এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পানি কলম ও মাক্স বিতরণ করলো টঙ্গী ছাত্রদল
টঙ্গীতে ছাত্রদলের উদ্যোগে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইন, মাক্স, কলম ও ফাইল বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) সকাল থেকে টঙ্গী সরকারি কলেজে পরীক্ষার কেন্দ্রের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে এসব বিতরণ করেন কলেজ শাখা ছাত্রদল।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এইচ এম আবু জাফর। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিরণ। টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী এইচ এম আরিফ, ফজলে রাব্বি রাফসানসহ থানা ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা পরীক্ষার হলের গেটে তাঁদের আদরের সন্তানের জন্য পরিক্ষার কেন্দ্রের বাহিরে প্রচন্ড গরমে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ তিন ঘন্টা অপেক্ষা করেন।
এদিকে অভিভাবদের ক্লান্তভাব আর অস্থিরতার মধ্যে অপেক্ষায় কাটে সন্তানদের পরীক্ষার খাতা জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত। এ সময় তাদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইন, কলম ও জরুরি চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে অনেকটাই স্বস্থি ফিরে পাচ্ছেন ছাত্রদলের এ কার্যক্রমে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ছোট পাথরঘাটা গ্রামের সাধনা রানী (৩৫) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) মধ্যরাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার স্কুলপড়ুয়া ছেলের অবস্থাও বর্তমানে আশঙ্কাজনক এবং তিনি একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, কিছুদিন আগে বরগুনা শহরে প্রয়োজনীয় কাজে গেলে সেখান থেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন সাধনা রানী। অসুস্থ হলে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়, পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি ঘটলে বরিশালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিনে পাথরঘাটায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২০ জনেরও বেশি মানুষ। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। ইতোমধ্যে বরগুনা জেলাকে ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ ঘোষণা করা হয়েছে, আর সচেতন নাগরিকদের মতে পাথরঘাটাও এখন সেই চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।সাধনা রানীর মৃত্যু যেন পাথরঘাটার ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবার বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে। অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগীর স্বজনদের অভিযোগ—পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা প্রায় নেই বললেই চলে। ২৭ জন চিকিৎসকের অনুমোদিত পদের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র একজন চিকিৎসক, যিনি মূলত একজন দন্ত চিকিৎসক (ডেন্টিস্ট)।যদিও ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে, তবু চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে সেখানে রোগীরা পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সেবা। ফলে অধিকাংশ রোগীকেই বরিশাল পাঠাতে হচ্ছে বা বাড়িতে থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।পাথরঘাটা পৌর শহরের ইমান আলী সড়কের বাসিন্দা মাওলানা জাকির হোসেনের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে তাকওয়াও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক না থাকায় বাড়িতেই চিকিৎসা দিতে হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে বরিশালে রেফার করা হয়।স্থানীয়রা বলছেন, শুধু মশা মারার ফগিং করলেই চলবে না, চাই দ্রুত ও বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ। চিকিৎসক নিয়োগ, জরুরি ওয়ার্ডে সেবার মান উন্নয়ন, ওষুধ সরবরাহ এবং মশা নিধন অভিযান আরও জোরদার করতে হবে।সাধনা রানীর মৃত্যুতে তার পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। একদিকে প্রিয়জন হারানোর বেদনা, অন্যদিকে ছেলের জীবন রক্ষার যুদ্ধ—দ্বিগুণ দুঃখে ভেঙে পড়েছেন স্বজনরা।ভোরের আকাশ/জাআ
বরগুনার আমতলী উপজেলায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতা হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে মোট ৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন শিশু।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি রোগীদের মধ্যে রয়েছেন—আমতলী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিশু জায়েদ (৫), দক্ষিণ আমতলীর আল-আমিন গাজী (৩৫), আয়লা পাতাকাটা গ্রামের বিধান (৬০), পৌরসভার বুশরা (১১), কালীবাড়ীর সারামনি (১৫), তালতলীর কচুপাত্রা গ্রামের খলিল প্যাদা (৪৫) এবং উত্তর তক্তাবুনিয়ার ফরিদা বেগম (৩০)। আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন শিশু, তিনজন আমতলী পৌরসভার এবং বাকিরা পাশ্ববর্তী এলাকা ও উপজেলার।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার জানান, “হাসপাতালে পর্যাপ্ত কীট ও স্যালাইন মজুদ রয়েছে। তারপরও আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চাহিদা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।”আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তারা সবাই স্থিতিশীল।”রোগীদের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে সামান্য ওষুধ ছাড়া অন্যসব ওষুধ ও চিকিৎসা উপকরণ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে, এতে দুর্ভোগ বাড়ছে।এদিকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।এ নিয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলে এই রোগের বিস্তার রোধ করা কঠিন হবে।”ভোরের আকাশ/জাআ
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস- ২০২৫ পালিত হয়।এ উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে একটি র্যালি বের হয়। পরে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়।উক্ত প্রতিযোগিতায় ক,খ ও গ বিভাগে হাজার খানেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। "ক" বিভাগে ১ম কসবার ফাতেহা সাদাত নাবা, ২য় সরাইলের অর্পিতা দাস এবং ৩য় হয়েছেন সদর উপজেলার সাদিয়া জামান ভূঁইয়া। "খ" বিভাগে ১ম সদর উপজেলার রুহানি জাহান আফসানা, ২য় প্রাপ্তি সাহা এবং ৩য় হয়েছেন বিজয়নগর উপজেলার সাদিয়া আক্তার। "গ" বিভাগে ১ম স্থান অর্জন করেন বিজয়নগর উপজেলার সবুজ আহমেদ পিনন। ২য় লাইলী আক্তার (সদর উপজেলা) এবং তৃতীয় হয়েছেন নাইমা আক্তার (কসবা)।সবুজ আহমেদ পিনন বিজয়নগর উপজেলার কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। সে একাধারে নাচ, গান, আবৃত্তি, অভিনয়, রচনা এবং সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৭ সালে সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে প্রথম এবং ২০১৯ সালে মহান স্বাধীনতা দিবসের রচনা লিখে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হন। তাছাড়া সবুজ বাংলাদেশ স্কাউটসের একজন সক্রিয় সদস্যও। সে বিজয়নগর উপজেলায় মাদক নির্মূল, শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা, কোমলমতি শিশু- কিশোরদের মধ্যে কবিতা পাঠের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কাজ করেন। পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন নোমান মিয়া ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।ভোরের আকাশ/জাআ
নিষিদ্ধ ঘোষিত গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসানুল শেখ সুমন ও উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি ডা. আব্দুল মমিন শেখ রুবেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম।এর আগে বুধবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার কোচাশহর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাঁতী লীগের সভাপতি ডা. আব্দুল মমিন শেখ রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ওইদিন দিবাগত রাতে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের বাসা থেকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসানুল শেখ সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, উপজেলা জামায়াতে ইসলামি ও বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাংচুর এবং অগ্নি সংযোগের মামলার আসামী হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সোপর্দ করা হলে আদালত আসামীদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।ভোরের আকাশ/জাআ