ঢাকাসহ সারা দেশে গত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ৪৪ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেল ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশব্যাপী পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। যৌথ অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী, অবৈধ অস্ত্রধারী, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, অনলাইন জুয়াড়ি, মাদকাসক্তসহ মোট ৪৪ জন অপরাধীকে হাতেনাতে আটক করা হয়।আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৭টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১টি ককটেল, ১৩২টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ ও সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য, ককটেল তৈরির রাসায়নিক, মোটরসাইকেল, পুলিশের পোশাক, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। আটক ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ছাড়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৫৫ পিএম
তিস্তা নদী থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের অভিযান
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিস্তা ব্যারেজের উজানে উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ও টেপাখড়িবাড়ি এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযানকালে নদী থেকে পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত ১৩টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা বিনষ্ট করা হয় এবং বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়।এই অভিযান পরিচালনা করেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরানুজ্জামান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রওশন কবির। এতে সহযোগিতা করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর ২৬ সদস্য এবং পুলিশের একটি বিশেষায়িত দল।স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছিল স্থানীয় একাধিক চক্র। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছিল এবং পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছিল। পাশাপাশি নদী ভাঙনও আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছিল।এদিকে, প্রশাসনের অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, অবৈধভাবে নদী কেটে পাথর উত্তোলনের কারণে প্রতিবছরই ভাঙনে শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। তাই এ ধরনের অভিযান নিয়মিত হওয়া দরকার।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান বলেন, নদী ও পরিবেশ রক্ষায় অবৈধ পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কেউ আইনের বাইরে নয়। নদী রক্ষায় শূণ্য সহনশীলতা নীতি অনুসরণ করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:০৯ পিএম
টঙ্গীবাড়িতে সঠিক ওজন না দেওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
মুন্সীগঞ্জ জেলায় টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় সোনারং- টংগিবাড়ী ইউনিয়নের টংগিবাড়ী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টা থেকে ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রসিকিউটর মো. শাহরিয়ার হোসেন, পরিদর্শক (মেট্রোলজি), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডাডর্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন, বিভাগীয় মেট্রোলজি ইন্সপেক্টর,ঢাকা।প্রসিকিউটর কর্তৃক দাখিলকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে টংগিবাড়ী বাজারের মেসার্স আমির মাঝি ট্রেডার্স ও মেসার্স সজীব এন্টারপ্রাইজ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান এর ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড সঠিক পাওয়া যায় এবং মেসার্স কে মানদণ্ড ফিলিং স্টেশন ও মেসার্স মাহিয়া ট্রেডার্স ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান দুটির ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড সঠিক পাওয়া মানদণ্ড ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড সঠিক না থাকায় ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০১৮ এর ২৯ ধারা ভঙ্গের অপরাধে ৪৬ ধরায় দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৫ (পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং পণ্যের মান ও সঠিক পরিমাপের বিষয়ে উপস্থিত সবাইকে সচেতন করা হয়।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:২৩ পিএম
জেনেভা ক্যাম্পে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৪০
ঢাকার মোহাম্মদপুরে ‘অপরাধপ্রবণ’ এলাকা হিসেবে পরিচিত জেনিভা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ৪০ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ।রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও জোনের ডিসি মো. ইবনে মিজান এ তথ্য জানান।ডিসি ইবনে মিজান বলেন, শনিবার বিকাল ৪টা থেকে রবিবার ভোর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তেজগাঁও বিভাগের ১২০ জন পুলিশ সদস্য অভিযানে অংশ নেন। এতে আটটি ককটেল, দুটি পেট্রলবোমা, ছয়টি সামুরাই, পাঁচটি হেলমেট, তিনটি ছুরি, ১১টি চোরাই মোবাইল ফোন ও ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।তিনি বলেন, রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:৩৯ পিএম
টেকনাফের গহীন পাহাড়ে বন্দি নারী-শিশুসহ ৬৬ জন উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফে উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া গহিন পাহাড়ের আস্তানায় বন্দি রাখা নারী-শিশুসহ ৬৬ জনকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন, নারী ২৩ জন ও শিশু ২১ জন। তাদের মধ্যে অনেকেই রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি নাগরিক।বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত টেকনাফের কচ্ছপিয়া পাহাড়ের চূড়ায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় তাদের।শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে নারী ও শিশুসহ বিপুলসংখ্যক ব্যক্তিকে টেকনাফের বাহারছড়ার গহিন পাহাড়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনী কর্তৃক একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা পাহাড়ের চূড়ায় পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ৬৬ জন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।উদ্ধারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েকটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরি, সুবিধাজনক কর্মসংস্থান, উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন, অল্প খরচে বিদেশ যাত্রা এবং বিনা অর্থে প্রেরণ করে পরবর্তীতে কর্মস্থলে কাজের মাধ্যমে খরচ পরিশোধের সুযোগের প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় গমনে উদ্বুদ্ধ করে টেকনাফের গহিন পাহাড়ে গোপন আস্তানায় জিম্মি করে রেখেছিল। পরবর্তী সময়ে তাদের সুবিধাজনক সময়ে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন উপকূল দিয়ে বোটযোগে মালয়েশিয়ায় পাচার করার পরিকল্পনা করেছিল।তারা আরও জানায়, পাচারকারীরা তাদের আটকে রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করার চেষ্টা করছিল।অভিযান চলাকালে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তাদের আটকের নিমিত্তে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান চলমান রয়েছে।তিনি আরও বলেন, মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
রাজধানীর শেরে বাংলানগর থানাধীন আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করছে র্যাব–২।সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এ অভিযান চলছে।র্যাব–২ এর সিনিয়র এএসপি আসিফ জানান, পাসপোর্ট অফিসে দালালবিরোধী অভিযানে বেশ কয়েকজন দালালকে আটক করা হয়েছে। র্যাব কর্মকর্তা বলেন, পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেয় দালাল চক্র- এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজকে অভিযান শুরু হয়। র্যাবের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযানে নেতৃত্বে দিচ্ছেন।জানা গেছে, আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সর্বত্রই দালালদের দৌরাত্ম্য। দালালের মাধ্যমে চুক্তিতে কাজ করলে পাসপোর্ট সহজেই পেয়ে যাবেন, নির্ধারিত সময়ের আগেও পেয়ে যেতে পারেন- এমন নানা কথায় অর্থ হাতিয়ে আসছে এই চক্র। এ বিষয়ে অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৫৭ পিএম
মহেশখালীর গহীন পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান
দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী ক্রাইমজোন খ্যাত। দ্বীপের কালারমারছার গহীন পাহাড়ে সন্ত্রাসীরা গড়ে তুলেছে অস্থায়ী অস্ত্রের কারখানা ও তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। সেখান থেকে তারা মাছের ঘের দখল, চাঁদাবাজি ও খুনাখুনিসহ বিভিন্ন অপরাধ জনিত কর্মকান্ড পরিচালনা করার অভিযোগ রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ওই সশ্বস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীদের উৎখাত করতে ড্রোনসহ প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাবের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা হয় বলে জানান মেজর নাজমুল।বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে প্রায় ৬ঘন্টা ধরে মহেশখালী কালারমারছড়াস্থ গহীন পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের আস্তনায় র্যাব ১৫ এর নেতৃত্বে তারেক বাহিনীর আশ্রয়স্থলে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হয়।এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তবে সেখান থেকে ১০টি দেশীয় তৈরী আগ্নেয়াস্ত্র ৬টি শর্টগানের কার্তুজ, ২১টি রাইফেলের তাজা অ্যামুনিশন ও ৩ রাইফেলের অ্যামুনিশন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের নির্মিত একাধিক টংঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে র্যাব সূত্র জানায়।স্থানীয়দের মধ্যে সরওয়ার আজম জানান- এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় তারেক চেয়ারম্যান বারংবার সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকার উপর হামলা চালায়। গেল কয়দিন পূর্বে তার সহোদর ব্যবসায়ী তোফাইল আহমদ মাতাব্বরকে তাদের নিজস্ব মাছের ঘের থেকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এছাড়াও তারা পাহাড় থেকে নেমে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও খুনাখুনিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করে আসছে। হঠাৎ র্যাবের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে তারা। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে এঅভিযান অব্যাহত রাখতে অনুরোধ জানান।র্যাব ১৫ সিও কামরুল হাসান অভিযান শেষে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং এ জানান যে, সরকারের মেগাপ্রকল্প কয়লাবিদ্যুৎ ও এসপিএম প্রকল্প রয়েছে। তা সুরক্ষা এবং সাধারণ মানুষের জানমাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এপাহাড় থেকে সন্ত্রাসীদের শিকড় উপচে ফেলা হবে। তিনি এলাকাবাসীদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতাকে সাদরে গ্রহণ করেন। তবে এধরণের সাড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৫ পিএম
গাইবান্ধায় ৩০টি চায়না দুয়ারি জাল পুড়িয়ে ধ্বংস
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ঘাঘট নদীতে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকা মূল্যের ৩০টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দের পর পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে উপজেলা মৎস্য বিভাগ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারজান সরকার।বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারজান সরকার। এর আগে, গতকাল বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট নদের নারায়নপুর ছড়া এবং মরা ঘাঘট নদীর নারায়নপুর অংশে এ অভিযান চালিয়ে এসব নিষিদ্ধ জাল জব্দ করে পুরিয়ে ফেলা হয়।সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারজান সরকার বলেন, নদীসহ বিভিন্ন জলাশয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধঘোষিত চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহার করে দেশীয় মাছের প্রজনন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে। এসব জালে শুধু ছোট বড় মাছই নয়, শামুক, কাকড়া, কুচো, ব্যাঙসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী আটকে পড়ে মারা যাচ্ছে। এর ফলে ধ্বংস হচ্ছে প্রাণবৈচিত্র, ক্ষতি হচ্ছে প্রকৃতিক পরিবেশের। সরকারি নির্দেশনায় জীববৈচিত্র ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে জানান তিনি।এতে সদর থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এ এস আই) ওসমান আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স এ অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৫৫ পিএম
মহেশখালীর অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান
মহেশখালীর সড়কের উপর অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হেদায়েত উল্যাহ্।বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ঘটিকা সময় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সড়কের উপর প্রভাবশালীদের গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ ও সড়কের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার মো. হেদায়েত উল্যাহ্।উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানাগেছে, মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, পুলিশ এবং আনসার বাহিনী যৌথ সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হেদায়েত উল্যাহ্'র নেতৃত্বে বড় মহেশখালীর ফুটপাত ও অবৈধ দখলদারদের গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত তথা উচ্ছেদ অভিযান এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।এসময় অভিযুক্ত নয়জন ব্যক্তিকে স্থনীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধরায় মোট-১৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি বাজারের সকলব্যবসায়ীগণকে বাজারের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে অবৈধ ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার জন্য নির্দেশ দেন।উক্ত ভ্রাম্যমাণ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন নবগত মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু জাফর মজুমদার।এছাড়া বড় মহেশখালী ইউপি চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাহ বাবুলসহ উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করেন বাংলাদেশ নৌ-বাহীনি, মহেশখালী থানা পুলিশ ও আনসার সদস্য।এদিকে এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান স্থানীয়রা। তবে এ অভিযান অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানান তারা। যেহেতু পূর্বে অনেকবার যে স্থানে অভিযান শুরু করে সেস্থান থেকে অন্যস্থানে যায়নি দাবী করেন তারা।মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হেদায়েত উল্যাহ্ জানান, পর্যায়ক্রমে মহেশখালীর প্রতিটি হাটবাজার ও সড়কে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে সুরক্ষা রাখতে প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।ভোরের আকাশ/জাআ
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৫৮ পিএম
নারায়ণগঞ্জে পলিথিন বিরোধী অভিযান
নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার উম্মে হাবিবা ফারজানার নেতৃত্বে কাঁচপুর কাঁচাবাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।অভিযানে অংশ নেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এবং জেলা পুলিশের সদস্যরা। প্রসিকিউশনের দায়িত্বে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. হুজ্জাতুল ইসলাম।অভিযানের সময় বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৬(ক) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে কাঁচপুর কাঁচাবাজারের চারটি দোকান থেকে প্রায় ১১৬ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয় এবং মোট ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।এর মধ্যে মহাসিন স্টোরে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দ করা হয় ৯৫ কেজি পলিথিন। বরিশাল স্টোরে নয় হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। কুমিল্লা ভাই ভাই স্টোরে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দ করা হয় দুই কেজি পলিথিন। এছাড়া আল্লাহ ভরসা স্টোরে নয় হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং সেখান থেকে জব্দ হয় নয় কেজি পলিথিন।অভিযান শেষে পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক এ. এইচ. এম. রাসেদ জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার, মজুদ, বিক্রয় ও বাজারজাতকরণ বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে।ভোরের আকাশ/জাআ
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:১৭ পিএম
আশুলিয়ায় আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮
সাভারের আশুলিয়ায় একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় ওই হোটেল থেকে ৮ জন নারী-পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল হান্নান।গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সিলেট জেলার ফেঞ্জুগঞ্জ থানার গিলাছলা গ্রামের মোঃ হোসেনের ছেলে মোঃ আক্কাছ মিয়া ওরফে আলম (৪৮), পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানার তারাবুনিয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান অভি (২৫), গাজীফুর জেলার সদর থানার সরকারপাড়া গ্রামের মীর সাইদুর লিটনের ছেলে মোঃ নাজমুল হাসান জিসান (২৪), মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার কাশাত বাংলাবাজার গ্রামের জিন্নাত বেপারীর ছেলে মোঃ আবুল হোসেন (৪১), ঢাকা জেলার ধামরাই থানার গাওয়াইল গ্রামের মোঃ হামিদের ছেলে মোঃ সুমন (২৫), একই গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে মোঃ জুলহাস (৩০), পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী থানার গুচ্ছগ্রাম এলাকার রাজু ইসলামের মেয়ে রাজমনি (১৯) এবং দিনাজপুর জেলার বজাগঞ্জ থানার সেতাবগঞ্জ গ্রামের শফিকের মেয়ে সুমি আক্তার (২২)।আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল হান্নান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের বিষয়ে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/এসএইচ