মেহেরপুরের মুজিবনগরে ১২ জন পুশইন
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস সীমান্ত দিয়ে ১২ জন বাংলাদেশিকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মঙ্গলবার (১০ জুন) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ৯৭/১ সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে তাদের পুশ ইন করে বিএসএফ। পরে বিজিবি খবর পেয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে তাদের আটক করে মুজিবনগর থানা পুলিশকে হস্তান্তর করে।
পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার ফুলমতি গ্রামের রহমত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪২), জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী শাহাজাদী খাতুন (৩০), ছেলে মিরাজ আলী (১৫), একই থানার কবুরামাবুদ গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের স্ত্রী লাভলী খাতুন (৪২), ছেলে হাছেন আলী (২০), বাবুল হোসেন (২৪), বাবুল হোসেনের স্ত্রী জেনমিন খাতুন (২০), ছেলে জহিদ হোসেন (৩), জাকির হোসেন (১), হাছেন আলীর স্ত্রী জান্নাতী খাতুন (১৮), ১০ দিন বয়সী মেয়ে হাসিনা খাতুন, শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আজিজুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন হোসেন (২৫)।
পুলিশ জানায়, পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিদের কেউ ১০ বছর আগে, কেউ ১৫ বছর আগে ভারতে গিয়েছিল। তারা বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান বলেন, পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিরা বাংলাদেশি বলে দাবি করছে। আমরা তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করেছি। পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, এছাড়া পুশ ইন বিষয়ে আমরা রাঙ্গেরপোতা ১৬১ বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি দিয়েছি।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
টাঙ্গাইলের যমুনা সেতুর উপর পর পর কয়েকটি দুর্ঘটনায় ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ৪/৫ টি যানবাহন বিকল কারণে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ধীরগতির যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যমুনা সেতু ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা এলাকা থেকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী যাত্রী ও চালকরা সীমাহীন দুর্ভোগ পড়েছেন। পুলিশ ও যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজন যানজট নিরসনে কাজ করছে।যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ ও যমুনা সেতু পূর্ব থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (১৩ জুন) মধ্যরাতে মহাসড়কের সেতু পূর্ব থানা এলাকা, যমুনা সেতুর উপর পর পর বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। ঢাকা-টাঙ্গার মহাসড়কে ৪/৫ টি যানবাহন বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে। এরফলে মধ্যে রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত কয়েক দফায় টোল আদায় বন্ধ রাখা হয় এবং দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনগুলো সরাতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এতে মহাসড়কের যমুনা সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা থেকে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ২৩/২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানযাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। দুর্ঘটনা কবলিত ও বিকল গাড়িগুলো সরানো হলে ভোর থেকে টোল আদায় শুরু হয় ও ধীর গতিতে গাড়ি চলছে।শনিবার (১৪ জুন) ভোর টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত যমুনা সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা, গোল চত্বর, সেতু পূর্ব ইব্রাহীমাবাদ ও জোকারচর এলাকায়, ঘণ্টারপর পর যানজটে আটকা পড়েছেন ঢাকাগামী যাত্রীরা। তীব্র গরমে দুর্ভোগ পড়েন তারা। মাঝে মধ্যে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। তবে, সকাল ৮ টার পর থেকে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল শুরু করে।গাইবান্ধা থেকে আসা ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের চালক ওমর ফারুক বলেন, যমুনা সেতুর উপর ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে জোকারচর এলাকায় কমপক্ষে দেড় ঘণ্টা ধরে যানজটের মধ্যে পড়ে রয়েছি। গাড়ি চলছেই না। এতে করে বাসে থাকা যাত্রীরা, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা বেশি ভোগান্তি পড়েছেন।নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একতা পরিবহনের যাত্রী পোশাককর্মী রিনা খাতুন জানান, এরকম ভোগান্তিতে বাড়ি ফেরার পথেও পড়েছিলাম, কর্মস্থলে যাওয়ার পথেও একই দশা। কয়েক ঘণ্টা ধরে সেতু এলাকায় যানজটে বসে আছি।এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, দুর্ঘটনার কারণে যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে এবং মহাসড়কে গাড়ির দীর্ঘদিন লাইন থাকলেও ধীরগতিতে চলাচল করছে। দ্রুতই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।