ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা যুবকের লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় একটি পুকুর থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খাঁটিহাতা এলাকার বোরহান হুজুরের মাদ্রাসার পাশের একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম জানান, বিকেলে স্থানীয়রা পুকুরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হবে। নিহতের পরিচয় শনাক্তের জন্য তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঋতু আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে হাজীগঞ্জ এলাকার ইমামউদ্দিনের বাড়ির নিচতলার ভাড়াবাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।পুলিশ জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের স্বামী মাসুম মিয়া তার শ্বশুরকে ফোন দিয়ে জানান, ঋতু আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই মাস আগে ওই ভাড়া বাসায় ওঠেন দম্পতি। প্রায় তিন বছর আগে প্রেমের সূত্র ধরে তাদের বিয়ে হয়। তবে দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই কলহ লেগে থাকত বলে জানা গেছে।নিহতের বাবা মো. কাশেম মিয়ার অভিযোগ, তার মেয়েকে হত্যা করে স্বামী পালিয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন ঘরের বাইরে তালা দেওয়া ছিল।ফতুল্লা থানার এসআই সঞ্জীব জোয়াদ্দার জানান, “লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।”ভোরের আকাশ/মো.আ.
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় সাহেরা বেগম (৭২) নামে এক বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌরসভার রামদাস ধনিরাম এলাকার শহরের বিজ্ঞান প্রযুক্তি কলেজের সামনে নিজবাড়ির রান্না ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।তিনি ওই এলাকার নুরুজ্জামান মিয়ার স্ত্রী এবং সাবেক সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য ছিলেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মত সাহেরা বেগম রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সোমবার সকালে তার ছোট ছেলে আলম মিয়ার স্ত্রী রান্না ঘরে গিয়ে শাশুড়ি সাহেরা বেগমের গলাকাটা লাশ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।নিহতের বড় ছেলে সাখাওয়াত হোসেন বাবু জানান, আজ (সোমবার) সকালে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর হাউমাউ চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দেখি মা গলাকাটা অবস্থায় মাটিয়ে পড়ে আছে। পরে কাছে গিয়ে দেখি মারা গেছে। তার মা দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলেও জানান তিনি। উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৩৬ পিএম
নাসিরনগরে নদী থেকে কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নিখোঁজের ২ দিন পর নদী থেকে মাহমুদুল ইসলাম বিশাল (২১) নামে এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বলভদ্র নদীর ফান্দাউক ব্রিজের চরের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।মাহমুদুল ইসলাম বিশাল উপজেলার ফান্দাউক গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকার সিদ্বেশ্বরী কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।সূত্রে জানা যায়, মাহমুদুল ইসলাম বিশাল শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে ওষুধ আনার কথা বলে ফান্দাউক বাজারে যায়। পরে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। পরে স্বজনেরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে খুঁজে পায়নি। সোমবার সকালে উপজেলার বলভদ্র নদীর ফান্দাউক ব্রিজের চরের পাশে লাশ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।এ ঘটনায় রোববার নাসিরনগর থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়।নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তানভীর আহমেদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিশাল শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা। তদন্ত পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত বলা যাবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামে চরম হৃদয়বিদারক ও অবিশ্বাস্য এক ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ আটকে রেখে আদায় করা হয়েছে সুদের টাকা। বিষয়টি নিয়ে চারিদিকে উঠেছে নিন্দার ঝড়।