আখাউড়ায় ট্রেনের টিকেটসহ কালোবাজারি আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ট্রেনের টিকিটসহ এক কালোবাজারিকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে উপজেলার আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি হলেন- উপজেলার রামধননগর গ্রামের মো. শাহ আলম (৪৫)। তার কাছ থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের ৬টি টিকিট পাওয়া যায়। ৬টি টিকিটে মোট ১৬টি আসন রয়েছে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
যেনতেন একটা নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের জনগণের উপরে আবার জুলুমতন্ত্র চালু হবে- সেটা হতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১ম বার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর সিটি কলেজের অডিটোরিয়ামে বরিশাল মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।অ্যাডভোকেট হেলাল আরো বলেন, গত সতের বছর আওয়ামী লীগ বাংলাদেশর জনগণের উপরে চরম জুলুম নির্যাতন করেছে। আমরা একটা প্রতিবাদ মিছিল করার সুজোগ পাইনি, একটা মিছিল নিয়ে নামার সাথে সাথে পুলিশ দমন-পীড়ন শুরু করে দিত। এ দেশের জনগণ ভয়কে জয় করে রাস্তায় নেমে আসার ফলেই ইতিহাসের নিকৃষ্টতর খুনি শেখ হাসিনা তল্পিতল্পা নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ পরিবারের জন্য জামায়াতে ইসলামী আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে এবং আহত পঙ্গুত্ববরণকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে।মহানগর আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাহমুদ হোসাইন, মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান, শামীম কবির জামায়াত নেতা সৈয়দ গোলাম গোফরান, হাফেজ জাবের হাসান, জাহাঙ্গীর কবীরসহ জামায়াত নেতৃবৃন্দ।ভোরের আকাশ/আজাসা
মানবিকতা, দায়িত্ববোধ আর দেশের প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ ছিলেন পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) শহীদ রবিউল করিম কামরুল। গুলশানের হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারালেও তিনি বেঁচে আছেন তার কাজের মধ্য দিয়ে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান ‘ব্লুমস’ তার সেই মানবিক স্বপ্নের প্রতীক।মঙ্গলবার (১ জুলাই) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মানিকগঞ্জে পালিত হলো তার নবম শাহাদত বার্ষিকী।সকালে শহীদ রবিউলের হাতে গড়া নজরুল বিদ্যাসিঁড়ি স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোকর্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের কাটিগ্রাম কবরস্থানে গিয়ে শেষ হয়, যেখানে শহীদ রবিউলের সমাধিতে তার পরিবার ও ব্লুমসের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।পরে ব্লুমস প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় শহীদ রবিউলের আত্মত্যাগ ও মানবিক কর্মকাণ্ডের কথা স্মরণ করেন বক্তারা।সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্লুমসের সভাপতি জি আর শওকত আলী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। এতে বক্তব্য দেন শহীদের স্ত্রী উম্মে সালমা, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, শহীদ রবিউলের ছোট ভাই শামসুজ্জামান শামস, সাংবাদিক আব্দুল মোমিন, হুমায়ুন কবির, নিসচার ধামরাই শাখার সভাপতি মো. নাহিদ মিয়া এবং স্থানীয় সমাজকর্মী শরিফুল ইসলাম নীরু।শহীদ রবিউলের সহধর্মিণী উম্মে সালমা বলেন, “রবিউল শুধুই একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন না। তিনি একজন মানবিক মানুষ ছিলেন। সমাজের অবহেলিত শিশুদের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন বলেই ব্লুমস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।”বক্তারা বলেন, শহীদ রবিউলের আত্মত্যাগ কেবল দেশরক্ষার জন্যই নয়, তার সমাজ সচেতনতা, বিশেষ শিশুদের জন্য ভালোবাসা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের সাহসিকতাও অনুপ্রেরণার।উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন এএসপি রবিউল করিম। তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রামের সন্তান। তার হাতে গড়া ‘ব্লুমস’ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য একটি আদর্শ বিদ্যাপিঠে পরিণত হয়েছে।বক্তারা শহীদ রবিউলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/আজাসা
বাগেরহাট-চিতলমারী-টুঙ্গিপাড়া-ঢাকা মহাসড়কসহ অন্যান্য সড়কে ঝুঁকিপূর্ণভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বাঁশ কেনাবেচা হচ্ছে। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও যাত্রীদের চলাফেরা করতে হচ্ছে। এ ছাড়া সড়কজুড়ে বাঁশ ওঠানো-নামানোয় যানজট হচ্ছে। ফলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদের যাতায়াত বিঘ্নিত হচ্ছে।মঙ্গলবার উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের দুর্গাপুর, ব্রহ্মগাতী ও সন্তোষপুর ইউনিয়নের দড়িউমাজুড়ি এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, সড়ক ও তার আশপাশে অসংখ্য ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা তাঁদের বাঁশ ছোট-বড় যানবাহনে ওঠানো-নামানোর কাজ করছেন। এতে সড়কে তৈরি হয়েছে যানজট।জানা যায়, চিতলমারীর সন্তোষপুর ও চরবানিয়ারী ইউনিয়নের সড়কের পাশে উপজেলায় রয়েছে প্রধান বাঁশের আড়তগুলো। চিতলমারী-খাসেরহাট-কালীগঞ্জ সড়কের দড়িউমাজুড়ি গ্রামের রাস্তায় রয়েছে অসংখ্য বাঁশের পসরা।এ ছাড়া খাসেরহাট, নালুয়া, কালীগঞ্জ বাজারেও বাঁশের আড়ত রয়েছে। আড়তগুলো থেকে ভ্যান, নছিমনে করে বাঁশ আনা-নেওয়ার সময় নানা দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রায় ১০ কিলোমিটার পেরিয়ে উপজেলা দোলুয়াগুনি গ্রাম থেকে দুর্গাপুর গ্রামে বাঁশ কিনতে এসেছেন চাষি শংকর মণ্ডল ও উত্তম বালা। তাঁরা জানান, তাঁদের বাড়ির কাছে নালুয়া এলাকার আড়ত থেকে বাঁশ কিনতে গেলে অতিরিক্ত খাজনা দিতে হয়।তাই যাতায়াতের ঝুঁকি থাকলেও এখান থেকে ভালো দরে বাঁশ কিনেছেন। এখানে সব খাজনা আড়তদারের।এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস পাল বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।ভোরের আকাশ/আজাসা
টঙ্গীতে বাড়ি দখলে নিতে গিয়ে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের নেতা মেজবাহ উদ্দিন সরকার রুবেল গ্রেপ্তার করে পুলিশ।তাঁর বিরুদ্ধে গাজীপুর ও ঢাকার বিভিন্ন থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার দুপুরে টঙ্গীর আরিচপুরে জমি ও বসতবাড়ি দখল করতে যান রুবেল ও তাঁর সমর্থকেরা। এ সময় সংঘর্ষ বাঁধে। তখন রুবেলকে একটি কক্ষে আটক ও তাঁর সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে—এমন তথ্য জানিয়ে জাতীয় জরুরি পরিষেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল জমি ও বাড়ি দখলের ঘটনাটির দায় স্বীকার করেন।এদিকে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত তিনজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় তাঁকে (রুবেল) গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে বিকেল ৫ টার দিকে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তাঁকে হস্তান্তর করা হয়েছে।মহানগর দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার অশোক কুমার পাল জানান, রুবেলকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা