ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৮ পিএম
ছবি: প্রতীকী
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণের চূড়ান্ত তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্তে কিছু কিছু এলাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে। আবার কেউবা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করছে।
গত ২৪ আগস্ট রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে বিভিন্ন আসনের খসড়া সীমানা নিয়ে শুনানির প্রথম দিনে হাতাহাতিতে জড়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই পক্ষ। এ সময় হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ তোলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।
সারাদেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদের ৩৭টি সংসদীয় আসনে পরিবর্তন এনে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ কারিগরি কমিটির পক্ষ থেকে ৪২টি সংসদীয় আসনে পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছিল। পরে কমিশন পর্যালোচনা করে ৩৯টি আসনে পরিবর্তন এনে খসড়া প্রকাশ করেছিল।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন অনুযায়ী প্রাথমিক তালিকার ওপর প্রাপ্ত আপত্তি, দাবি, সুপারিশ ও মতামত পর্যালোচনা শেষে এবং প্রকাশ্য শুনানি গ্রহণ করে কমিশন চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করেছে। চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে যুক্ত করা হয়েছে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ও চান্দুরা ইউনিয়নকে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা এবং বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুর, চম্পকনগর, পত্তন, সিংগারবিল, বিষ্ণুপুর, চর ইসলামপুর, পাহাড়পুর ও হরষপুর ইউনিয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০২৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ছিল সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা। প্রস্তাবিত সীমানায় এ দুই উপজেলার সঙ্গে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী, চান্দুরা ও হরষপুর ইউনিয়নকে যুক্ত করা হয়েছে।
২০২৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ছিল সদর ও বিজয়নগর উপজেলা। এবার করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এবং বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুর, চম্পকনগর, পত্তন, সিংগারবিল, বিষ্ণুপুর, চর ইসলামপুর ও পাহাড়পুর ইউনিয়ন। এ দুই আসনের খসড়া সীমানা প্রকাশের পর পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন জমা পড়েছিল। শুনানিতে অংশ নিয়ে ইসির প্রকাশিত খসড়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। এরপর খসড়ার বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোহাম্মদ আতাউল্লাহ। তারা উপজেলাকে অখণ্ড দেখতে চান।
যুক্তিতর্কের একপর্যায়ে দুই পক্ষ উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। হট্টগোলের একপর্যায়ে ইসি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ইসি সচিব আখতার আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানি শেষ করেন এবং তাদের শুনানি কক্ষ ত্যাগ করার অনুরোধ জানান।
ভোরের আকাশ/তা.কা