বরগুনায় হত্যা মামলার আসামি জামিনে বেরিয়ে বাদীর ওপর হামলা
বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বান্দরগাছিয়া এলাকায় তাজেম আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদীপক্ষকে মামলা তুলে নিতে হুমকি এবং রাজি না হলে পরিকল্পিতভাবে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বরগুনা থানায় একটি জিডি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বরগুনা থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান।মঙ্গলবার বরগুনা পৌর শহরের সদর রোডের কৃষি ব্যাংকের নিচে জমির কাগজ আনতে গেলে হত্যাকাণ্ডের শিকার তাজেম আলীর ছেলে নান্টু হাওলাদারের ওপর হামলা চালান মামলার প্রধান আসামি ফোরকান হাওলাদার, তার স্ত্রী তাজিনুর বেগমসহ আরও কয়েকজন। স্থানীয়দের সহায়তায় প্রাণে বেঁচে যান নান্টু। বর্তমানে তিনি বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।জানা গেছে, ২০১৮ সালে বাড়ির পাশে মসজিদে নামাজ শেষে ফেরার পথে নান্টুর বাবা তাজেম আলীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পিয়ারা বেগম বাদী হয়ে বরগুনা থানায় মামলা করেন, যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। ওই সময় প্রায় আট মাস জেলহাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে ফোরকান বাদীপক্ষের ওপর হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। ২৫ এপ্রিল তিনি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়ির সামনে হামলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যার পর ২৯ এপ্রিল থানায় একটি জিডি করেন নান্টু।ভুক্তভোগী নান্টু হাওলাদার বলেন, আমার বাবার হত্যার প্রধান আসামি ফোরকান ও তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবারকে চাপ ও হুমকি দিয়ে আসছেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার হামলার শিকার হই। আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে প্রাণে বাঁচায়।বরগুনা থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় একটি জিডি নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগেও ফোরকানের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগে একটি জিডি করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/সু
০৭ মে ২০২৫ ১০:৪৯ পিএম
হত্যা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার গ্রেপ্তার
রাজধানী ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানার হত্যা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জানানো হয়েছে এ তথ্য।এর আগে গত ৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে উওরা ৪নং সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ৫৩ নম্বর বাসা থেকে আটক করা হয় এ অভিনেত্রীকে।এছাড়া, গত ১৪ অক্টোবর মাগুরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অভিনেত্রী শমী কায়সার ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে ছাত্র বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী সরকারের পতনের পর ১৪ আগস্ট ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সার চলচ্চিত্র জগতে তার অনবদ্য অবদানের জন্য পরিচিত। শমী কায়সারের জন্ম ১৯৭০ সালে, এবং তার বাবা শহীদুল্লাহ কায়সার ও মা পান্না কায়সার। তার মা পান্না একজন লেখিকা এবং সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি একিউএম বদরুদ্দুজা চৌধুরীর স্ত্রী মায়া পান্নার বোন, ফলে শমী কায়সার এবং রাজনীতিক মাহি বি চৌধুরী খালাতো ভাই-বোন।ভোরের আকাশ/এসএইচ