কৃষককে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয় মরদেহ
ময়মনসিংহের নান্দাইলে মো. সুজন মিয়া (২৮) নামে এক কৃষককে হত্যার পর মরদেহ আম গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে দুর্বৃত্তরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার (২ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের চর মহেশকুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশ থেকে সুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, নিহত মো. সুজন মিয়া কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার চর জামাইল গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, রোববার রাতের কোনো এক সময় সুজন মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এরপর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি চর মহেশকুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে নিয়ে এসে আম গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসি আরও বলেন, নিহত সুজন মিয়ার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দিনাজপুরের পলিটেকনিক মোড় এলাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) দিনাজপুর সার্কেলের উদ্যোগে (১৪ জুন) বিশেষ মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এই কার্যক্রমে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সমন্বয় ছিল।মোবাইল কোর্টে মহাসড়কে অতিরিক্ত গতি, ফিটনেসবিহীন, রেজিস্ট্রেশনবিহীন ও অতিরিক্ত বোঝাই যানবাহন এবং হাইড্রোলিক হর্ন সংযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এছাড়া হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালক, লাইসেন্সবিহীন চালক ও অন্যান্য নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা হয়।এই অভিযান ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, এই ধরনের মোবাইল কোর্ট নিয়মিতভাবে পরিচালিত হবে যাতে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় এবং দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হয়।স্থানীয়রা এই কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। ভোরের আকাশ/আজাসা
ময়মনসিংহের ভালুকায় মাত্র ৫০০ টাকার জন্য স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বপন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার তিন দিন পর গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশ জানায়, গত ৬ জুন ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি এলাকার সিডস্টোর বাজারে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের কাছে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য ৫০০ টাকা চান স্বপন। সাবিনা টাকা দিতে অস্বীকার করলে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বপন ঘরের ফ্রিজের পাশে থাকা শিল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন এবং ধারালো বটি দিয়ে উপর্যুপরি কোপান। এতে ঘটনাস্থলেই সাবিনা মারা যান। পরে লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।স্বজনরা সাবিনার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে ভাড়া বাসায় এসে তালা দেওয়া দেখতে পান। পরে তালা ভেঙে খাটের নিচ থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।ভালুকা মডেল থানার পুলিশ শুক্রবার (১৩ জুন) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ভাংনাহাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বপনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর স্বপন স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তার দেখানো মতে হত্যায় ব্যবহৃত শিল ও বটি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, তার পাঞ্জাবির পকেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নিহত সাবিনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন।ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, আসামিকে গ্রেফতার করে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/আজাসা
চুরি করতে গিয়ে গৃহস্থের দায়ের কোপে প্রাণ হারালেন এক যুবক। শুক্রবার (১৩ জুন) গভীর রাতে সুনামগঞ্জ শহরতলির মাইজবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাইমুম হাসান রনি (২৭) সদর উপজেলার কুরবাননগর ইউনিয়নের গুদারগাঁও গ্রামের মৃত সমুজ আলীর ছেলে। পুলিশ নিহতের লাশ শনিবার সকালে স্থানীয় সাহাব উদ্দিনের বাড়ির উঠোন থেকে উদ্ধার করেছে।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে চুরির উদ্দেশ্যে মাইজবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের ইকবাল হোসেনের বসতঘরের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ঢেউটিনের বেড়া কেটে প্রবেশের চেষ্টা করে সাইমুম হাসান রনি। টিনের বেড়া কাঁটার শব্দ শুনতে পেয়ে ঘুম ভেঙে গেলে ঘরের মালিক ইকবাল হোসেন দেখতে পান কেউ ঘরের বেড়া কেটে ঢুকতে চাচ্ছে। ঘরে ঢুকার জন্য প্রথমে চোর বাম হাত ঢুকালে ওই হাতে ধারালো দা দিয়ে কোপ দেন ইকবাল হোসেন। দায়ের কোপ খেয়ে পালিয়ে যান ওই যুবক। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গ্রামের সাহাব উদ্দিনের উঠোনে যাবার পর তার মৃত্যু হয়। সেখানেই রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আবুল কালাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এ ঘটনায় ইকবাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
মাগুরার মহম্মদপুর থানায় কর্মরত পুলিশের উপপরিদর্শক পিএসআই মোঃ বোরহান উদ্দিন মোটরসাইকেল সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।শনিবার (১৪ জুন) বেলা ১২টার সময় পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার সোতাসী ব্রিজ এলাকায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনার নিহত হন। বোরহান উদ্দিন যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার পায়রা গ্রামের কোবাদ আলীর ছেলে।পুলিশ সূত্রে জানা, শনিবার সকালে থানা থেকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি উপজেলায় একজন ওয়ারেন্টভূক্ত আসামিকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। বোয়ালমারী উপজেলার সোতাসী এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ সড়কের পাশে থাকা গাছে গিয়ে ধাক্কা খায়।এ সময় সে মাথায় এবং ডান কানে ব্যাপক আকারে আঘাত পায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহমান জানান, বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে উধ্বতন কতৃপক্ষে অবগত করেছি।