সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় চাঞ্চল্যকর আশরাফ আলী হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।এই হত্যা মামলায় আরও দুজনকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার বহুলি ইউনিয়নের চাদপাল গ্রামের আব্দুল খালেক শেখের ছেলে মো. আব্দুল আলিম, মৃত জেসার উদ্দিন খলিফার ছেলে আবু বক্কার ও আ. খালেকের ছেলে মো. মোজাম আলী ও আব্দুর রউফ এবং দুই বছর সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল্লাহ ও মোস্তাফিজ হোসেন।সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড. শাকিল হায়দার রফিক সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেন।মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতা ও গ্রামের রাস্তা নির্মানকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধে ২০১৪ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলি ইউনিয়নের চাদপাল গ্রামের মো. আশরাফ আলীকে বাড়ির পাশের রাস্তায় দেশীয় অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে আসামিরা। এসময় আশরাফের স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজগঞ্জের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬'ই সেপ্টেম্বর আশরাফ আলী মারা যায়।এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন বাদি হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। মামলায় দীর্ঘ তদন্ত, সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।এ সময় আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট আব্দুর রহিম ও রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড. শাকিল হায়দার রফিক সরকার।ভোরের আকাশ/জাআ
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৬:৪২ পিএম
১২১ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১২১ বার পিছিয়ে আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য থাকলেও এদিন তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান প্রতিবেদনের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি।পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে সরিয়ে দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ।একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:৩০ পিএম
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু আজ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু আজ।বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।এর আগে, ২৭ আগস্ট সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মঈনুল করিম, প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান, তারেক আবদুল্লাহসহ অন্যরা। এছাড়া স্টেট ডিফেন্সসহ আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।এদিন সকালে এ মামলার ছয় আসামিকে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। তারা হলেন- এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।এর আগে, ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে এ মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসিসহ ২৪ জন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের পক্ষে গত ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।গত ৩০ জুলাই পলাতক আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত চার আইনজীবী। এর মধ্যে পাঁচজনের হয়ে লড়েন আইনজীবী সুজাত মিয়া। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ। এছাড়া শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম। ২৯ জুলাই তিন আসামির পক্ষে শুনানি হয়।এর মধ্যে শরিফুলের হয়ে লড়েন আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো। কনস্টেবল সুজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও ইমরানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন রিগ্যান।২৮ জুলাই এ মামলার ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ করে প্রসিকিউশন। ওই দিন আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি এ মামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয়া হয় ৩০ জুন। আর ২৪ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। এ মামলায় মোট সাক্ষী ৬২ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৮ আগস্ট ২০২৫ ১০:০৭ এএম
আবু সাঈদ হত্যা : ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু আজ
২৪-এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন বুধবার (২৭ আগস্ট)। সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ বক্তব্য উপস্থাপন হবে। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথাও রয়েছে।এর আগে, গত ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে এ মামলায় ছয়জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। আর বেরোবির সাবেক ভিসিসহ ২৬ জন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের পক্ষে গত ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। তাদের উপস্থিতিতেই আজ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করবে প্রসিকিউশন।গত ৩০ জুলাই পলাতক আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত চার আইনজীবী। এর মধ্যে পাঁচজনের হয়ে লড়েন আইনজীবী সুজাত মিয়া। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ। এছাড়া শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, মঈনুল করিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।গত ২৯ জুলাই তিন আসামির পক্ষে শুনানি হয়। এর মধ্যে শরিফুলের হয়ে লড়েন আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো। কনস্টেবল সুজনে পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও ইমরানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন রিগ্যান। শুনানিতে তিনজনেরই অব্যাহতি চান আইনজীবীরা।তার আগে, গত ২৮ জুলাই এ মামলার ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ করে প্রসিকিউশন। ওই দিন আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি এ মামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়া হয় ৩০ জুন। আর ২৪ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৭ আগস্ট ২০২৫ ০৯:৪৪ এএম
নারায়ণগঞ্জ হত্যা মামলায় আ.লীগের ১৪ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত রিকশাচালক আব্দুল লতিফ হত্যার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আমলি আদালতে পিবিআই পরিদর্শক আলমগীর হোসেন এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।অভিযোগপত্রে যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি একেএম শামীম ওসমান, তার ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুক, আশরাফ, ইয়াসিন আরাফাত রাসেল এবং আবু বকর সিদ্দিক ওরফে আবুল।অভিযোগপত্র অনুযায়ী, মতিউর রহমান মতি ও ইয়াসিন আরাফাত রাসেল বর্তমানে কারাগারে থাকলেও বাকিরা পলাতক রয়েছেন।গত বছরের ২১ জুলাই বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে পুলিশের গুলিতে ৪০ বছর বয়সী রিকশাচালক আব্দুল লতিফ নিহত হন। পরদিন তার বাবা মো. নেজাবুদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৯ সেপ্টেম্বর ১২ জন আ.লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তে আরও দুইজনের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ায় মোট ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নতুন যুক্ত হওয়া দুইজন হলেন সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল ও ওমর ফারুক।আব্দুল লতিফ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আগামীকাল বুধবার আদালতে উপস্থাপন করা হবে এবং এরপর বিচারক শুনানির তারিখ নির্ধারণ করবেন। ইতিমধ্যে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২৪ সেপ্টেম্বর।উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সারা দেশে অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের হলেও এ প্রথম কোনো মামলার তদন্ত শেষে পিবিআই অভিযোগপত্র দাখিল করল।ভোরের আকাশ//হ.র
২৭ আগস্ট ২০২৫ ১২:০৩ এএম
