ফ্যাসিবাদী হাসিনার ষড়যন্ত্র থেমে নেই: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভয়ংকর ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের প্রতীক শেখ হাসিনা। এখনো দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে বহু ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাস্টারপ্ল্যান চালাচ্ছে। রিজভী বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। দলকে তৃণমূল থেকে সুসংহত করতে হবে, যেন জনগণ ধানের শীষে ভোট দেয়। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট দোসরদের যেন আর সুযোগ না দেওয়া হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।বরগুনা ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন। অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের সম্পদ লুটপাট করে সরকারদলীয় নেতারা বিদেশে অন্তত ২০ প্রজন্ম নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারবে- এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, টাকা পাচারকারীদের যেন কোনোভাবেই ফিরিয়ে আনা না হয়, সে জন্যই আওয়ামী লীগ সবকিছু করছে।রিজভী বলেন, মানুষ খুন করে, ছাত্র খুন করে, শিশু খুন করে যারা ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিল- তাদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আপস নেই। যারা আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে, তারা যেন অন্য খোলসে আবার আত্মপ্রকাশ করতে না পারে, সেটি দেখতে হবে।তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে আনাফ, ওয়াসিম আকরাম, আবু সাঈদ, মুগ্ধদের গুলি করে হত্যা করেছে। এই আত্মত্যাগের মাধ্যমেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ রচিত হয়েছে। তাদের রক্ত কখনোই বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র ফেরানোর সংগ্রামের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার ওপর চালানো হয়েছে ভয়াবহ নিপীড়ন, কিন্তু তাকে দমাতে পারেনি। তিনি গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন নেতৃত্ব দিয়ে আজও আমাদের অনুপ্রেরণা।রিজভী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নিউইয়র্কে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো দেখিয়ে দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো সঠিক দক্ষতা দেখাতে পারছে না। আওয়ামী দোসররা বিদেশের মাটিতেও অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার যদি কার্যকর ব্যবস্থা নিত, তাহলে এসব সাহস পেত না।দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন একটি অথর্ব সংস্থা। কোনো ফ্যাসিস্টের দোসরের শাস্তি দিতে পারেনি। যেসব টাকা আদালত ফেরত আনার নির্দেশ দিয়েছে, সেগুলোরও কোনো হদিস নেই। এই পরিস্থিতি দেশবাসী চায়নি।বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে রিজভী বলেন, এখন তো হাসিনা নেই, আওয়ামী লীগের পুলিশ নেই, ছাত্রলীগ নেই, হেলমেট বাহিনী নেই, তাহলে অপহরণ দ্বিগুণ হয়েছে কেন? আইনশৃঙ্খলার এই অবনতি জনগণ মেনে নেবে না।এসময় পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক সদস্য সচিব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