নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৫ ০৮:৪৬ এএম
সরকারি গাড়িতে কোরবানির গরু নিলেন ইউএনও
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। রাজশাহী গিয়ে একটি সভা শেষ করে সোজা হাটে গিয়ে তিনি কোরবানির গরু কিনেছেন। তারপর সেই সরকারি গাড়িতেই তুলে নিয়ে গেছেন গরু। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলে আমের কেনাবেচার সময় আড়তদারদের বাড়তি ওজন নেওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একটি সভা ছিল।
এ সভায় এসেছিলেন বাগাতিপাড়ার ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। তিনি এখন বাগাতিপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনারেরও (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তাই উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) ডাবল কেবিন পিকআপ নিয়েই তিনি সভায় আসেন। সভা শেষ হয় দুপুরে।
এরপর রাজশাহীর সিটিহাটে গিয়ে তিনি কোরবানির জন্য একটি গরু কেনেন। সেই গরু তিনি গাড়ির পেছনের কেবিনে তুলে নেন। আর সামনের কেবিনে বসেন ইউএনও। এভাবে তিনি সরকারি গাড়িতে রাজশাহী থেকে গরু নাটোর নিয়ে যান।
জানতে চাইলে গাড়ির চালক সুমন আলী বলেন, ‘মিটিং শেষ করে স্যার হাটে যান গরু কিনতে। তারপর গাড়িতে করেই গরু বাগাতিপাড়ায় নিয়ে এসেছি। স্যার সঙ্গেই ছিলেন। তাঁর অনুমতি পেয়েই আমি গাড়িতে গরু তুলেছি। এ বিষয়ে কোনো কথা থাকলে স্যার বলবেন।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাগাতিপাড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, ‘আমার বাগাতিপাড়া উপজেলায় কোনো পশুহাট নেই। আমাকে বাগাতিপাড়াতেই ঈদ করতে হচ্ছে। একটা কোরবানি তো দিতে হবে। আশপাশে খোঁজ নিয়েও আমি গরু পাইনি। তাই মিটিং শেষ করে আসার সময় দুই থেকে আড়াই মণ ওজনের মাঝারি আকারের একটা গরু রাজশাহী থেকেই কিনে এনেছি।’
সরকারি গাড়িতে গরু ওঠানো ঠিক হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তো গাড়িতে অবৈধ কিছু তুলিনি। একটা গরু, গাড়ির পেছনের কেবিনে জায়গা ছিল। তাই তুলে নিয়েছি।
এ বিষয়ে কথা বলতে নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীনের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ডিসিসহ বিষয়টি সবাই জানেন, আমাদের নজরেও এসেছে। এটা ঠিক হয়নি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