্য, ‘জুলাই পূর্ণজাগরণ’ উপলক্ষে বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে জনসেবামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। চরফ্যাশনে এই চিকিৎসা সেবা তারই অংশ।ভোরের আকাশ/জাআ
পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি একেএমএ আউয়াল এর স্ত্রীকে জাল সনদে একটি কলেজে প্রভাষক পদে চাকুরী দেওয়ার মামলায় ওই কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে জেলা জজ মো. মজিবুর রহমান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।আসামী পক্ষের আইনজীবী আহসানুল কবীর বাদল ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, জাল সনদ দিয়ে ওই কলেজে প্রভাষক পদে চাকুরি বাগিয়ে নেওয়া ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল, তার স্ত্রী লায়লা পারভীন ও কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদার এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।দুদক পিরোজপুরের উপসহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট এর দায়ের করা মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা সদরে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজটিতে ২০১৩ সালে পাস কোর্স চালু হয়। কলেজটি এমপিওভুক্ত না হলেও ২০১৮ সালে সরকারীকরণ করা হয়। আসামী লায়লা পারভীনের স্বামী গভর্ণিং বডির সভাপতি এবং লায়লা পারভীন নিজে দাতা সদস্য হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদপত্র ব্যবহার করে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে নিয়োগ লাভ করেন।স্বামী আউয়ালের প্রভাব এবং কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদের সহযোগিতায় ভূয়াসনদ পত্র দিয়ে লায়লা পারভীন কলেজটিতে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করে নাজিরপুর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ৮ আগস্ট ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। এ ঘটনায় দুদক ওই মামলা করে। জালসনদ সৃজন, চাকুরী দেওয়া ও সরকারী টাকা আত্মসাতে সহযোগিতা করায় লায়লা পারভীনের স্বামী একেএমএ আউয়াল ও ওই কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারকে ও আসামী করা হয়। অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ হাই কোর্ট থেকে শর্ত সাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিলে তার মেয়াদ সোমবার শেষ হলে শর্তানুযায়ী সে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।ভোরের আকাশ/জাআ
মৃত্যুর ১৪ বছর পর পিরোজপুরের কাউখালীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম এবং গুপ্ত হত্যার শিকার ব্যবসায়ী নাজমুল হক মুরাদের সঠিক পরিচয় নির্ধারণ করতে কবর থেকে দ্বিতীয়বার লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে পিরোজপুরের কাউখালীর পার সাতুরিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন গুম কমিশনের সদস্য মানবাধিকার কর্মী নূর খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বজল মোল্লা।ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির কার্যালয় থেকে অনুরোধের প্রেক্ষিতে পিরোজপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান গত ১৫ জুলাই (মঙ্গলবার) এ আদেশ দেন।জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ পালনে কাউখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত দেবনাথ, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইসতিয়াক আহমেদ, কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান, মামলার বাদি মুরাদের ভাই মিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করেন।জানা গেছে, একটি হত্যা মামলার আসামি কাউখালীর ব্যবসায়ী মুরাদ, রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠী গ্রামের মিজান জোমাদ্দার ও ফোরকানকে ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার উত্তরা থেকে র্যাব পরিচয়ে ধরে নিয়ে যায়। এরপরে তাদের কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার। ১০ দিন পরে ২৭ এপ্রিল ঢাকার তুরাগ তীরে বালুর নিচ থেকে বস্তাবন্দি তিন যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পরে তিন জনের পরিবার তাদের লাশ শনাক্ত করে প্রত্যেকের বাড়িতে দাফন করে।এদিকে, তারা কাউখালীতে আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন খান মাসুদ হত্যা মামলায় গুপ্ত হত্যায় নিহত দু'জন আসামি থাকায় মামলার বাদি নিহত দুই আসামির ডিএনএ টেস্টের আবেদন করলে, স্বরাষ্ট্র মস্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকার সিএমএম আদালতের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট এ কে এম এনামুল হক ২০১১ সালের জুন মাসে মুরাদ ও মিজানের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন।২০১১ সালের ৪ জুলাই কাউখালীর পার সাতুরিয়া গ্রামে নাজমুল হক মুরাদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে লাশের দাতসহ বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়। পরে ডিএনএ টেস্টে কাউখালীতে দাফন করা লাশ মুরাদের নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তৎকালীন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি আ. রাজ্জাক। মামলায় মিজান ও মুরাদকে জীবিত দেখিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ।কিন্তু দীর্ঘ ১৪ বছর পর ছোট ভাই নাজমুল হক মুরাদের সঠিক সন্ধান এবং তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি নিকট আবেদন করেন তার মেঝো ভাই মিরাজুল হক লিপু। পরে চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল গুম সংক্রান্ত কমিশনের দু'জন সদস্য কাউখালীতে আসেন। তারা পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘটনার বিবরণ শুনে মুরাদের লাশ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দেন।ভোরের আকাশ/জাআ
ঠাকুরগাঁওয়ে হারভেস্টপ্লাসের বাস্তবায়নে রিয়েক্টস-ইন প্রজেক্টর আওতায় জিংক গম ও জিংক ধান শীর্ষক একটি "স্কুল সেনসিটাইজেশন প্রোগ্রাম" অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ইএসডিও'র আয়োজনে ও পরিচালনায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের 'গড়েয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে' স্কুল সেনসিটাইজেশন প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গড়েয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জিয়াউর রহমান। এছাড়াও আরো বক্তব্য দেন, ইএসডিও'র রিয়েক্টস- ইন প্রজেক্টের প্রজেক্ট ফোকাল কৃষিবিদ মোঃ আশরাফুল আলম, পিসি মোঃ কামরুল ইসলাম ও স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।এসময় অনুষ্ঠানে ১০০ জন ছাত্রী ও ১১ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