দলের চেয়ে এগিয়ে সরকার
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রবল চাপে অনেক আগেই ‘নির্বাচনী মাস’ ঘোষণা করেছে সরকার। শুধু তাই নয়, নির্বাচনকেন্দ্রিক একের পর এক প্রস্তুতিমূলক উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে তৎপর সরকার ও নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে অনৈক্য থাকায় নির্বাচনী দৌঁড়ে সরকারের অনেক পেছনে পড়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। বর্তমানে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যেন রাজনৈতিক দলগুলোকে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে সরকার- এমনটি মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।কয়েক মাস আগেও নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে ছিল ধুম্র্রজাল। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে বেড়ে যায় পারস্পরিক সন্দেহের প্রবণতা। গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে একমাত্র রাজনৈতিক দল হিসেবে অটল রয়েছে বিএনপি। তাদের সঙ্গে একই সুরে কথা অব্যাহত রাখে নির্বাচন কমিশন। কয়েক মাস আগে নির্বাচনের সম্ভাব্য রোডম্যাপ নিয়ে খোদ অন্তর্বর্তী সরকারের একেক সময় ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে বেড়ে যায় সংশয়।সংস্কার ছোট পরিসরে হলে নির্বাচন ডিসেম্বরে, বৃহত্তর হলে জুনে- এমন মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্ট ড. ইউনূস। তার এমন মন্তব্যে জামায়াতসহ অন্যান্য দলের বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত প্রকাশে জোরালো কোনো আবেদন লক্ষ্য করা যায়নি। তবে নির্বাচনের বিরুদ্ধে জামায়াত ও এনসিপির শক্ত অবস্থানও দৃশ্যমান ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দল সোচ্চার হয়ে ওঠে। আন্দোলনসহ বিভিন্ন কঠোর কর্মসূচির ঘোষণাও দেয় দলগুলো।অবশেষে গত ১৩ জুলাই লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পূর্ব নির্ধারিত এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- লন্ডন বৈঠকে এমন ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা।দলগুলোর চেয়েও এগিয়ে ইসি ও সরকার : রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, লন্ডন বৈঠকের পর থেকেই নির্বাচনের বিষয়ে একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছে সরকার। নির্বাচনী মাস ঘোষণার একদিন পরই নির্বাচন আয়োজনের জন্য ইসিকে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ডিসেম্বরের মধ্যে সব ধরনের নির্বাচনী প্রস্তুতিসম্পন্ন করার নির্দেশও দিয়েছে সরকার। সে অনুযায়ী কাজও শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এভাবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার এক সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এর মধ্যেই একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে এবং তা অনুমোদনের জন্য কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে।সীমানা নির্ধারণ ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার সীমানা নিয়ে আসা ৮২টি আপত্তির শুনানি আগামী ২৪ আগস্ট থেকে একটানা চারদিন ধরে অনুষ্ঠিত হবে। শুনানি শেষে দ্রুত এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।এনআইডি সংশোধন প্রসঙ্গে সচিব বলেন, এনআইডি সংশোধনের জন্য যে আবেদনগুলো প্রাথমিকভাবে বাতিল হয়েছে, সেগুলো পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে এ ধরনের আপিলের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। ইসি মনে করে, যদি ডাটা এন্ট্রি আরও নিখুঁত হয়, তাহলে আপত্তির সংখ্যা আরও কমে আসবে।ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে না বরং বিদ্যমান কেন্দ্রগুলোতেই ভোটারদের উপস্থিতি সমন্বয় করা হবে। বর্তমানে প্রতি ৫০০ ভোটারের জন্য একটি বুথ আছে, যা ভবিষ্যতে ৬০০ করা হতে পারে।রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়ে সচিব আরও বলেন, যে ২২টি রাজনৈতিক দলের আবেদন মাঠপর্যায়ে যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল, তাদের কাজ চলছে। যাদের আবেদন বাতিল বা বিবেচনাযোগ্য মনে হয়নি, তাদের সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। বাতিল হওয়ার পেছনে কোনো শর্তপূরণ হয়নি, তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও আগাম প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এ মুহূর্তে কোনো উদ্বেগ নেই বলে কমিশন জানিয়েছে। সবার নিজস্ব কাজ গুছিয়ে নিলেই হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত, মাঠ প্রশাসন নিজ নিজ এলাকায় কাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের দায়িত্ব পালন করছে।ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাজের ক্ষেত্রে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, যাতে শেষ মুহূর্তে কোনো ধরনের হুড়োহুড়ি বা সমস্যা না হয়।এদিকে, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ইতোমধ্যে একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি দিকনির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।সর্বশেষ সভা শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের কাজ শুরু হয়েছে। সমন্বয় করা হচ্ছে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং সিভিল প্রশাসনের মধ্যে।আগামী সেপ্টেম্বর থেকে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে দেওয়া হবে নির্বাচনবিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে অক্টোবর ও নভেম্বর পর্যন্ত। এছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে গ্রাউন্ড লেভেলের পরিস্থিতি জানতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে সিচুয়েশন রিপোর্ট পাঠানোরও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রায় ৬০ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনী ৫ আগস্টের পর থেকেই মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাও আছে। আমরা আশা করছি, এই নির্বাচনের সময় তাদের একটা বলিষ্ঠ ভূমিকা থাকবে, তারা মূলত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য।শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক অপতথ্য-অপপ্রচার রোধে ‘ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার’ গঠন করা হবে। এখানে দ্রুততার সঙ্গে অপতথ্যগুলো তুলে ধরা হবে। কয়েক দিন আগে পুলিশের যে কমান্ড সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে- প্রধান উপদেষ্টা সেখানে একটি মিডিয়া সেন্টার প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেছেন। যাতে করে খুব দ্রুত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য সংগ্রহ করা যায় এবং সেখানে যেন প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো যায়।উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গ্রাউন্ড লেভেলের পরিস্থিতি জানতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে সিচুয়েশন রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বিভিন্ন জেলাপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে একটা সিচুয়েশন রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা গ্রাউন্ড লেভেলের প্রকৃত সিচুয়েশন সম্পর্কে অবগত হবেন এবং সে অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ নিতে করণীয় নির্ধারণ করবেন।তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে নির্বাচনে সমস্যা তৈরি হতে পারে এমন হটস্পটগুলো চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। জায়গাগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার জন্যে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, সেই ব্যাপারে সুপারিশ দেওয়ার জন্যও প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন।তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক অনেক রদবদল হবে। কিন্তু সব জায়গায় যে রদবদল হবে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যেখানে প্রয়োজন শুধু সেখানে রদবদল হবে।মতবিরোধে রাজনৈতিক দলগুলোদেশজুড়ে এখন প্রধান আলোচনার বিষয় নির্বাচন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতেই হতে যাচ্ছে- এমন খবরে জনমনে এক ধরনের স্বস্তি দেশের সর্বত্র। কিন্তু জুলাই সনদকেন্দ্রিক অনৈক্যে জড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।বাংলাদেশে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের জুলাই সনদের মৌলিক কয়েকটি বিষয়ে দলগুলোর মতপার্থক্যের মীমাংসা এখনো হয়নি। এর বাস্তবায়ন প্রশ্নেও বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান বা প্রকাশ্যে নানা মেরুকরণ দেখা যাচ্ছে। অনেক প্রশ্ন, আপত্তি, মতপার্থক্য যাই থাকুক না কেন- রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট সংস্কারের ব্যাপারে বর্তমানে সক্রিয় দলগুলোর ওপর একটা চাপ তৈরি করেছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি দেওয়া না দেওয়ার প্রশ্নেই বিএনপির সঙ্গে জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির মূল বিরোধ। বিএনপি এবং এর মিত্র কিছু দল ও জোট অবস্থান নিয়েছিল আইনি ভিত্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে।এদিকে, ঐকমত্য কমিশনে জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া জমা দিয়েছে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে সংবিধান ও বিএনপি চায় এখন জুলাই সনদের কোনো আইনি ভিত্তি না দিয়ে নির্বাচিত সংসদের জন্য রেখে দেওয়া। গণঅভ্যুত্থানের বছর পূর্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে যে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া হয়েছে, তাতেও বলা হয়েছে, নির্বাচিত সংসদ সংস্কারের সনদ বাস্তবায়ন করবে। তবে জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন দল এবং গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের দল এনসিপি নির্বাচনের আগেই আইনি ভিত্তি দিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে একটা অনড় অবস্থান নিয়েছে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ভোট হলেই ক্ষমতার যাওয়ার সম্ভবনা দেখছে বিএনপি। সেকারণে দলটি ও এর মিত্র দলগুলো নির্বাচিত সংসদের ওপর সংস্কারের সনদ বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আর বিএনপির ওপর রাজনৈতিক চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে জামায়াত ও এনসিপিসহ বিভিন্ন দল পাল্টা অবস্থান নিয়েছে। ফলে প্রভাবশালী দলগুলোর এমন পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে জুলাই সনদ বাস্তবয়নের প্রশ্নে চ্যালেঞ্জ দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে ভোট চেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ এ কথা জানান।বাংলাদেশের বর্তমান আর্থসামাজিক, ভৌগোলিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধি) পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য উপযোগী নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনা সভায় তারেক রহমান এ কথাগুলো বলেন।এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন,‘জুলাই সনদকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। গণপরিষদ নির্বাচনই আমাদের সমাধান।’জুলাই সনদকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আইনি ভিত্তি না দিয়ে কোনো বাধা সৃষ্টি করলে কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণাও দিয়েছে শিক্ষার্থীদের এই দলটি।ভোরের আকাশ/এসএইচ