সংগৃহীত ছবি
পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নে ‘মুরগির খোপে থাকা’ ভাইরাল সেই বৃদ্ধা লাল বড়ু বেগম আর নেই। গতকাল বুধবার দুপুর ৩ টায় বড় ছেলে মোস্তফার ঘরে বসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। লাল বড়ু বেগমের বড় ছেলে মোস্তফা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন লাল বড়ু। জীবনের শেষ সময়টুকু তিনি কাটিয়েছেন বড় ছেলে মোস্তফার সঙ্গেই।
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় বৃদ্ধা লাল বড়ু একটি ছোট মুরগির খোপের মতো স্থানে বসবাস করছেন। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে তৈরি হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। ছেলে-মেয়েদের অবহেলায় তিনি মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন এমন অভিযোগে নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র। যা নিয়ে গত ৩১ মে বিভিন্ন গণাম্যধমে সংবাদটি প্রকাশিত হয়।
দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের। পরে তাদের সহায়তায় লাল বড়ের জীবনমান কিছুটা উন্নত হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সহানুভূতিতেই তিনি শেষ জীবনে খানিকটা স্বস্তি ফিরে পান।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মাগরিবের নামাজের পর পটুয়াখালী সদরের বড় জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে । পরে পটুয়াখালী মুসলিম কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) এর ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে গাইবান্ধায়। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কর্তন করা হয়।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুর ২টায় পৌর শহরের স্টেশন রোডের পালম্যানশন ভবনের ২য় তলায় এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের (বাজুস) গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি শ্রী মনিন্দ্র নাথ মিত্রের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মো. আজহারুল ইসলাম সঞ্জু ও সংগঠনের অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাজুস সুনামের সঙ্গে ৬০ বছর অতিবাহিত করেছে। সেই সঙ্গে গাইবান্ধার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে সততার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।শেষে আনন্দঘন পরিবেশে কেক কর্তন এবং অতিথিদের মিষ্টি মুখ করানো হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্লিপ্ততায় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদল।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সামনে থেকে জেলা যুবদলের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয় এবং শহরের টিএ রোড সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। এসময় জেলা যুবদলের সভাপতি মো: শামীম মোল্লার সভাপতিত্বে এক পথসভা করেন তারা।পথসভায় বক্তারা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। জামায়াত শিবির এবং আওয়ামী লীগের দোসররা দেশে যেভাবে অরাজকতা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে তা বন্ধ করতে হলে দেশে একটি নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন। তাই অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে স্ব-সম্মানে ক্ষমতা ছাড়তে অন্তর্বর্তী সরকারকে হুশিয়ারি প্রদান করেন তারা।জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের সঞ্চালনায় পথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তৈয়মুর, সাবেক ছাত্রদল নেতা সাঈদ হাসান সানি, ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আজহার হোসেন চৌধুরী দিদার প্রমূখ।ভোরের আকাশ/জাআ
গোপালগঞ্জে এনসিপির উপর ফ্যাসিস্ট ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলা, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা শহর ও সদর উপজেলা শাখার উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।এর আগে দলীয় কার্যালয়ে জামায়াতে ইসলামী সদর উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল করিম সরকার, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মো. জহুরুল হক সরকার, সহকারি সেক্রেটারী সৈয়দ রোকনুজ্জামান ও ফয়সাল কবির রানা, শহর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ফেরদৌস আলম, জেলা সূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম মন্ডল, শহর সেক্রেটারী আবু হাসান নয়া মিয়া, সদর উপজেলা সেক্রেটারি প্রভাষক মো. ওবায়দুল ইসলাম, শিবিরের জেলা সভাপতি রুম্মান ফেরদৌস প্রমূখ।বক্তারা বলেন, যারা বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিজম কায়েম করেছিল তারা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে এই দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। কিন্তু বছর না যেতেই এই সন্ত্রাসী আওয়ামী সংগঠন কিভাবে অস্ত্র হাতে গোপালগঞ্জে হামলা চালিয়েছে তা উদ্বেগের। গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচি ঘিরে নেতাকর্মীদের উপর যে হামলা দেশের গণতন্ত্রের জন্য চরম হুমকি। তাই ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনকে রুখে দিতে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হবার পাশাপাশি হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনকে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/জাআ
বরিশালে বাকেরগঞ্জ উপজেলায় মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অভিভাবক সমাবেশ, সেলাই মেশিন ও গাছের চারা বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলা প্রশাসন বাকেরগঞ্জ এর আয়োজনে উপজেলা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।শুরুতে জেলা প্রশাসক বাকেরগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন। পরে দুপুর ১২ টায় উপজেলা প্রশাসন বাকেরগঞ্জ এর আয়োজনে সুমতিবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং, নারী ও শিশু নির্যাতন, বাল্যবিবাহ ও অন্যান্য সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে অভিভাবক সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।পরে উন্নয়ন সংস্থা সেইন্ট বাংলাদেশ এর আয়োজনে সুমতিবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জোরে পরা এবং বাল্যবিবাহে ঝুকিতে থাকা ১০ জন শিক্ষার্থীদের পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন ও সেলাই কাজের জন্য বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন।পাশাপাশি উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের মাঝে জরুরী স্বাস্থ্য সেবা বক্স বিতরণ করা হয়। একই সময় পূবালী ব্যাংক এর আয়োজনে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে ফজল বৃক্ষের চারাগাছ বিতরণ করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাকেরগঞ্জ রুমানা আফরোজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাকেরগঞ্জ তন্ময় হালদার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাকেরগঞ্জ আবুল কালাম আজাদ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকেরগঞ্জ খন্দকার আমিনুল ইসলাম, সেইন্ট বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর কবিরসহ সুমতিবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দরা।এর পূবে পৌরসভা, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনসহ বৃক্ষ রোপণ এবং উপজেলা পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি, এনজিও ও সুধীজনের সাথে মতবিনিময় সভা করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।ভোরের আকাশ/জাআ