যমুনায় নিখোঁজ গর্ভবতীর মরদেহ উদ্ধার, শিশুর খোঁজ মেলেনি এখনও
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীতে ডুবে যাওয়া আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী বর্ষা খাতুনের (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। তবে এখনো খোঁজ মেলেনি একই ঘটনায় নিখোঁজ শিশু লামিয়া খাতুনের (১০)।ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা সংলগ্ন যমুনা নদীর একটি অংশে ভেসে ওঠা মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের পাটুরিয়া স্টেশনের লিডার জাহিদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর একদিন পর অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার মধ্যেই স্থানীয়দের সহায়তায় বর্ষার মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। তবে নদীর প্রচণ্ড স্রোতের কারণে এখনো লামিয়ার সন্ধান মেলেনি।বর্ষা খাতুন বাচামারা গ্রামের মো. আব্দুল বয়াতীর মেয়ে এবং লামিয়া খাতুন একই গ্রামের মো. রাহেজ বয়াতীর মেয়ে। এখনো লামিয়ার সন্ধানে নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা।উল্লেখ্য, গত বুধবার (১১ জুন) দুপুর ২টার দিকে বাচামারা গ্রামের পাঁচজন নারী ও শিশু যমুনা নদীতে গোসলে নামেন। এ সময় হঠাৎ প্রবল স্রোতে সবাই তলিয়ে যেতে থাকেন। স্থানীয়রা তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করলেও বর্ষা ও লামিয়া নিখোঁজ ছিলেন।খবর পেয়ে স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে নিজেরাই সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজ চালান। এরপর জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে রাতেই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে সেদিনও কারও সন্ধান মেলেনি।বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবারও অভিযান পরিচালিত হয় এবং এরপর ফায়ার সার্ভিস আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে।ঘটনার পর থেকেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা বারবার নদীর পাড়ে ছুটে এসেছেন একটুখানি আশার খোঁজে, কিন্তু ফিরেছেন চোখের জলে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৩ জুন ২০২৫ ১১:০৯ এএম
যমুনায় গোসলে নেমে গর্ভবতী নারী ও শিশু নিখোঁজ
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা এলাকায় যমুনা নদীতে গোসল করতে নেমে গর্ভবতী নারী ও এক শিশু নিখোঁজ হয়েছেন। বুধবার (১১ জুন) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।নিখোঁজরা হলেন-বর্ষা খাতুন (২০), তিনি আট মাসের গর্ভবতী। তাঁর বাবার নাম মো. আব্দুল বয়াতী। অন্যজন লামিয়া খাতুন (১০)। তাঁর বাবার নাম মো. রাহেজ বয়াতী। তাঁরা দুজনেই বাচামারা গ্রামের বাসিন্দা।স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর ২টার দিকে পাঁচজন নারী ও শিশু মিলে যমুনা নদীতে গোসল করতে নামেন।এ সময় হঠাৎ পানির স্রোতে তাঁরা তলিয়ে যেতে থাকেন। পাশে থাকা লোকজন তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও বর্ষা ও লামিয়াকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয়রা সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীতে খোঁজাখুঁজি চালান। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চাওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে রাত আটটা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে তখনো নিখোঁজ দুজনকে পাওয়া যায়নি।ডুবুরি দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ১০টায় আবার শুরু হবে।ঘটনার পর নদীর পাড়ে ভিড় করেন এলাকাবাসী। নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১২ জুন ২০২৫ ১২:৫৪ এএম
নিখোঁজ হওয়ার ১১ দিন পর গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার একটি খালের কচুরিপানা ভিতর হতে মধ্যবয়সী বিধবা গৃহবধু লাশ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত গৃহবধুর নাম লাভলী বেগম (৪৫)। সে চরচিংগড়ী গ্রামের মুনছুর আলী শেখের মেয়ে। নিহতের পাঁচ ও সাত বছরে দুই মেয়ে রয়েছে। পুলিশ শনিবার উপজেলা সীমান্তবর্তী চরচিংগড়ী মরা খাল হতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে প্রেরণ করেছে।পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উদ্ধারকৃত গৃহবধুর লাশটি একটি ইটভর্তি বস্তায় সাথে বাধা ছিল। এলাকাবাসী শনিবার সকালে ঔ খালে কচুরিপানা পরিষ্কারে সময় লাশের পরিহিত কাপড় (স্যালোয়ার- কামিজ) দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এবং পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।নিহতের পিতা মুনছুর আলী শেখ জানান, তার মেয়ে সরকারি রাস্তার পরিস্কারের কাজ করতো। গত ১১দিন ধরে সে নিখোঁজ ছিল। এই নিখোঁজে বিষয়ে তিনদিন আগে থানায় লিখিত ভাবে জানিয়েছিলাম।তিনি আরও জানান ,তার মেয়ে প্রথম পক্ষে স্বামী আনোয়ার খায়েরের সাথে বনিবনা না হওয়ায় কয়েক বছর আগে মেয়ে লাভলীকে ছাড়াছাড়ি করিয়ে মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে দেয়া হয় । দ্বিতীয় পক্ষে স্বামীর ঘরে দুই কন্যা সন্তান হওয়ার কিছু দিন পর দ্বিতীয় স্বামী মারা যান। এরপর লাভলী রাস্তায় দিন মজুরিরে কাজ করে দুই মেয়েকে লালন পালন করছিলেন।এ দিকের প্রথমপক্ষের ছেলে রাফবি (২৫) নেশার টাকার জন্য সম্প্রতি তার মা লাভলীকে চাপ দিচ্ছিল বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তবে সপ্তাহে খানেক ধরে নিহতের ছেলে রাফবির কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে এলাকাবাসী জানান। এমন পরিস্থিতিতে এই মৃত্যুর কারণ রহস্য জনক বলে এলাকাবাসী অভিমত।এই ব্যাপারে চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাটে প্রেরণ করা হয়েছে। রির্পোট পাওয়া পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মৃত্যুর রহস্যের উদঘাটনে চেষ্টা চলছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