মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫ ০৮:০৭ পিএম
বিশেষ শিশুদের পাশে দাঁড়ানো পুলিশ কর্মকর্তা রবিউলের প্রতি শ্রদ্ধা
মানবিকতা, দায়িত্ববোধ আর দেশের প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ ছিলেন পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) শহীদ রবিউল করিম কামরুল। গুলশানের হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারালেও তিনি বেঁচে আছেন তার কাজের মধ্য দিয়ে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান ‘ব্লুমস’ তার সেই মানবিক স্বপ্নের প্রতীক।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মানিকগঞ্জে পালিত হলো তার নবম শাহাদত বার্ষিকী।
সকালে শহীদ রবিউলের হাতে গড়া নজরুল বিদ্যাসিঁড়ি স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোকর্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের কাটিগ্রাম কবরস্থানে গিয়ে শেষ হয়, যেখানে শহীদ রবিউলের সমাধিতে তার পরিবার ও ব্লুমসের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পরে ব্লুমস প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় শহীদ রবিউলের আত্মত্যাগ ও মানবিক কর্মকাণ্ডের কথা স্মরণ করেন বক্তারা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্লুমসের সভাপতি জি আর শওকত আলী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। এতে বক্তব্য দেন শহীদের স্ত্রী উম্মে সালমা, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, শহীদ রবিউলের ছোট ভাই শামসুজ্জামান শামস, সাংবাদিক আব্দুল মোমিন, হুমায়ুন কবির, নিসচার ধামরাই শাখার সভাপতি মো. নাহিদ মিয়া এবং স্থানীয় সমাজকর্মী শরিফুল ইসলাম নীরু।
শহীদ রবিউলের সহধর্মিণী উম্মে সালমা বলেন, “রবিউল শুধুই একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন না। তিনি একজন মানবিক মানুষ ছিলেন। সমাজের অবহেলিত শিশুদের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন বলেই ব্লুমস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।”
বক্তারা বলেন, শহীদ রবিউলের আত্মত্যাগ কেবল দেশরক্ষার জন্যই নয়, তার সমাজ সচেতনতা, বিশেষ শিশুদের জন্য ভালোবাসা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের সাহসিকতাও অনুপ্রেরণার।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন এএসপি রবিউল করিম। তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রামের সন্তান। তার হাতে গড়া ‘ব্লুমস’ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য একটি আদর্শ বিদ্যাপিঠে পরিণত হয়েছে।
বক্তারা শহীদ রবিউলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানান।
ভোরের আকাশ/আজাসা