পিরোজপুর জেলা বিএনপি কাউন্সিল
এস,এম সিপার, নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:০৪ পিএম
সংগৃহীত ছবি
আর কোন নতুন আহবায়ক কমিটি নয়, তৃণমূলের নেতারা চাচ্ছেন সম্মেলনে মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করতে। জানা গেছে, সর্বশেষ ২০০৩ সালে ঢাকায় হাওয়া ভবনে বসে পিরোজপুর জেলা বিএনপি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাবেক হুইপ শহিদুল হক জামালকে সভাপতি ও অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। এরপরে একাধিকবার কেন্দ্র থেকে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। তাই তৃণমূল নেতারা সম্মেলনের মাধ্যেম নতুন কমিটি গঠনের জোর দাবি জানান।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২২ সালের এপ্রিল মাসে অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনকে আহবায়ক ও গাজী ওহিদুজ্জামান লাভলুকে সদস্য সচিব করে একটি কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। সেই কমিটি দিয়ে চলছিলো পিরোজপুর জেলা বিএনপি। ২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পরে কেন্দ্রীয় বন পরিবেশ বিষয়ক সহ সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু কে দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃণমূল থেকে সম্মেলনের মাধ্যেমে কমিটি গঠন করার। কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু দায়িত্ব পাবার পরে জেলার ১১টি ইউনিটের মধ্যে ৮টি ইউনিটের সম্মেলন সম্পন্ন করেন। নাজিরপুর ও মঠবাড়িয়া উপজেলায় ওয়ার্ড কমিটি সম্পন্ন করে ইউনিয়ন বিএনপি কমিটি গঠন প্রক্রিয়াধীন।
দলীয় সুত্র আরো জানায়, ২ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর জেলা বিএনপি আওতাধীন সদর উপজেলা বিএনপি ভোট গণনার সময় হট্রগোল ও মারামারি হয়। আর তারই জের ধরে গত (৩ সেপ্টেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি প্রেসে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করার কথা উল্লেখ করা হয়। এমন প্রেসে হতাশ হয়ে পড়েছে জেলার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাদের চাওয়া দীর্ঘ ২২ বছর পরে জাঁকজমকপূর্ণ একটি সম্মেলন।
এবিষয়ে জেলার কাউখালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের উপজেলা কমিটি হয়েছে। তাই আমি চাই এই ধারা অব্যাহত থাকুক। জেলায় আর কোনো নতুন কমিটি চাই না। গণতান্ত্রিক পন্থায় ভোটের মাধ্যমে সম্মেলন চাই।
পিরোজপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সরোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, আমরা যেমন কাউন্সিলদের ভোটের মাধ্যমে সম্মেলন করে কমিটি পেয়েছি। তেমনি জেলা বিএনপির আর কোনো নতুন কমিটি চাই না। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি দাবি করছি।
নাজিরপুর ও মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপি একাধিক নেতারা জানান, কাউন্সিলের মাধ্যমে তাদের ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে, ইউনিয়ন বিএনপি সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এমন সময় জেলা বিএনপি কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিট কমিটি গঠন করে জেলা সম্মেলন চলিত মাসের দিকে হবার কথা।
জেলা বিএনপি একাধিক নেতা দাবি করেন, জেলা বিএনপি সম্মেলন চুড়ান্ত পর্যায়ে। এই মুহুর্তে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন না করে কেন্দ্র থেকে অতিরিক্ত কাউকে দায়িত্ব দিয়ে জেলা সম্মেলনে সম্পন্ন করার। কেন না স্থানীয় যাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয় তিনি তার পকেটের লোক দিয়ে কমিটি গঠন করার চেষ্টা করেন। ফলে গত ১৭ বছর ধরে যারা রাজপথে ছিল, তারা অধিকাংশ সময় এই নেতৃত্ব থেকে বাদ পড়ে যায়।
ভোরের আকাশ/জাআ