পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল
ঈদুল আজহার ছুটিকে ঘিরে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল।
চায়ের রাজধানীখ্যাত এই শহরে প্রতিদিনই আসছেন শত শত পর্যটক। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, চা-বাগান, বধ্যভূমি ৭১,পাহাড়ের টানে দেশ-বিদেশের ভ্রমণপ্রেমীরা ভিড় জমাচ্ছেন এখানে।
স্থানীয় হোটেল মালিকদের দেওয়া তথ্যমতে, ঈদের ছুটির শুরু থেকেই শহরের প্রায় সব হোটেল ও রিসোর্টে ৯০ শতাংশের বেশি বুকিং সম্পন্ন হয়েছে।
অনেকে অগ্রীম বুকিং নিশ্চিত না করায় থাকতে পারছেন না কাঙ্খিত জায়গায়। পর্যটক মো. আরিফুল বলেন, ‘প্রতিবার ঈদের ছুটিতে কোথাও ঘুরতে বের হই। এবার পরিবারসহ শ্রীমঙ্গলে এসেছি। চা-বাগানের সবুজ দৃশ্য, পাখির কিচিরমিচির আর বনের শীতল বাতাস মন ভরিয়ে দিচ্ছে।’
পর্যটক সুমিত্রা দেব বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে আমি পরিবার সহ এসেছি শ্রীমঙ্গলে। অনলাইনে শ্রীমঙ্গলের অনেক ভিডিও দেখে না এসে আর পারলাম না, তবে অতিরিক্ত গরমের কারণে বাচ্চাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল লেমন গার্ডেন রির্সোটের নির্বাহী পরিচালক, এল এন.এম.কে. এস.সুলতান বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি পর্যটক শ্রীমঙ্গলে এসেছেন। আমাদের এখানে রুম বুকিং ছাড়া ও টিকেট ক্রয় করে পর্যটকরা প্রবেশ করতে পারেন। এবারের মত পর্যটক শ্রীমঙ্গল প্রবেশ করলে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ পর্যটক কেন্দ্র হবে শ্রীমঙ্গল।
ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ঈদে পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাতে কেউ কোনো সমস্যায় না পড়েন।
লাউয়াছড়া, মাধবপুর লেক, বধ্যভূমি, দার্জিলিং টিলাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে আমাদের টহল ব্যবস্থা সার্বক্ষণিকভাবে চলমান রয়েছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
বাগেরহাট জেলা ও চিতলমারী উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কমিটি পরিচিতি সভায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ করায় চিতলমারী উপজেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী নুরুল আমিনের ওপর জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয়ক ও সদস্য শারাফাতুল ইসলামসহ তার সন্ত্রাসীদের আক্রমনের বিচারের দাবীতে এক সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে।শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ১১টায় চিতলমারী প্রেসক্লাবের নিজস্ব কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চিতলমারী উপজেলা এনসিপির সদস্য মো: জাকারিয়া খান। তিনি বলেন, গত ৩ জুন বাগেরহাট জেলা এবং চিতলমারী উপজেলার জাতীয় নাগরিক পার্টি কমিটি প্রকাশিত হয়। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের সাথে আন্দোলনে সম্পৃত্ত কোন স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা না করে তাদের পছন্দের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজনকে সম্পৃত্ত করার প্রতিবাদে ১১ জুন (বুধবার) বাগেরহাট মাজার গেটে দারু-চিনি হোটেলের সামনে সকাল সাড়ে ১১ টায় চিতলমারী উপজেলার এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী নুরুল আমিনকে জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয়ক ও সদস্য শারাফাতুল ইসলাম ও তার লোকজন মারপিট করে আহত করেন। মারপিটের ঘটনায় বাগেরহাট সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করা হয়।জাকারিয়া আরো বলেন, শারাফাতুল ইসলাম ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত চিতলমারী উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এনসিপিতে স্থান পাওয়ায় কারণ ও মারপিটে বিচার না পাওয়ার, ক্ষুদ্ধ হয়ে বাগেরহাট জেলা এনসিপির সদস্য বোরহান উদ্দীন, চিতলমারী উপজেলা এনসিপি যুগ্ম সমন্বয়কারী নুরুল আমিন শেখ, সদস্য মোঃ জাকারিয়া খান, রানু আক্তার, সাজ্জাদ গাজী মিটুন সহ আরো অনেকে পদত্যাগ করেছেন। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। সাংবাদিক সম্মেলনে এ সকল আওয়ামী পন্থীদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি উপহার দেওয়া উদাত্ত আহবান জানান।ভোরের আকাশ/জাআ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে ধরা পড়া ১৯ কেজি ওজনের পাঙাশ প্রায় ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।