বিনা অনুমতিতে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৬ মাসের কারাদণ্ড
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নে অবৈধভাবে কৃষিজমি কেটে মাটি উত্তোলনের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে রাশেদুল ইসলাম উজ্জ্বল (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) রাতে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে দেখা যায়, উজ্জ্বল কোনো অনুমতি ছাড়াই একটি বৃহৎ কৃষিজমি কেটে সেখানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে তা ট্রাকযোগে সরবরাহ করছিলেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে উক্ত জমি কেটে মাটি বিক্রির কাজ চালিয়ে আসছিলেন জমির মালিক। এতে পার্শ্ববর্তী রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল এবং ভারী ট্রাক চলাচলের কারণে পথচারী, বিশেষ করে শিশুদের জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছিল।
অভিযানে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর আওতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত রাশেদুল ইসলাম উজ্জ্বলকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গত বুধবার রাতে উপজেলার খাড়েরা পশ্চিম পাড়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করে স্বামী নিজেই আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বুধবার রাত ৯ টায় কসবা থানাধীন খাড়েরা ৮নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারভেজ (৩০) ও তার স্ত্রী লাকি বেগমের (২৩) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। ৬ মাস আগে লাকি তার স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। পরে সে খাড়েরা গ্রামের কামাল মাস্টারের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ নেয়। বুধবার (৯ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে পারভেজ তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসলে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে পারবভজ ছুরি দিয়ে স্ত্রী লাকিকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং পরে নিজেই নিজের শরীরে ছুরি চালিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। আহত লাকিকে উদ্ধার করে দ্রুত কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আব্দুল কাদের জানান, আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে এবং মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে আজ শপথ নেবেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের ৬৯৪ সৈনিক (নারী-পুরুষ)। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের (বিজিটিসিঅ্যান্ডসি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ শুরু হবে।অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন করবেন।এ সময় বিজিটিসিএন্ডসি’র কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গাজী নাহিদুজ্জামান উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ গত ২৬ জানুয়ারি বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ (বিজিটিসিএন্ডসি)-এ শুরু হয়। দীর্ঘ ২৪ সপ্তাহের কঠোর ও কষ্টসাধ্য প্রশিক্ষণ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়।সর্বমোট ৬৯৪ জন রিক্রুটের মধ্যে ৬৫৮ জন পুরুষ ও ৩৬ জন নারী রিক্রুট মৌলিক প্রশিক্ষণ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া চা বাগানে সেপটিক ট্যাংক থেকে ৪ তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেপটিক ট্যাংকের গ্যাসের বিষক্রিয়ায় এই মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে চিকিৎসক।বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চার তরুণ হলেন শ্রীমঙ্গল হরিণছড়া চা বাগানের বাসিন্দা রানা নায়ক (১৭), শ্রাবণ নায়েক (১৯), কৃষ্ণ রবিদাস (২০) ও নিপেন ফুলমালি (২৭)।এর আগে বুধবার (৯ জুলাই) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার হরিণছড়া চা বাগানের একটি সেপটিক ট্যাংকে নেমে এ দুর্ঘটনা ঘটে।জানা যায়, সেপটিক ট্যাংকে মোবাইল পড়ে যাওয়ার পর একজন তা তুলতে যায়। এরপর একে একে আরও ৪ জন যায় এবং সবাই অচেতন হয়ে পড়ে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাদেরকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর একজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, সেপটিক ট্যাংক থেকে মোবাইল তুলতে গিয়ে গ্যাসের বিষক্রিয়ায় ৪ তরুণের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গাজীপুর জেলার পাঁচটি আসনের জন্য পাঁচজন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।বৃহত্তর গাজীপুরের মধ্যে রয়েছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ উপজেলা। এখানে রয়েছে জাতীয় সংসদের ৫ টি নির্বাচনী আসন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক জামাল উদ্দিন ও গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা শেফাউল হক মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।গাজীপুর জেলার ৫ সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত প্রার্থীরা হলেনগাজীপুর-১( কালিয়াকৈর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও আশির দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্র শিবিরের মেধাবী ছাত্র নেতা মুহাম্মদ শাহ আলম বকশী।গাজীপুর-২( সদর) আসনে ঘোষিত প্রার্থী হলেন, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হোসেন আলী। হোসেন আলী অবিভক্ত গাজীপুর জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ছিলেন।গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী হলেন, গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ড. জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীর আলম একসময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবিরের ডাকসাইটের নেতা ছিলেন।গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত এমপি প্রার্থী হলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বর্তমানে গাজীপুর সদর মেট্রো থানার আমীর অধ্যক্ষ সালাহউদ্দিন আইউবী। সালাউদ্দিন আইউবী ছাত্র শিবিরের গাজীপুর মহানগরের প্রথম সভাপতি ছিলেন।গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ) আসনে জামায়াতের প্রার্থী হলেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য খায়রুল হাসান। তিনি অবিভক্ত গাজীপুর জেলার ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ সালে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন। ওই নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে তৎকালীন সরকার দলীয় লোকজন প্রভাববিস্তার করে তাঁর নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিলো বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছিলো।গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন বলেন, আমরা গাজীপুরের পাঁচটি আসনের জন্য আমাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছি। ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষা, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় এবং বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তারা নিরলসভাবে কাজ করবেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