আশরাফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫ ০২:১২ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যকরী পরিষদের বৈঠকে এক পক্ষের হট্টগোল, স্টাফদের মারধর, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা এবং কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে শহরের মসজিদ রোডস্থ চেম্বার ভবনের কনফারেন্স রুমে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কার্যকরী পরিষদের নেতৃবৃন্দ অনেকটাই নির্বাক ও ক্ষুব্ধ হয়ে চেম্বার ভবন ত্যাগ করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যকরী পরিষদের বৈঠক আহ্বান করা হয়। বৈঠকটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি আজিজুল হক ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর।
সভায় এফবিসিসিআই সাধারণ পরিষদের সদস্যপদে প্রতিনিধির নাম প্রেরণের বিষয়ে আলোচনা হয়। সভা শেষে একটি পক্ষ হঠাৎ করে নাম প্রেরণের বিষয় ও সভার বৈধতা নিয়ে বিরোধিতা করে হট্টগোল শুরু করেন।
এক পর্যায়ে কার্যকরী বিবরণীর রেজিস্টার খাতা ছিনিয়ে নিয়ে যান ক্ষুব্ধ পক্ষটি। পরে হট্টগোলকারীদের পক্ষে একদল লোক এসে চেম্বার ভবনে কর্মরত সচিব মো. আজিম উদ্দিনের কক্ষে প্রবেশ করে তাকে নাজেহাল করেন।
এ সময় তার কাছে থাকা দু’টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। একই সময় পাশের কক্ষে হিসাবরক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকেও মারধর করেন তারা। এ সময় তার কাছ থেকে ২১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীর। একই কক্ষে থাকা কম্পিউটার অপারেটর দুলাল মিয়াকে হুমকি দিয়ে কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ছিনিয়ে নিয়ে যায় হট্টগোলকারীদের পক্ষের লোকজন।
খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন জানান, আওয়ামীপন্থী ব্যবসায়ী নেতারা ছিলেন বৈঠকে। পরে বিএনপিপন্থীরা এসে রেজুলেশনের খাতা চেক করেন।
এ সময় খাতা নিয়ে টানা-হিঁচড়া হয়েছে। পরে তারা চলে যায়। তবে কাদের সঙ্গে সমস্যা হয়েছে অভিযোগকারীরা এ বিষয়ে কোনো নাম-পরিচয় দিতে পারেননি।
স্টাফদের মারধর, টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা এবং কম্পিউটার হার্ডডিস্ক ছিনিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোরের আকাশ/জাআ