তৌহিদ আফ্রিদি ৫ দিনের রিমান্ডে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় আসাদুল হক বাবু হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর ছেলে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে শুনানি শেষে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক।এর আগে, দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। এ সময় তৌহিদ আফ্রিদিকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। দুপুরের আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আফ্রিদিকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। বিকেলে এই আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানির সময় তৌহিদ আফ্রিদিকে এজলাসে তোলা হয়। সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর চেয়ে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। তার রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।এর আগে, রোববার রাতে তৌহিদ আফ্রিদিকে বরিশাল থেকে গ্রেফতার করে সিআইডির একটি দল। এর আগে, ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থেকে আফ্রিদির বাবা নাসির উদ্দীন সাথীকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন এ মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।মামলা সূত্রে জানা গেছে, স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় আন্দোলনে অংশ নেন আসাদুল হক বাবু। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটায় আসামিদের ছোড়া গুলি আসাদুলের বুকে ও ডান পাশে লাগে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন। এ মামলায় পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় নাসির উদ্দিন ২২ নম্বর ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নাম্বার এজাহারনামীয় আসামি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৫ আগস্ট ২০২৫ ০৪:৫৮ পিএম
সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলের কারাদন্ড
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হত্যা মামলায় লাল চাঁন নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ের আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।দন্ডপ্রাপ্ত লাল চাঁন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতী দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে।এছাড়া একই মামলায় অপর আসামী লাল চাঁনের ছেলে হামিদুল ওরফে সাগরকে দুই বছর সশ্রম কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ের আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. ইকবাল হোসেন এ রায় প্রদান করেন।জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রফিক সরকার এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতী গ্রামের আফাজ উদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশি লাল চাঁনের পরিবারের বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরে ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ উভয় পরিবারের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আফাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক গুরুতর আহত হয়।পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এঘটনায় তিন জনকে আসামী করে নিহতের পিতা আফাজ উদ্দিন মামলা দায়ের করেন। মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ আসামী লাল চাঁনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও তার ছেলে হামিদুলকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
১৯ আগস্ট ২০২৫ ০৪:৩৯ পিএম
সুনামগঞ্জে হত্যা মামলার পলাতক ৩ আসামী গ্রেফতার
সুনামগঞ্জে কবির হত্যা মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব- ৯ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল।গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দোয়ারাবাজার উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মৃত সিকন্দর আলীর ছেলে গেদা মিয়া (৫০), মৃত ফজর আলীর ছেলে মো. সুজন মিয়া (৪৪) ও রশিক আলীর ছেলে আলী হোসেন (২৩)।বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সুনামগঞ্জ পৌরসভার ওয়েজখালী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব- ৯ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল।তারা সবাই দোয়ারাবাজারের সোনাপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত কবির হত্যা মামলার পলাতক আসামী। গত ২৪ জুলাই এই হত্যাকাণ্ডে দোয়ারাবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। (নং ৩০/২৪/০৭/২৫)।আসামীদের দোয়ারাবাজার থানায় হস্তান্তর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাবের গণমাধ্যম শাখা।ভোরের আকাশ/জাআ
০৭ আগস্ট ২০২৫ ০৮:৫০ পিএম
আবু সাঈদ হত্যা: অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ।সোমবার (২৮ জুলাই) ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।এদিন সকাল ১০টার পর কারাগার থেকে এএসআই আমির হোসেনসহ চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। অন্য আসামিরা হলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী।এরও আগে গত ৩০ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ওইদিন ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল-২।গত বছরের ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে পুলিশে গুলিতে শহীদ হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৮ জুলাই ২০২৫ ১১:৫৩ এএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় বাবা ও দুই ছেলের যাবজ্জীবন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জ উপজেলায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা মামলায় বাবা ও দুই ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান আসামীদর উপস্থিতিতে এই দন্ড প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ির সহিমুদ্দীন মন্ডলের ছেলে মো. মোস্তফা (৬৫), মোস্তফার ছেলে নয়ন আলী (৪২) ও মিলন আলী (২৪)।চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি আব্দুল ওদুদ জানান, ২০২১ সালের ২ জুন সন্ধ্যায় কয়লাবাড়িতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা মাইনুল ইসলামকে দেশীয় অস্ত্রসহ লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুত্বর ভাবে আহত করে। পরে ৬ জুন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মইনুল।এ ঘটনায় মাইনুলের ছেলে মাইনুর রহমান বাদি হয় শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক বরুন সরকার ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযাগ পত্র দাখিল করেন। আদালত মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানী শেষে এই দন্ড প্রদান করেন। মামলায় অভিযোগ প্রমাাণিত না হওয়ায় আদালত অন্য দু’জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৮ জুলাই ২০২৫ ০৭:৫৪ পিএম
যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জ পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এই রায় প্রদান করেন।মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত তারেকুল ইসলাম তারেক সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম মহল্লার আব্দুস সামাদের ছেলে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা একই মহল্লার মৃত কাশেম আলীর ছেলে সেলিম রেজা ও বাদল সেখ, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নজরুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম খান।অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৩ এর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হামিদুল ইসলাম দুলাল বলেন, মামলার ১৮ জন আসামীর মধ্যে এক জনকে মৃত্যুদন্ড ও চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায় ১৩ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত গোলাম মোস্তফার সাথে আসামীদের সামাজিক, ব্যবসায়ীক ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরে ২০১৮ সালের ৩রা অক্টোবর গোলাম মোস্তফা ফজরের নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফিরছিলো।এ সময় আসামীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিখা খাতুন বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামী করে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্শীট দাখিল করে পুলিশ। মামলা চলাকালে ১৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন আদালত। স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে আজ আদালত এক জনের মৃত্যুদন্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। নিহত গোলাম মোস্তফা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলো।ভোরের আকাশ/