সংগৃহীত ছবি
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ-এর আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত একে-৪৭সহ বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল পৌনে ১০টার দিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাঙামাটির বাঘাইহাটের দুর্গম পাহাড়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান এবং গুলি বিনিময় হয়েছে। অভিযানে এ পর্যন্ত একে-৪৭ সহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
আইএসপিআর আরও জানায়, অপারেশন চলমান আছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
এর আগে, গত ২৬ জুলাই খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম নাড়াইছড়িতে ইউপিডিএফ-জেএসএস সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে চারজনের মৃত্যু হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
মাত্র ২০ হাজার টাকার একটি মোবাইল চাওয়াকে কেন্দ্র করে দাদির প্রাণ কেড়ে নিল তারই নাতি। পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরামপুর গ্রামে এ নৃশংস ঘটনা ঘটেছে।নিহত রোকেয়া বেগম (৭৫) ছিলেন এলাকায় শ্রদ্ধেয় একজন প্রবীণ নাগরিক। তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলাকেটে হত্যা করে তার নাতি মোরসালিন, যিনি মাদকাসক্ত এবং শহরের একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন।পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন ২৪ জুলাই গভীর রাতে রেস্টুরেন্ট থেকে কাউকে না জানিয়ে গ্রামে চলে আসে মোরসালিন। রাতের আঁধারে জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে নিজের দাদিকে গলাকেটে হত্যা করে সে। এরপর দ্রুত ফিরে যায় শহরে, যেন কিছুই ঘটেনি।রোকেয়া বেগমের ছেলে লিটন হালদার প্রথমে প্রতিবেশী এক পরিবারের সঙ্গে জমিজমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যার অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে তদন্তে বেরিয়ে আসে এক ভয়াবহ সত্য এই খুনের পেছনে কোনো শত্রু নয়, দায়ী ছিল রক্তের সম্পর্কেই লুকিয়ে থাকা এক বিকৃত মন।গ্রেপ্তারের পর মোরসালিন স্বীকার করে ২০ হাজার টাকার একটি মোবাইল কেনার জন্য দাদির কাছে চেয়েছিল সে। দাদি রাজি না হওয়ায় আগেই সে হত্যার পরিকল্পনা করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ তার কাছ থেকে গাঁজাও উদ্ধার করে।পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো: রবিউল ইসলাম জানান, এটি অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার, পরিকল্পিত এবং মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড। মোরসালিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে এবং তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। অসুস্থ বাবার মৃত্যুর খবরে গভীর শোক সহ্য করতে না পেরে চার ঘণ্টার ব্যবধানে মৃত্যু হলো ছেলেরও। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এক পরিবারের দুই প্রজন্মের এমন বিদায়ে শোকের ঘন ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকাজুড়ে।সোমবার ভোররাতে প্রথমে মারা যান ৬০ বছর বয়সী মো. আবুল হাসেম খান। তার মৃত্যুর চার ঘণ্টা পর সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তার বড় ছেলে মো. সোলেমান খান (৩০)। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয় তাদের।জানা যায়, সোলেমান খান মতলব দক্ষিণ উপজেলার গাউছিয়া মার্কেটে একটি দরজির দোকান চালিয়ে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তারই আয়ে চলত পরিবারের ভরণপোষণ। গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তিনি ভর্তি হন চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে। একই হাসপাতালে রোববার সন্ধ্যায় ভর্তি হন তার বৃদ্ধ বাবা আবুল হাসেম খান।চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে মারা যান বাবা আবুল হাসেম। বাবার মৃত্যুর খবর হাসপাতালে শুয়ে থাকা ছেলেকে জানানো হলে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। কিছুক্ষণ পরই তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে এবং সকাল ৯টায় চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।সোলেমানের ছোট ভাই মো. শাহাজালাল খান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, "অল্প সময়েই বাবা ও বড় ভাইকে হারালাম। এই শোক বয়ে বেড়ানোর মতো শক্তি আমাদের নেই। সংসার চলতো ভাইয়ের আয়ে, এখন পুরো পরিবার দিশেহারা হয়ে গেছে।"মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেহ আহাম্মদ বলেন, "দুজনের মৃত্যুই অসুস্থতাজনিত। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।"ভোরের আকাশ/জাআ