বৃহস্পতিবার দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে ধরা পড়ে মাছটি।স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা মাছটি কিনে দুপুরে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন। কামাল শেখ জেলের জালে মাছটি ধরা পড়ে।তিনি বলেন, আজ সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের অদূরে বাহির চর কলার বাগান এলাকায় পদ্মা নদীর মোহনায় জাল ফেলেন। তাঁর জালে একটি বড় পাঙাশ ধরা পড়ে। মাছটি বিক্রির জন্য তিনি দৌলতদিয়া ঘাট বাজারের কেছমত মোল্লার আড়তঘরে নেন। নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার আরিফা মৎস্য ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী চান্দু মোল্লা এটি ক্রয় করেন।মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, তিনি দেড় হাজার টাকা কেজি দরে সাড়ে ২৮ হাজার টাকায় মাছটি ক্রয় করেন। বিভিন্ন পরিচিত ব্যক্তিদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে দুপুরে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা লাভে ১ হাজার ৫৫০ টাকা দরে ২৯ হাজার ৫০০ টাকায় মাছটি বিক্রি করেন। পাঙাশটি দুপুরেই পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
নওগাঁর মান্দায় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।ছবি-ভোরের আকাশবৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোড়ে ৬ নং মৈনম ইউনিয়ন বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। বিভিন্ন প্রজাপতির (ফলজ, বনজ ও ঔষুধি) প্রায় ১ হাজার গাছ বিতরণ করা হয়।ছবি-ভোরের আকাশএ সময় মান্দা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক শামশুল ইসলাম বাদলের সঞ্চালনায় ও মৈনম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ও ৪৯ নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এম.এ মতিন।ছবি-ভোরের আকাশবিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এ.কে এ নাজমুল হক নাজু, সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন খান, সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ,উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা এবং বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ আলী প্রমূখ।ছবি-ভোরের আকাশএ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি'র সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড.কুমার বিশ্বজিৎ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল রানা, উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্য সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মলয় কুমার ঘোষ, যুগ্ম আহবায়ক শাহিনূর ইসলাম শাহীন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য এমরান নাজির, মৈনম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুস সালাম এবং আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।এ সময় বক্তারা বলেন, দেশীয় প্রজাতির যে সমস্ত গাছ বিলুপ্তির পথে সে সমস্ত গাছের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বৃক্ষ রোপণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই আয়োজন করা হয়। আগামীতেও এর ধারাবাহিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জেলার ডিমলা উপজেলায় অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায়ের দায়ে চার পরিবহণ কোম্পানিকে মোট ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে ডিমলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়।ডিমলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তারের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে সৃষ্টি পরিবহণ, এনা পরিবহণ, জহুরুল পরিবহণ ও কাজী পরিবহণের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জরিমানা করা হয়।স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এসব পরিবহণ ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করে আসছিল, যা যাত্রীদের ভোগান্তির কারণ ছিল। অভিযানের ফলে স্বস্তি ফিরেছে এবং তারা নিয়মিত তদারকির দাবি জানান।এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ফারজানা আক্তার বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান চলবে।’ভোরের আকাশ/এসএইচ