যমুনা সেতু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়েজ আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে যমুনা সেতুর উপর পিকআপ-ট্রাকের সংঘর্ষের জন্য যানবাহনের জটলা লাগে। এ জন্য মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার ধীরগতি রয়েছে। পুলিশ কাজ করছে, খুব দ্রুতই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, যমুনা সেতুর উপর গত বৃহস্পতিবার রাতে দুর্ঘটনা ও পর পর ৪/৫টি যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে। সেগুলো সরাতে কয়েক দফায় সেতুর উভয় অংশে সাময়িক টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে সেগুলো দ্রুত সেতুর উপর থেকে অপসারণ করা হলে ভোর থেকে টোল আদায় চালু করা হয়। আশা করছি কিছু সময়ের মধ্যে যানজট কমে আসবে এবং স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জামালপুর জেলায় নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি'র (এনসিপি) উপজেলা কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে।শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেল ৫টায় চন্দ্রা লাইট হাউজ মোড়ে এ কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা এনসিপির আহবায়ক লুৎফর রহমান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুব শক্তির আহবায়ক ডা. জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক হিফজুল বকুল, জামাত নেতা ও হজরত শাহজামাল (র) এর পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ময়মনসিংহের নান্দাইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনায় দু'গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ১১ টার দিকে ময়মনসিংহ -কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের বেলালাবাদ দত্তপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু'গ্রামের ২০ জনের মত আহত হয়েছে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের দু'পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে বেলালাবাদ দত্তপুর বাস স্ট্যান্ডে মহাসড়কে অটো দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে দত্তপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম ও উত্তর পালাহার গ্রামের সজল মিয়ার মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাত দু গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা বেলালাবাদ দত্তপুর বাজারে মীমাংসার জন্য বসে। বিষয়টি মীমাংসা না হয়ে এক পর্যায়ে ময়মনসিংহ- কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের এমএন ফিলিং স্টেশনের সামনে দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে দু গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।এতে ইটপাটকেল এর আঘাতে দু'গ্রামের মধ্যে উত্তরপালাহার গ্রামের কাঞ্চন (২৮), ইসরাফিল (৪৮), আলআমিন (২৫), অপু (২০), হিমেল (২৫)। দত্তপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম (৪০), শরীফ মিয়া (২৫), ফারুক (৩০), রমজান মিয়া (৩৩), ফজলুর রহমান (৫০)সহ ২০ জন আহত হন। আহতরা নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী সমিতি নান্দাইলের কানুরামপুর পরিবহন পরিচালনা রোডে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটি অনুমোদন দেন ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী সমিতি সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী গত ১১ জুন কমিটি অনুমোদন দেন। এ কমিটি ঘোষণার পর থেকে দু'পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দু'গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।দত্তপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অটো চালকে মারধর করতেছিল মানিক আর সমুন তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার উপরে হামলা করেছে। তারা দলবল নিয়ে আক্রমণ করেছে।উত্তরপালাহার গ্রামের সজল মিয়া বলেন, আমার এলাকার ছোট ভাইদেরকে ইসলাম মারধর করছে আমি গিয়ে জিজ্ঞেস করলে আমাকেও গলায় ধরে। মটরযান কর্মচারী সমিতির কমিটি ঘোষণার পর থেকেই তারা এমন শুরু করেছে।নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, চাঁদাবাজি নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনা মীমাংসার জন্য স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হয়েছে।নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বার্তা গ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই কিশোরকে আটক করলেও পুলিশ তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে আটিগ্রাম ইউনিয়নের বার্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আলমগীর হোসেন (৪২) ওই গ্রামের আবুল ফকিরের ছেলে। হামলায় তাঁর ডান হাতের একটি আঙুল কেটে যায়। পাশে থাকা ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন মোবাইল হাতে থাকায় কোপ থেকে বাঁচেন, তবে তাঁর মোবাইল ফোনটি ভেঙে যায়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলার মূল সূত্রপাত হয় বিয়ের যাত্রীবাহী একটি বাসকে কেন্দ্র করে। বৃহস্পতিবার রাতে বার্তা গ্রামের আলমগীরের মেয়ের বিয়ের বাসটি সিংগাইরের ইরতা কাশিমপুর গ্রাম দিয়ে যাওয়ার সময় বাসে থাকা এক কিশোরীর থুতু এক মোটরসাইকেল আরোহীর গায়ে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।পরে শুক্রবার সকালে তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন কিশোর এসে আলমগীরের বাড়ির সামনে সাউন্ড দিয়ে উসকানিমূলক আচরণ করে। বাধা দিতে গেলে তারা আলমগীর ও তাঁর ভাইয়ের ওপর চাপাতি নিয়ে হামলা চালায়।স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীদের মধ্যে দুই কিশোর—সিংগাইর উপজেলার ইরতা কাশিমপুর গ্রামের নীরব ও আপনকে ধরে ফেলে। তাঁদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।তবে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল ইসলাম বলেন, “আমরা কাউকে আটক করিনি, স্থানীয়রা আমাদের খবর দিলে আমরা তাদের থানায় নিয়ে আসি।” অস্ত্র জব্দের বিষয়েও তিনি কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল নামে এক বাসিন্দা বলেন, “আমার সামনেই ছেলেদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”ভোরের আকাশ/এসএইচ