সংগৃহীত ছবি
ফেনীতে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে সীমান্তবর্তী ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ। দুই উপজেলার কিছু এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি, মিটার ও ট্রান্সফরমার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে প্রায় ৩১ হাজার ২০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে বিপাকে পড়েছে বানভাসি মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়ন, ফুলগাজী সদরের কিসমত ঘনিয়ামোড়া, উত্তর শ্রীপুর, পূর্ব ঘনিয়ামোড়া, উত্তর নিলক্ষ্মী, পশ্চিম ঘনিয়ামোড়া, দেড়পাড়া, নিলক্ষ্মী, গোসাইপুর, মন্তলা, গাবতলা, কহুমা, জগতপুর এবং পরশুরাম উপজেলার ধনীকুন্ডা, শালধর, বেড়াবাড়িয়াসহ বেশকিছু এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল নেটওয়ার্ক। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মানুষজন।
ফুলগাজীর জগতপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, বিদ্যুৎ না থাকলে বিকল্প কিছু দিয়ে চলা যায়, কিন্তু ইন্টারনেট বা মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকলে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ নেই। এ পরিস্থিতিতে দেশে-বিদেশে অবস্থান করা আত্মীয়স্বজনরা আতঙ্কিত হয়ে যায়।
দেলোয়ার হোসেন নামে আমজাদহাটের আরেক বাসিন্দা বলেন, গত বছরের বন্যায়ও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি। কিন্তু সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি। তারা জেনারেটরের মাধ্যমে মোবাইল টাওয়ারগুলো সচল রাখলে মানুষ খুবই উপকৃত হতো। বিশেষ করে প্রবাসীরা বেশি দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
ফুলগাজী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলার ৩০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। এ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ৩৮ হাজার।
পরশুরাম পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. সোহেল আকতার বলেন, এ উপজেলায় ৩৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৬০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সংযোগ দেওয়া হবে। তবে বিদ্যুতের বিভিন্ন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সহসাই সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কুড়িগ্রামের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাস করতে পারেনি কেউ। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলাজুড়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।ওই তিন বিদ্যালয় হলো, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। সেখান থেকে একজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ করে অকৃতকার্য হয়েছে। নাগেশ্বরী উপজেলার পয়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে এবং ফুলবাড়ী উপজেলার নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় বেশ কিছু বিদ্যালয়ে কৃতকার্যের চেয়ে অকৃতকার্যের সংখ্যাই বেশি।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নে পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়টি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পেলেও প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৯ জন শিক্ষক রয়েছেন।এ বিষয়ে জানতে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মো. রিয়াজুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। নাগেশ্বরী উপজেলার পয়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় সম্পর্কে কোন তথ্য জানা যায়নি।ফুলবাড়ি উপজেলার নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তালেব বলেন, বিদ্যালয়টি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০২৩ সালে নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদানের অনুমতি পেয়েছি। এ বছর ৯ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে। তারা সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের আশেপাশের গরীব মানুষের বসবাস। পরীক্ষার্থীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকের কাজের পাশাপাশি পড়ালেখা করছিল। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে চার জন শিক্ষক ও ১৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলেও তিনি জানান।কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম শতভাগ ফেলের বিষয়ে জানান, আমি কিছুদিন আগে এই জেলার এসেছি। শতভাগ ফেল করা বিদ্যালয়গুলোর অবস্থা কেমন আমার জানা নেই। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে বিদ্যালয়গুলো থেকে কেনো কেউ পাশ করেনি সেটির কারণ প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হবে।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১০জুলাই) বোর্ড কমিটির প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা গেছে। ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা দিনাজপুর বোর্ডে পাশের হার ৬৭ শতাংশ ও ফেলের হার ৩৩ শতাংশ। এরমধ্যে কুড়িগ্রাম জেলায় পাশের হার ৬২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৫৮ জন। ভোরের আকাশ/জাআ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে এসএসসি পরীক্ষায় একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় লাবণ্য আক্তার (১৬) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে নিজ বাড়ির একটি কক্ষে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন লাবণ্য। ঘটনার সময় তার মা-বাবা বাড়ির আঙিনায় অবস্থান করছিলেন। কিছুক্ষণ পর পরিবারের সদস্যরা তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহত শিক্ষার্থী উপজেলার নুরপুর গ্রামের আশরাফুল আলমের মেয়ে। তিনি পলাশবাড়ী পিয়ারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলে লাবণ্য একটি বিষয়ে ফেল করেন। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে এই চরম সিদ্ধান্ত নেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।হঠাৎ এমন মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহপাঠী, শিক্ষক ও স্থানীয়রা এ ঘটনার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ওসি জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, কিছুক্ষণ আগে খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে দীর্ঘ ১৬ বছর পর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে মো. ফরিদ আহম্মেদ সভাপতি ও আ. রাজ্জাক হাওলাদারকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ২৮৪ জন কাউন্সিলের ভোটের মাধ্যমে তারা নির্বাচিত হয়।উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফরিদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বন ও পরিবেশবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু।অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এলিজা জামান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানা, জেলা বিএনপির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সাইদুল ইসলাম কিসমত, এ্যাড আবুল কালাম আকন, শেখ হাসানুল কবির লীন, ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সোহেল মঞ্জু সুমন, কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন টিপু মিয়া প্রমুখ।ভোরের আকাশ/জাআ
বান্দরবানের লামা উপজেলার সব রিসোর্ট পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। টানা ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড়ের ঢালুতে অবস্থিত প্রায় ৭৫টি রিসোর্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) উপজেলা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা প্রস্তুতি কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে নিশ্চিত করেন লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈন উদ্দীন। তিনি জানান, মিরিঞ্জা ভ্যালিসহ লামার প্রায় সবগুলো রিসোর্ট পাহাড়ের ঢালুতে থাকায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সকলের সম্মতিক্রমে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব রিসোর্ট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভোরের আকাশ/জাআ