সাহায্যের (মানবিক)আবেদন
নাজিরপুর ( পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৫ ০৩:১৩ পিএম
ছবি : ভোরের আকাশ
টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না হাঁটুতে টিউমার ক্যান্সার আক্রান্ত জেলে আমির বয়াতি (৪৫)। দিন দিন যন্ত্রণায় বিষণ্ন হয়ে উঠেছে তার জীবন। অভাব অনটনের সংসারে স্ত্রী সন্তান থেকেও যেন কেউ নেই তার উপার্জন করার। ভিটেমাটি বিক্রি করেও অসুস্থ জেলে আমির বয়াতীর চিকিৎসা করাতে চেষ্টার কমতি ছিল না পরিবারের।
অসহায় এ জেলে পরিবারটির দিন কাটছে অন্যের সহযোগিতায়। কোন রকম দু’বেলা দুমেঠো খাবারের ব্যবস্থা হলেও মিলছে না জেলে আমিরের চিকিৎসার অর্থ। এতদিন পৈতৃক ভিটেমাটি বিক্রি করা টাকা ও বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধারদেনা করে চিকিৎসা চলেছে। স্থানীয়রা কিছু টাকা দিয়ে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠালে সেই টাকা টেস্টেই শেষ হয়ে যায় এরপর আমিরের পরিবার বাড়িতে নিয়ে আসেন টাকার অভাবে। এখন তার চিকিৎসার অর্থ যোগানে ব্যর্থ পরিবারের সদস্যরা।
আমির বয়াতি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের হেতালিয়া গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন জেলে ছিল। ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে তার। বর্তমানে ক্যান্সার আমির বয়াতি চিকিৎসার অর্থাভাবে কাঁদাচ্ছে পুরো পরিবারকে। তিনি জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিইট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে প্রয়োজন লাখ লাখ টাকার; কিন্তু টাকার অভাবে সেখান থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তাকে। বর্তমানে দরিদ্র এই পরিবার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে অক্ষম।
অসুস্থ আমির বয়াতি বলেন, আমি যন্ত্রণায় কথা বলতে পারি না। আমি গরীব অর্থ অভাবে চিকিৎসা করাতে পারি না। আমি বাঁচতে চাই আপনারা আমাকে সাহায্য করুন।
আমির বয়াতীর স্ত্রী ফাহিমা বেগম জানান, ২৫ বছর আগে তার পায়ে আঘাত পান। তিন বছর আগে সেখানে টিউমার ধরা পরে খুলনা থেকে অপারেশন করাই কিছুদিন ভালো থাকার পরে। আবার সেই রোগে আক্রান্ত হলে স্থানীয়রা কিছু টাকা উঠিয়ে দিলে সেটা নিয়ে ঢাকা ডাই চিকিৎসা করাতে। কিন্তু সেই টাকা টেস্টেই শেষ হয়ে যায়। এখন তাকে বাড়ি নিয়ে আসছি। টাকার অভাবে লোকটা মারা যাবে সমাজের বা দেশের কি কেহ নাই যে আমাদের একটু সাহায্য করবে আমার স্বামীকে চিকিৎসা করাবে।
আমির বয়াতীর শিশু (৭) ছেলে রমজান বাবার চিকিৎসার জন্য সবার কাছে সাহায্য চেয়েছে কান্না করতে থাকেন।
প্রতিবেশী শহিদুল জমাদ্দার ও ফারুক বয়াতি জানান, গত ৮ মাস আগে ক্যান্সার ধরা পড়ে আমির টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি। আমরা গ্রামবাসী মিলে কিছু টাকা সাহায্য করি। সেই টাকা নিয়ে আমরা দুজনে আমিরকে নিয়ে ঢাকা গেলে সব টাকা টেস্টে শেষ হয়ে যায়। কোনো চিকিৎসা করাতে পারি নাই।
এখন আমিরের যে পরিমাণ টাকা দরকার চিকিৎসা করাতে সেটা পরিবারের নেই। আমাদের জেলে গ্রাম, এখানে ধনী পরিবার নাই। আমরা পরিবারের পক্ষে থেকে দেশের বিত্তবান দানশীল ব্যক্তিদের বলবো তারা যেন আমিরের চিকিৎসায় এগিয়ে আসে। আমির সুস্থ হলে ওর পরিবারটি বাঁচবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বশিরুল ইসলাম জানান, আমির বয়াতি আমার ওয়ার্ডের একজন অসহায় লোক। তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে আছে। তার ভিটামাটি বিক্রি করে চিকিৎসা করা হয়েছে। কিন্তু তেমন কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। সরকারি বা অন্য কোনো ভাবে সাহায্য পেলে চিকিৎসা নিলে সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি।
আমির বয়াতির পরিবারের আকুতি সবাই সহযোগিতার হাত বাড়ালে তারা তাকে বাঁচাতে পারবেন।
সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ করুন: ০১৩৩৪৫১৭৮৬৩ আরিফ বয়াতি।
ভোরের আকাশ/মো.আ.