মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৫ ০৮:২৬ পিএম
প্রতীকী ছবি
মাদারীপুরে পৌরছাত্রলীগের সহসভাপতি ও তার দুইভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অস্থায় দুইজনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে।
বুধবার দুপুরে শহরের ডিসিব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, মাদারীপুর পৌরসভার ‘নতুন মাদারীপুর’ গ্রামের আজিজ মুন্সির ছেলে লিখন মুন্সি, মিলন মুন্সি ও সোহাগ মুন্সি। তাদের মধ্যে লিখন মুন্সি শ্রমিকদল নেতা, শাকিল মুন্সি হত্যা মামলার আসামি ও মাদারীপুর পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জেলা বিএনপির আয়োজনে গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে একটি বিজয় মিছিল শকুনি লেকেরপাড় থেকে বের হয়ে ইটেরপুলের দিকে রওয়ানা দেয়। এতে অংশ নেয় লিখন মুন্সিসহ তার চারভাই। পেছন থেকে লিখনের মেঝভাই মিলনের উপর অতর্কিত হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত।
এ সময় কুপিয়ে জখম করা হয় মিলনকে। তাকে বাঁচাতে লিখন ও সোহাগ এগিয়ে আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। আহতদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে তিনভাইকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে দুইজনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা পুলিশের। এদিকে তিনভাইকে কুপিয়ে পালিয়ে যাবার সময় ধাওয়া দিয়ে একই এলাকার মামুন ঢালীর ছেলে আবির ঢালীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে আবির ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘শ্রমিকদল নেতা শাকিল মুন্সি হত্যাকান্ডের জেরে এই হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে লিখন মুন্সির লোকজন আবির ঢালী নামে একজনকে কুপিয়ে আহত করেছে, তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে নেয়া হয়েছে। পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আর শ্রমিকদল নেতা শাকিল মুন্সি হত্যাকান্ডের জেরেই এই ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, ২৩ মার্চ রাতে মাদারীপুর সদর উপজেলার ‘নতুন মাদারীপুর’ এলাকায় সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি (একাংশ) ও নতুন মাদারীপুর এলাকার মোফাজ্জেল মুন্সির ছেলে শাকিল মুন্সিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ২৬ মার্চ দুপুরে নিহতের বড়ভাই হাসান মুন্সি বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৬৭ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় আসামি করা হয় লিখন মুন্সিকে।
ভোরের আকাশ/জাআ