পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫ ০৯:১৮ পিএম
সংগৃহীত ছবি
পাবনার সদরের দোগাছিতে অটোরিকশা চার্জে দিতে গিয়ে বিদ্যুৎপষ্টে জাহাঙ্গীর আলম ( ৪০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে দোগাছি পুর্বপাড়া চিথুলিয়ার শাকিল হোসেনের অটোরিকশা গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম চিথুলিয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। অটোরিকশা চালিয়ে জীবনযাপন করতেন। তিনি তিন কন্যা সন্তানের জনক। এক মেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মত আজকে ভোরে শাকিলের গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে শহর ও তার আশপাশ এলাকায় চালিয়ে দুপুর ১২ টার দিকে ওই গ্যারেজে অটোরিকশা রেখে বাড়িতে গোসল ও খাওয়া দাওয়া করতে যায়। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে এসে অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হোন। গুরুতর আহতাবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় মৃত্যু হলে বাড়িতে ফিরে নিয়ে আসেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে নেওয়া মিটারে এই অটোরিকশা গ্যারেজ দীর্ঘদিন ধরে চার্জের ব্যবসা করে আসছে। এই গ্যারেজে এর আগেও তিন/চারজন বিদ্যুৎপৃষ্টের শিকার হোন। সম্পুর্ণ গ্যারেজ মালিকের অবহেলা ও গাফিলতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে। গ্যারেজের ইলেক্ট্রিসিটি লাইনে ব্যাপক সমস্যা থাকলেও তিনি এগুলো মেরামত করেন না। যার জন্য আজকে একটি তাজা প্রাণ ঝড়ে গেল। এ ঘটনায় গ্যারেজ মালিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দাবি করেন তারা। পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের অব্যবস্থাপনাকেও দায়ী করেন স্থানীয়রা।
নিহতের বন্ধু উজ্জ্বল হোসেন রনি বলেন, এ ঘটনায় আমরা সকল বন্ধুমহলের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে আমরা সবাই হতভাগ। আমরা তার পরিবারকে সাধ্যমত আর্থিক সহযোগিতা করব ইনশাআল্লাহ।
ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ খান বলেন, এই ঘটনা একটার দিকে ঘটেছে। আমরা জানতে পেরে বিকেলে সেখানে গিয়েছি। সবচেয়ে দু:খজনক বিষয়টি হলো বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সমস্ত গ্যারেজ বিদ্যুৎপৃষ্টে ছিল। পল্লী বিদ্যুতের লোকজন এটার কোন ব্যবস্থা করেনি। বিদ্যুৎ ও বন্ধ করেনি। এই গ্যারেজটি সম্পর্ণ অব্যবস্থাপনায় রয়েছে। মালিকের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। বিকেলে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন আসলে এদের গণধোলাই দিতে বসেছিল স্থানীয়রা। কিন্তু আমি হতে দেইনি। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হবে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোরের আকাশ/জাআ