ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫ ০৩:৩৫ পিএম
ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত যুবলীগ নেতা পংকজ এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে
গত বছর কোটা সংস্কার আন্দোলনে চলাকালীন চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ ও চাক্তাই এলাকায় দফায় দফায় ছাত্র-জনতা ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ সংঘর্ষে সময় যুবলীগ নেতা পংকজ শীল সরাসরি যুক্ত ছিলেন। তিনি আনোয়ারা উপজেলা যুবলীগ নেতা। পংকজ শীল নির্বিচারে ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। তাতে ছাত্রদের অনেকের প্রাণ যায়। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য শক্তির কারণে পংকজ শীল এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।কাগজ জালিয়াতি করে জায়গা দখল করা, খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করা ও ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলাসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে ৩নং রায়পুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা পংকজ শীলের বিরুদ্ধে।
গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে রয়েছে তার সম্পৃক্তা। স্থানীয় সাবেক ভূমিন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে তার ব্যবসায়িক লেনদেন। তার আপন চাচাতো ভাই ভূমিদস্যু ও মাদক কারবারি খোকন শীলের ও ইয়াবা সম্রাট বদির মাধ্যমে এই সব কাজ সে করতো। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল।
স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর এখনো ব্যবসা-বাণিজ্য ও মাদকের কারবার করে যাচ্ছেন। তিনি রায়পুর ওয়াহেদ আলী চৌধুরী বাজারে মুক্তা ফার্মেসি নামে একটা ফার্মেসি চালাচ্ছেন।
আরো জানা যায়, স্থানীয় মাফিয়াদের সঙ্গে মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত আছেন। চট্টগ্রামের ইয়াবা সম্রাট বদির সঙ্গে রয়েছে তার পার্টনারশিপ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ভুক্তভোগী বলেন, পংকজ শীল আমার উঠান দখল করে আছে। সে সব সময় গুলি করে দেয়ার ভয় দেখায়। কথায় কথায় সে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। কিছু হলে গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। তার কারণে আমাদের মা-বোনরা বাড়ি থেকে বের হতে পারে না।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগী বলেন, পংকজ শীল এক সময় যুবলীগ করতো এখন বিএনপির সঙ্গে সমন্বয় করে মাদক কারবার ও জমি দখলের সঙ্গে জড়িত। তার ভয়ে বাড়িতে কেউ কথা বলতে পারে না। কথায় কথায় মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে পংকজের বক্তব্য নিতে বারবার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