জানা যায়, গ্রামের নতুনপাড়ায় নিয়ামত আলীর ছেল রাজমিস্ত্রী হারুন (৪৫) গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) মেয়ের বাড়ি মেহেরপুরের মহাজনপুরে বেড়াতে যান। রোববার সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ স্ট্রোকে করে মারা যান তিনি। মরদেহ নিজ গ্রামে আনা হলে পরিবার-পরিজনের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। এদিন আসরের নামাজের পর দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। জীবনের সব দায়-দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে এমনটিই ভাবছিলেন স্বজনরা। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে ঘটে এক অকল্পনীয় অমানবিকতা।স্থানীয়রা জানান, মরদেহ গোসলের সময় প্রতিবেশী মর্জিনা খাতুন দাবি তোলেন হারুনের কাছে সুদের ১৫ হাজার টাকা পাবেন তিনি। তিনি সরাসরি জানিয়ে দেন, ওই টাকা পরিশোধ না করলে মরদেহ দাফন করতে দেওয়া হবে না। শোকাহত পরিবার মরদেহ পাশে রেখে টাকার জন্য তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। আশপাশের মানুষ স্তম্ভিত হয়ে পড়েন এমন ঘটনায়। অবশেষে প্রায় এক ঘণ্টা পর পরিবার বাধ্য হয়ে টাকা পরিশোধ করে। টাকা হাতে পেয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ ও জনরোষের মুখে সটকে পড়েন মর্জিনা।নিহত হারুনের চাচাতো ভাই মতিনুর ইসলাম মানিক বলেন, আমার ভাই গত দেড় মাস আগে মর্জিনা খাতুনের কাছ থেকে আট হাজার টাকা ধার নেন। সেই টাকা তিনি ব্যবসার কাজে লাগিয়েছিলেন। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহ গোসলের সময় মর্জিনা দাবি করেন সুদসহ ২২ হাজার টাকা পাবে। দাফন শেষে এ বিষয়টি মিটমাট করা হবে জানালে তিনি বলেন, টাকা না পেলে দাফন করতে দেবেন না।তিনি আরও বলেন, এমনকি আমার গরুটি তার বাড়িতে রেখে আসতে চেয়েছি, পরে নগদ টাকা দিয়ে গরু নিয়ে আসব বললেও তিনি শোনেননি। পরে ২২ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন মর্জিনা। এরপরই পরিবারের সদস্যরা খুব কষ্টে ১৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করে মরদেহের খাটিয়ার ওপর রাখেন৷ পরে সেই টাকা মর্জিনা খাতুন নিয়ে যান।মানিক আরও বলেন, তিনি (মর্জিনা) একজন বড় সুদ কারবারি। গ্রামের মানুষকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। প্রতিবাদ করলেই তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দেন। তাই কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না।স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মূল টাকা হারুন জীবিত থাকতেই পরিশোধ করেছিলেন। মৃত্যুর পর তার মরদেহ আটকে রেখে সুদের টাকা আদায় করা সমাজের চোখে ন্যাক্কারজনক, ঘৃণিত ও লজ্জাজনক কাজ। মর্জিনা দীর্ঘদিন যাবত সুদের ব্যবসা করে আসছেন। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেও হয়রানি করেছেন তিনি।গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা জীবনে অনেক কিছু দেখেছি, কিন্তু মরদেহ আটকে সুদের টাকা আদায়ের মতো ঘটনা এই প্রথম দেখলাম। মৃত মানুষের মরদেহ আটকে রেখে টাকা আদায় করা কেবল লোভ নয়, এটা সমাজের জন্য চরম লজ্জার বিষয়।এ বিষয়ে জানতে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:০১ এএম
নবীনগরে কথিত জিনের ডোবা থেকে কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নিখোঁজের দু'দিন পর একটি ডোবা থেকে ভেসে উঠেছে জুঁই (২০) নামের এক কলেজছাত্রীর মরদেহ।শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কচুরিপানা তুলতে গিয়ে এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।নিহত জুঁই উপজেলার লাউরফতেহপুর গ্রামের আবুল হাসনাতের মেয়ে। তিনি সম্প্রতি নবীনগর সরকারি কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়েছিলেন।জানা গেছে, জুঁই গত দু'দিন আগে ভোররাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে উঠে নিখোঁজ হন। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি করছিলেন। শনিবার দুপুরে তার নিথর দেহ ভেসে ওঠে গ্রামের সেই ডোবায়, যেটিকে ঘিরে নানা গুজব ও আতঙ্ক স্থানীয়দের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত।