শাসন দেখেছি, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন দেখিনি: ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর (শায়েখে চরমোনাই) সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আগে আওয়ামী লীগের লোকজন যে সূরে কথা বলতেন, সেই সূরেই বিএনপি নেতৃবৃন্দ কথা বলছেন। দেশে শুধু দলের শাসন দেখেছি, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন দেখিনি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে এক গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নেতার পরিবর্তন হয়েছে, নীতির পরিবর্তন হয়নি। আগে যে নামে চাঁদাবাজি হতো, শুধু নামের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চাঁদাবাজির পরিবর্তন হয়নি। তিনি দেশে ইসলাম বাস্তবায়নের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
এ সময় তিনি গাইবান্ধার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এরমধ্যে গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ, গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনে মাওলানা আওলাদ হোসেন ও গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে মুফতি তৌহিদুল ইসলাম।
গণ সমাবেশে মুফতি ফয়জুল করীম আরও বলেন, হাত পাখার বিজয় হলে দেশের বিজয় হবে, মানুষের বিজয় হবে। তিনি ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী প্রতীক হাত পাখায় ভোট দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রভাষক মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অ্যাড. এম. হাছিবুল ইসলাম, মুহাম্মদ আনওয়ার উল ইসলাম আরিফ, মো. মাহবুবুর রহমান, মুফতি মাহমুদুল হাসান কাসেমী, মুফতি সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম, অ্যাড. মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, আহমাদ আলী, মোহা. আব্দুল মুত্তালিব মন্ডল, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, হাফেজ মাও. মো. খায়রুজ্জামান, মো. আকরাম হোসেন, মো. আওলাদ হোসাইন, মো. আসাদুল্লাহ আল গালিব, আবুল কালাম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম শরিফ, শাহাজ উদ্দিন রিয়াদ প্রমুখ। গণ সমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনের জেলা সেক্রেটারী মুফতি আল আমিন বীন হোসাইন।
বক্তারা গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং দেশ ও ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্তের প্রতিবাদ জানান।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
গাইবান্ধা জেলা কারাগারে আবু বক্কর সিদ্দিক মুন্না (৬৮) নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে দ্রুত গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।আবু বক্কর সিদ্দিক মুন্না ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।তিনি গাইবান্ধা শহরের মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা এবং কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা কারাগারের জেলার মো. আতিকুর রহমান জানান, তার বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে। চলতি মাসের ২ তারিখে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। রবিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তিনি পেশার, ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। তবে কারাগারে তার চিকিৎসার বিষয়ে কোনো অবহেলা ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি।অন্যদিকে পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন নানা রোগে ভুগলেও তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। কারাগারে নেয়ার পর তার সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেয়া হয়নি এবং সেখানে নির্যাতন চালানো হয়েছে। এ কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।নিহতের ছেলে সৌমিক বলেন, 'বাবা দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তবুও তাকে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার করা হয়। কারাগারে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়নি। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।'তিনি আরও জানান, প্রথমে তার বাবাকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন-ভাঙচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘদিন জেল খাটার পর তিনি জামিন পান। পরে জামিনে মুক্তি পেলেও জেলগেটে আরেকটি মামলায় পুলিশ তাকে পুনরায় গ্রেফতার করে। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।এদিকে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।ভোরের আকাশ/মো.আ.
গ্যাস পাইপলাইন মেরামত কাজের কারণে আজ শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ৮ ঘণ্টা কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস জানিয়েছে, ডেমরা-সিদ্ধিরগঞ্জ-গোদনাইল ভাল্ভ স্টেশনগামী ১০ ইঞ্চি বা ১২ ইঞ্চি বা ১৪ ইঞ্চি মুখ্য বিতরণ পাইপ লাইনের অংশবিশেষ বিচ্ছিন্নকরণ কাজে জরুরি মেরামতের কাজ চলবে।তাই শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত মোট ৮ ঘণ্টা নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ, মৌচাক, দেলপাড়া, পাগলা, ফতুল্লা, পঞ্চবটি, মোক্তারপুর ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া, এর আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।সেই সঙ্গে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস।ভোরের আকাশ/মো.আ.
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি ভাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করেছে পুলিশ।বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কর্ণফুলী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এ মাইকিং করা হয়। পরে এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।এক মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, লুঙ্গি ও জার্সি পরা এক যুবক সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মাইকিং করে ঘোষণা দিচ্ছেন, ‘কর্ণফুলী এলাকার সকল বাড়ির মালিকদের জানানো যাচ্ছে যে, এলাকায় নতুন কোনো ভাড়াটিয়া ভাড়া নিতে এলে আগে তাদের আইডি কার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস থানায় জমা দিতে হবে। কোনো নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে না। যদি কোনো ভাড়াটিয়া নিষিদ্ধঘোষিত দলের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আটক হয়; তাহলে সেই বাড়ির মালিককে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে আটক করা হবে। নির্দেশক্রমে সিএমপি, কর্ণফুলী থানা।’একই সঙ্গে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, ‘নির্দেশ অমান্য করে নিষিদ্ধ সংগঠন (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর কাউকে ভাড়া দিলে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, এখানে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটি পরে সংশোধন করা হয়েছে। মূলত সরকারঘোষিত নিষিদ্ধ সব সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো সংগঠনকে ইঙ্গিত করা হয়নি।ভোরের আকাশ/মো.আ.
এসসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতবৃন্দের উপর ককটেল হামলার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কুড়িগ্রাম জেলা শাখা।মঙ্গলবার (২৪ জুন) ৮ টার দিকে কলেজ মোড়স্থ বিজয় স্তম্ভ চত্বর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দোয়েল চত্বরে এসে সমাবেশ মিলিত হয়।এসসময় এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী রাশেদুজ্জামান তাওহীদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মুকুল মিয়া। তিনি বলেন- "কোন প্রকার সন্ত্রাসী হামলা করে জুলাই অভ্যুত্থানের শক্তিকে রুখে দেওয়া যাবেনা। আমাদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ সকল নেতৃবৃন্দের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেইসাথে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।"সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম সমন্বয়কারী মাহামুদুল হাসান জুয়েল, মোজাম্মেল হক বাবু, মাসুম মিয়া, যুব শক্তির সংগঠক তারিকুজ্জামান তমাল।আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী দিনার মিনহাজ, সদস্য আসাদুজ্জামান, লিটু সরকার, তাজুল ইসলাম, শামীম রানা, শ্রমিক উইংয়ের মমিনুল ইসলাম, নুরুজ্জামান প্রমুখ।ভোরের আকাশ/জাআ