মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৫ ০৭:১৬ পিএম
মানিকগঞ্জে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে লিচু
গ্রীষ্মকালীন রসালো ফল লিচু এবার মানিকগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। তবে পিস হিসেবেও কিছু কিছু জায়গায় বিক্রি হচ্ছে মৌসুমের এই ফলটি। কেজি দরে বিক্রি হওয়ায় ভোক্তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ একে সাধুবাদ জানালেও অনেকেই বলছেন, এই পদ্ধতিতে সিন্ডিকেট করে বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) মানিকগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ফলপট্টিতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা ঝোপা বাঁধা লিচু সারি করে সাজিয়ে বসে আছেন। ডিজিটাল স্কেলে ওজন করে লিচু বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ২২০ টাকা প্রতি কেজি দরে। ফলের আকার অনুযায়ী এক কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫টি লিচু। পিস হিসেবে কিনতে চাইলে প্রতি ১০০ লিচুর দাম পড়ছে ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা।
লিচু বিক্রেতা লিয়াজ উদ্দিন বলেন, "কেজি দরে বিক্রি করলে কম দামে সামর্থ্য অনুযায়ী লিচু কেনা যায়। কেউ চাইলে ৫০ টাকারও লিচু কিনতে পারে। পিস হিসেবে বিক্রি করলে এই সুবিধা থাকে না।"
আরেক বিক্রেতা মো. চুন্নু মিয়া জানান, "এটা নতুন কিছু না। গত বছরও আমরা কেজি দরে লিচু বিক্রি করেছি। পিস হিসেবে কিনলে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ থাকে—কে কয়টা কম দিল সেটা নিয়ে। কেজি দরে বিক্রি করলে সেই দ্বন্দ্ব থাকে না।"
তবে অনেক ভোক্তা বলছেন, কেজি দরে বিক্রির ফলে দাম বেড়ে গেছে। লিচু কিনতে আসা ক্রেতা উজ্জল হোসেন বলেন, "বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে। আমাদের বাসায় ছোট বাচ্চা আছে, তাই বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে।"
এক নারী ক্রেতা বলেন, "জীবনে প্রথম কেজি দরে লিচু কিনলাম। মহিলা মানুষ, বাজারে এসে তো বেশি কিছু বলতে পারি না। তাই দোকানদার যা বলেন, তাই নিতে হয়।"
অপর এক নারী জানান, "আগে পিস ধরে লিচু কিনতাম। এখন কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। এতে দাম কিছুটা বেশি হলেও কিনতে সুবিধা হচ্ছে।"
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফারহানা ইসলাম অজন্তা বলেন, "কেজি দরে লিচু বিক্রির বিষয়ে আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা আছে কি না, সেটি আমার জানা নেই। বিষয়টি অধিদপ্তরে জানিয়ে আইনগত দিক জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
ভোরের আকাশ/এসএইচ