স্থানীয় ইউপি সদস্য এমদাদুল হক ঈদন বলেন, ‘ডোবা বা পুকুরটি নিয়ে বহু বছর ধরেই নানা গুজব প্রচলিত রয়েছে। কেউ বলেন, এখানে জিনের আস্তানা, কেউ বলেন, অভিশপ্ত। এ পুকুর থেকেই এর আগেও একাধিক মরদেহ পাওয়া গেছে।’গ্রামের বাসিন্দা সুজন খন্দকার জানান, ১০ বছর আগে আমার এক ফুফাতো ভাইয়ের মরদেহও ঠিক এই ডোবা থেকেই উদ্ধার হয়েছিল। এবার জুঁইয়ের লাশও এখানেই মিলল। এমন বারবার মৃত্যুর পেছনে কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা দরকার।নিহতের বাবা আবুল হাসনাত কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার মেয়ে খুব ভদ্র ছিল। কারও সঙ্গে প্রেম বা খারাপ কোনো সম্পর্কে জড়িত ছিল না। ডোবাটাকে সবাই অভিশপ্ত বলে, আগেও তো এমন ঘটনা ঘটেছে। এখন আমার মেয়েকেও কেড়ে নিল।’এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে দেখছি, এটি আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে কোনো অপরাধমূলক তৎপরতা রয়েছে।’ভোরের আকাশ/মো.আ.
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:৪৩ পিএম
শ্রীপুরে পুকুরে ভাসছিলো অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ
গাজীপুরের শ্রীপুরের মাধখলা গ্রামের গভীর জঙ্গলে একটি পুকুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির (৪০) মরদেহ ভাসছিলো। খবর পেয়ে আজ দুপুরে পুলিশ ওই মরদেহ উদ্ধার করে। তাৎক্ষনিক ভাবে নিহতের পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। স্থানীয়রা জানান, সকালে আশ পাশের লোকজন ওই গ্রামে গজারি বনে জনৈক শরিফের মালিকানাধিন পুকুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ ভাসতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, ওই গ্রামের গভির বনের ভেতর একটি পুকুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।ধারণা করা হচ্ছে দুই তিনদিন আগে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তাৎক্ষনিক ভাবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরিচয় সনাক্ত করতে পিবিআই ও সিআইডি'র দল ঘটনাস্থলে আসতেছে। এবিষয়ে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিনভোরের আকাশ/তা.কা
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:০২ পিএম
রাজধানীর আবাসিক হোটেল থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ধোলাইপাড় এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে জহিরুল ইসলাম রাকিব (২০) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।মৃত রাকিবের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কাজীকান্দি গ্রামে। তার বাবার নাম সাইদুর রহমান। গ্রামের একটি কলেজে লেখাপড়া করতো সে।যাত্রাবাড়ী থানা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফরহাদ আলী জানান, খবর পেয়ে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে যাত্রাবাড়ী ধোলাইপাড় রোড আয়েশামনি আবাসিক হোটেলের দ্বিতীয় তলার ২০৬ নম্বর রুমের দরজা ভেঙে ওই যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। হোটেলের বিছানার চাদর দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ছিল। সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গ্রামের একটি কলেজে লেখাপড়া পড়া করতো।হোটেলটির ম্যানেজার জমির উদ্দিন জহির জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে একাই ওই যুবক হোটেলটিতে আসে। এরপর ২০৬ নম্বর রুমটি ভাড়া নেয়। সেখানে দুইদিন থাকবে বলে জানায় সে। ১৬ তারিখ বেলা ১২টার দিকে তাকে চেকআউটের জন্য হোটেল ম্যানেজার দরজায় নক করলে ভেতর থেকে কোন সাড়াশব্দ পান না। পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।হোটেল ম্যানেজার আরও জানান, এ সময় পুলিশ রুমটি থেকে দুটি চিরকুট উদ্ধার করে। যার একটিতে লেখা ছিল ‘আমার লাশ আবার চাচাতো ভাইয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েন।’ অপরটিত লেখা ছিল ‘মা আমার জন্য দোয়া করিও। অভিশাপ দিও না।’ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৪১ পিএম
