নিখোঁজ হওয়ার ১১ দিন পর গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার একটি খালের কচুরিপানা ভিতর হতে মধ্যবয়সী বিধবা গৃহবধু লাশ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত গৃহবধুর নাম লাভলী বেগম (৪৫)। সে চরচিংগড়ী গ্রামের মুনছুর আলী শেখের মেয়ে। নিহতের পাঁচ ও সাত বছরে দুই মেয়ে রয়েছে। পুলিশ শনিবার উপজেলা সীমান্তবর্তী চরচিংগড়ী মরা খাল হতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উদ্ধারকৃত গৃহবধুর লাশটি একটি ইটভর্তি বস্তায় সাথে বাধা ছিল। এলাকাবাসী শনিবার সকালে ঔ খালে কচুরিপানা পরিষ্কারে সময় লাশের পরিহিত কাপড় (স্যালোয়ার- কামিজ) দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এবং পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহতের পিতা মুনছুর আলী শেখ জানান, তার মেয়ে সরকারি রাস্তার পরিস্কারের কাজ করতো। গত ১১দিন ধরে সে নিখোঁজ ছিল। এই নিখোঁজে বিষয়ে তিনদিন আগে থানায় লিখিত ভাবে জানিয়েছিলাম।
তিনি আরও জানান ,তার মেয়ে প্রথম পক্ষে স্বামী আনোয়ার খায়েরের সাথে বনিবনা না হওয়ায় কয়েক বছর আগে মেয়ে লাভলীকে ছাড়াছাড়ি করিয়ে মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে দেয়া হয় । দ্বিতীয় পক্ষে স্বামীর ঘরে দুই কন্যা সন্তান হওয়ার কিছু দিন পর দ্বিতীয় স্বামী মারা যান। এরপর লাভলী রাস্তায় দিন মজুরিরে কাজ করে দুই মেয়েকে লালন পালন করছিলেন।
এ দিকের প্রথমপক্ষের ছেলে রাফবি (২৫) নেশার টাকার জন্য সম্প্রতি তার মা লাভলীকে চাপ দিচ্ছিল বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তবে সপ্তাহে খানেক ধরে নিহতের ছেলে রাফবির কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে এলাকাবাসী জানান। এমন পরিস্থিতিতে এই মৃত্যুর কারণ রহস্য জনক বলে এলাকাবাসী অভিমত।
এই ব্যাপারে চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাটে প্রেরণ করা হয়েছে। রির্পোট পাওয়া পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মৃত্যুর রহস্যের উদঘাটনে চেষ্টা চলছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
সিলেট সীমান্ত দিয়ে আবারো বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সীমান্ত অতিক্রম করে এবার ১৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়েছে তারা।শুক্রবার( ২৭ জুন) ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে ঘটনাটি ঘটে জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মিনাটিলা কেন্দ্রী গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক।তিনি জানান, ৪৮ বিজিবির দায়িত্বাধীন মিনাটিলা বিওপির টহল দল মেইন পিলার ১২৮২/৮ এস থেকে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিএসএফের ৪ ব্যাটালিয়নের পুশইনকৃত ১৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৫ জন পুরুষ, ৫ জন নারী ও ৭ জন শিশু। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা সকলেই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা।বিজিবির অধিনায়ক আরও জানান, বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করছেন। আটককৃতদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জৈন্তাপুর মডেল থানায় হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, দেশের সীমান্ত রক্ষায় বিজিবি সর্বদা প্রস্তুত এবং সীমান্তে যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে নিয়মিত টহল ও নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, স্বজন প্রীতির মাধ্যমে সুযোগ সন্ধানী কাউকে দলে নেওয়া যাবে না। ফ্যাসিস্ট সরকারের দলের কোনো লোক যেন বিএনপির সদস্য না হতে পারেন সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।শুক্রবার (২৭ জুন) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা পরিষদের হলরুমে পৌর বিএনপির আয়োজনে নতুন সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, সদস্য নেওয়ার সময় মনে রাখতে হবে সুযোগ সন্ধানী কাউকে দলে নেওয়া যাবে না। হিন্দু মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান হোক না কেন ভালো মানুষকেই সদস্য নিতে হবে।