সুনামগঞ্জে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে আউটসোর্সিং লোকবল নিয়োগে ঘুষ, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে।সোমবার (২৮ জুলাই) সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এই মামলা দায়ের করেন মো. তৌহিদ মিয়া নামের হাসপাতালে সাবেক এক ওয়ার্ডবয়।মামলার আসামিরা হলেন, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান স্বপন, সুনামগঞ্জ পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান, হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান জুবায়ের আহমদ, হেলথ এডুকেটর নয়ন দাস, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম এবং গাউসিয়া ট্রেডার্স সিকিউরিটি ক্লিনিং এন্ড লজিস্টিক সার্ভিসের এমডি এ কে আজাদ।বাদী পক্ষের আইনজীবী নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট আমিরুল হক জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় প্রভাবশালী মিলে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে ৬৪ জন আউটসোর্সিং লোকবল নিয়োগ দেন। এতে বঞ্চিত হন হাসপাতালে দীর্ঘদিনের কর্মরত দক্ষ কর্মচারীরা।এছাড়াও হাসপাতালের কতিপয় কর্মচারির যোগসাজশে মেডিসিন ক্রয়ে অনিয়ম দুর্নীতি, পেশাগত দায়িত্ব পালনে হয়রানিসহ সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের দৃষ্টিগোচর করে সোমবার স্পেশাল জজ হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।দীর্ঘ শুনানী শেষে অভিযোগটি আমালে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রাখেন বিচারক।ভুক্তভোগী তৌহিদ মিয়া বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে আউটসোসিং প্রক্রিয়ায় হাসপাতালে কর্মরত ছিলাম। হাসপাতালে থাকায় তত্ত্বাবধায়কের অনেক দুনীতি অনিয়ম অবলোকন করেছি। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আউটসোসিং নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি জনপ্রতি ৮০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন। আমাদের কাছে প্রমান রয়েছে। যারা তার অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তিনি তাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছেন। হাসপাতালের কিছু কর্মচারীর যোগসাজশে তত্ত্বাবধায়ক বিভিন্ন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, মেডিসিন ক্রয়ে দুর্নীতি করে সরকারের কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আমি আমার দায়বদ্ধতা থেকে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আশা করছি ন্যায় বিচার পাবো।বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের দুর্নীতির ফিরিস্তি সকলের জানা। কিছুদিন পূর্বে দুদক এসে দুর্নীতির অনেক সত্যতা পেয়েছে। এতো কিছুর পরেও তত্ত্বাবধায়ক অনিয়ম দুর্নীতিতে লিপ্ত রয়েছেন। আমিসহ অনেক সিনিয়র আইনজীবী বিষয়টি আদালতের অদৃষ্টিগোচর করেছি। আদালত আমাদের কথা মনোযোগ সহকারে শুনেছেন।ভোরের আকাশ/জাআ
মাদারীপুরের শিবচরে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস স্কিম এর আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে (২০২২ ও ২০২৩) সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার ও সার্টিফিকেট বিতরণ।শিবচর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা অফিসারের আয়োজন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভীন খানম।মাদারীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মো: ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও শিবচর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আসাদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজৈর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুল হক, কালকিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আশরাফুজ্জামান ও শিবচর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদ হোসেন।অনুষ্ঠানে ২০২২ ও ২০২৩ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে মেধাবী মোট ৪০ জন শিক্ষার্থীকে কলেজ পর্যায়ে ২৫ হাজার ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এমন উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবে এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফলের দিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি, তারা দেশের গর্ব হয়ে উঠবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন অতিথিরা।ভোরের আকাশ/জাআ