রাজধানীর আবাসিক হোটেল থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ধোলাইপাড় এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে জহিরুল ইসলাম রাকিব (২০) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।মৃত রাকিবের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কাজীকান্দি গ্রামে। তার বাবার নাম সাইদুর রহমান। গ্রামের একটি কলেজে লেখাপড়া করতো সে।যাত্রাবাড়ী থানা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফরহাদ আলী জানান, খবর পেয়ে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে যাত্রাবাড়ী ধোলাইপাড় রোড আয়েশামনি আবাসিক হোটেলের দ্বিতীয় তলার ২০৬ নম্বর রুমের দরজা ভেঙে ওই যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। হোটেলের বিছানার চাদর দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ছিল। সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গ্রামের একটি কলেজে লেখাপড়া পড়া করতো।হোটেলটির ম্যানেজার জমির উদ্দিন জহির জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে একাই ওই যুবক হোটেলটিতে আসে। এরপর ২০৬ নম্বর রুমটি ভাড়া নেয়। সেখানে দুইদিন থাকবে বলে জানায় সে। ১৬ তারিখ বেলা ১২টার দিকে তাকে চেকআউটের জন্য হোটেল ম্যানেজার দরজায় নক করলে ভেতর থেকে কোন সাড়াশব্দ পান না। পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।হোটেল ম্যানেজার আরও জানান, এ সময় পুলিশ রুমটি থেকে দুটি চিরকুট উদ্ধার করে। যার একটিতে লেখা ছিল ‘আমার লাশ আবার চাচাতো ভাইয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েন।’ অপরটিত লেখা ছিল ‘মা আমার জন্য দোয়া করিও। অভিশাপ দিও না।’ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৪১ পিএম
খুলনায় আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
খুলনার সদর থানার সামনে স্টার হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তৌহিদুর রহমান তুহিন (৩৫) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।মৃত যুবক লবণচরা থানাধীন মতিয়াখালী ৫ম গলির বাসিন্দা এসএম এ খালেকের ছেলে।মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার সুদর্শন কুমার রায়।ভোরের আকাশ
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:২৬ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি খুন, ফ্রিজে মিলল মরদেহ
দক্ষিণ আফ্রিকার উইটব্যাংকে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন কাজী মহিউদ্দিন পলাশ (৩৬) নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসী ব্যবসায়ী। নিখোঁজের তিন দিন পর তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ফ্রিজ থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রবাসীরা।দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশ জানায়, পলাশকে তার মালাউই (দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার একটি দেশ) নাগরিক এক কর্মচারী হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। পরে মরদেহ ফ্রিজে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। হত্যার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।নিহত কাজী মহিউদ্দিন পলাশ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গাবুয়া গ্রামের বাসিন্দা মরহুম কাজী আমিনুল উল্যাহর ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক।পলাশের ভাই পল্লী চিকিৎসক কাজী আলমগীর বলেন, পলাশ প্রায় ১৪ বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। তার মালাউই কর্মচারী তাকে নির্মমভাবে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে এবং মরদেহ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখে। আমরা তিন দিন তার কোনো খোঁজ পাইনি, ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। পরে পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ঘটনা উদঘাটন করে। তবে অভিযুক্ত এখনো পলাতক।বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ১৪ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি দেন কাজী মহিউদ্দিন পলাশ। তার স্ত্রী ও দুটি ছোট সন্তান রয়েছে। তার মৃত্যুতে পরিবারসহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে পরিবার।ভোরের আকাশ/মো.আ.