তিনি বলেন, আমাদের খেয়াল রাখতে হবে প্রত্যেক ওয়ার্ডে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ নারী যেন থাকেন। নতুন সকল সদস্যদের ডাটাবেজ তৈরি করে প্রত্যেকে আলাদা আলাদা কার্ড সরবরাহ করা হবে। আপনাদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই কেউ যেন অভিযোগ দিতে না পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের মা-বোনদের বেশি বেশি করে সম্পৃক্ত করতে হবে।তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ২৫ শতাংশ নারীকে নতুন সদস্য নিতে কর্মসূচি নিয়েছি। আগামী বছর ৩০ শতাংশ নারীকে সদস্য করা হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর লোকদের কীভাবে দলে নেওয়া যায় সেই দিকটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।অনুষ্ঠানে বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিঞা মো. শরিফুল আলম মামুন, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী রুবেল, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ উপজেলার প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মেজর গনি সড়কের পাশে সরকারি খাসজমি ও মধুমতী হাসপাতাল। এ হাসপাতালের উত্তর পাশেই খাসজমিতে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এগুলো দুর্গন্ধ ছড়িয়ে আশপাশের পরিবেশ দূষিত করছে। আবাসিক এলাকায় এ ধরনের দূষণ স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। লোকজন, পথচারী ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দুর্গন্ধে নাকাল হচ্ছে প্রতিদিন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্দিষ্ট কোনো বর্জ্য ফেলার স্থান না থাকায় বাধ্য হয়ে লোকজন এখানে ময়লা ফেলছে।সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত এ জায়গাটি এক সময় সিএনজি স্টেশন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তৎকালীন ইউএনও সোহেল রানা এটি প্রস্তুত করেছিলেন। তবে পরে স্টেশনটি পূর্বের স্থানে স্থানান্তর করা হলে জায়গাটি খালি পড়ে থাকে। এরপর থেকেই এলাকাবাসী এখানে ময়লা ফেলতে শুরু করে। বর্তমানে এটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবুল বলেন, ‘আমার দোকান আলতাফ আলী মার্কেটে। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া করি। হাসপাতালের সামনে দিয়ে হাঁটার সময় এত দুর্গন্ধ লাগে যে বমি চলে আসে। মুখ-নাক ঢেকে কোনোরকমে পার হতে হয়।’আরেক ব্যবসায়ী কামাল বলেন, ‘মধুমতী হাসপাতালের পাশেই এ ময়লার ভাগাড় এখন জনদুর্ভোগের কেন্দ্রবিন্দু। দুর্গন্ধে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বসবাস করা দিন দিন কষ্টকর হয়ে উঠছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।’বাজারের কাঁচামালের ব্যবসায়ী আবু কালাম বলেন, ‘বিক্রির পর অবশিষ্ট বর্জ্য ফেলার কোনো নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়েই এখানে ফেলি।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘জায়গাটি দীর্ঘদিন খালি পড়ে আছে। তাই আমরা এখানে ময়লা ফেলি। বিকল্প কোনো ডাম্পিং জায়গা না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেখ মো. হাসিবুর রেজা বলেন, ‘দুর্গন্ধের ফলে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাড়তে পারে শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এটি খুবই ক্ষতিকর। তাই দ্রুত এ বর্জ্য অপসারণ করা প্রয়োজন।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা জাহান বলেন, ‘বাজার পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথা বলবো যাতে সরকারি খাস জায়গায় কেউ ময়লা না ফেলে। এ জায়গায় ময়লা ফেলার কোনো এখতিয়ার কারো নেই। জনগণকে সচেতন করতে শিগগিরই সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে।’ভোরের আকাশ/এসএইচ
কুড়িগ্রামে নানা আনুষ্ঠানিকতা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেল ৩টায় জেলা সদরের হরিকেশ ইসকন মন্দির থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের পোস্ট অফিস পাড়া ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।এই উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে দিনভর মেলার আয়োজন করা হয়।শোভাযাত্রায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৭ সহস্রাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।আগামী ৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রার মধ্যে দিয়ে উৎসব শেষ হবে।ভোরের আকাশ/জাআ