বরগুনায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার
বরগুনা পৌর শহরের কমিশনার মোশাররফ হোসেনের বাসার দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকা মোসা. সাহিদা আক্তার রোজী (৫৪) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২১ মে) দুপুরে পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শেফা ক্লিনিক সংলগ্ন কমিশনার ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
মোসা. রোজী আক্তার বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নম্বর এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মাইঠা গ্রামের মো. মোস্তফা খানের স্ত্রী।
জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে শহরের ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। গত দুই দিন ধরে তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তার কাছে বাবার বাড়ির জমি বিক্রির একটি বড় অঙ্কের টাকাও ছিল বলে জানা গেছে।
পরে পরিবারের সদস্যরা বাড়ির মালিককে সঙ্গে নিয়ে রোজীর বাসায় যান। ঘর তালাবদ্ধ থাকায় দরজা খুলে তারা রোজীকে বাথরুমে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত পুলিশে খবর দেন।
এ বিষয় বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. জহুরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, আমরাও শুনেছি সাহিদা আক্তার রোজীর বাসা বাহির থেকে তালাবদ্ধ ছিলো। তার মৃত্যুর বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। ময়না তদন্তে মৃত্যুর কারণ বেরিয়ে আসবে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
‘জুলাই পূর্ণজাগরণ’ উপলক্ষে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে যথাযোগ্য মর্যাদায় অনুষ্ঠানমালা পালনের লক্ষ্যে মাগুরায় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ১১টায় মাগুরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম।আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহাম্মেদ, সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খান, জেলা জামায়াতের আমীর এমবি বাকের, মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক এবং জেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।জেলা প্রশাসক বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। শহীদদের স্মরণে ১৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।” নির্ধারিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ, ম্যারাথন র্যালি, বৃক্ষরোপণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দোয়া মাহফিল এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক অনুধাবন।সভায় অংশগ্রহণকারীরা অনুষ্ঠানমালাকে সফল করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।ভোরের আকাশ/আজসা
কুড়িগ্রামের হিমাগারে আলু রাখার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় আলু ফেলে অবরোধ কর্মসূচী পালন করে আলু চাষী ও ব্যবসায়ীরা।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী বাজারে এ কর্মসূচী পালন করেন তারা।এতে প্রায় দেড় ঘন্টা বন্ধ থাকে কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়কে যান-বাহন চলাচল। এসময় দুর্ভোগে পড়ে সড়কে চলা গাড়ির চালক ও যাত্রীরা। অবরোধকারীরা জানায়, বাজারে আলুর দাম কম থাকা সত্ত্বেও চলতি মৌসুমে অযৌক্তিকভাবে হিমাগার ভাড়া বৃদ্ধি করেছে মালিকরা। পরে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তারা আরও জানান, আলুর বীজ, সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধির ফলে প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে ২২ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি আলুতে হিমাগার ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে ৬ টাকা ৭৫ পয়সা। এবছর উৎপাদন খরচ ও হিমাগার ভাড়াসহ সবমিলে প্রতি কেজি আলুতে খরচ পড়বে ২৯ টাকা। আর বর্তমানে বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে। এতে প্রতি কেজি আলুতে লোকসান গুনতে হচ্ছে ১৪ টাকা। এ অবস্থায় চরম ক্ষতির মুখে পড়ায় হিমাগারে প্রতিকেজি আলুর ভাড়া ৫ টাকা নির্ধারনের দাবি জানান তারা।আলু চাষী হাসু মিয়া বলেন, গত বছর যে বস্তুা ৩৫০ টাকায় হিমাগারে রাখা হয়েছিল, সেই বস্তুা এবার ৪৫০ টাকারও উপর। এমনিতে আলুর দাম কম, আরও যতি হিমাগার ভাড়া এতো বেশি দেই, কিভাবে আমরা কৃষকরা বাঁচবো। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভীন বলেন, বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পরে কৃষকরা তাদের কর্মসুচী প্রত্যাহার করে। এছাড়াও তাদেরকে আগামীকাল মঙ্গলবার ডাকা হয়েছে, তারা আসলে আবারও বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোরের আকাশ/জাআ
ঢাকার ধামরাইয়ে সোমভাগ-ফুকুটিয়া বংশী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের সময়সীমা সোয়া ৫ বছরে পেরিয়ে গেলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। ফলে এখনো বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমী বাঁশের সাঁকোই দুই পাড়ের ১০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা। ওই এলাকার মানুষের স্বপ্নের সেতুটি কবে নির্মাণ কাজ শেষ হবে তা কেউ বলতে পারেনি। এমনকি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসও বলতে পারেনি।জানা গেছে, কাজের সিডিউল অনুযায়ী ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়। অপরদিকে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এ সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যথা সময়ে কাজ সম্পন্ন না করে দুই দফায় দুইটি শুধু পিলার উঠিয়েই ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। এরমধ্যে কাজটি শেষ করার জন্য উপজেলা এলজিইডি অফিস থেকে তিন দফায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠিও দেওয়া হয়। পরে ২০২২ সালের শেষের দিকে আবার কাজ শুরু করে। এরপর নদীর মাঝখানে আরও দুটি পিলার নির্মাণ শেষ করার পর তিন দফায় আবার কাজ বন্ধ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।বর্তমানে সেতুর মাঝখানের গার্ডার তৈরী পুরোপুরি শেষ না করে আবার কাজ বন্ধ করে রেখেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সেতু নির্মাণ। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ধামরাইয়ের ১০টি গ্রামের মানুষ।ধামরাই উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে জিডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় সোমভাগ-ফুকুটিয়া বংশী নদীর ওপর ৯৮ দশমিক ১০ মিটার দৈর্ঘ্য একটি সেতু নির্মাণের টেন্ডার হয়। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৫ কোটি ৭০ লাখ ৬ হাজার ৭৭৪ টাকা। কাজটি পান মেসার্স সুরমা অ্যান্ড খোশেদা এন্টারপ্রাইজ (জেভি) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।আশুলিয়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল হালিম বলেন, সোমভাগ ইউনিয়নসহ আশপাশের প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের পথ এই নদীর উপর দিয়ে। তাদেরকে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুধু কি তাই পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষি পণ্য ঢাকার বিভিন্ন বাজারে নিয়ে কেনাবেচা করতে পারছে না। তিনি আরো বলেন এখন যে অবস্থা সেতুর কাজ আদৌ হবে কি না বা মৃত্যুর আগে দেখতে পাবো কি তাও ভাবার বিষয়।ওই এলাকার সাইফুল, মিনহাজসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, গ্রামের মানুষ চরম কষ্টের মধ্য দিয়ে নদীতে বর্ষা মৌসুমে খেয়া নৌকায় আর শুস্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে তার উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তা ছাড়া যাতায়াতের জন্য প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে যেতে হয়।বর্তমানে সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে এ সম্পর্কে ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী মিনারুল ইসলাম বলেন, আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বার বার তাগিদ দিচ্ছি যেন অতি দ্রুত সেতুর কাজ শুরু করেন।ভোরের আকাশ/আজাসা
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের বুইচাকাঠী বাজারে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত সাত লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ভোররাতে স্থানীয় বুইচাকাঠী বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, বাজারের দোকানে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয় লোকজন। মুহুর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে মো. সোলায়মান হাওলাদারের ফলের দোকান, এনায়েত হোসেনের ওষুধের দোকান ও মিজানুর রহমানের ইলেকট্রনিকের দোকান সহ একটি মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে দোকানের মূল্যবান মালামাল পুড়ে অন্তত সাত লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নাজিরপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সোয়াইব মুন্সি জানান, খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ভোরের আকাশ/জাআ