আশ্বিনের গুটি গুটি বৃষ্টিতে হঠাৎ বজ্রপাতে কক্সবাজারের মহেশখালীর চিংড়িঘের শ্রমিক সুমন নামক যুবকের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের মাতম।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ঘটিকার দিকে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার পশ্চিমে বৃষ্টির সাথে হঠাৎ ব্রজপাতে চিংড়িঘের শ্রমিক সুমন(২৫) নামক যুবক আহত হয়। সহপাঠিরা সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাঃ তমা সেন মৃত ঘোষণা করেন। সুমন ওই এলাকার মঞ্জুর আলমের দ্বিতীয় সন্তান।স্থানীয়ারা জানান, সুমন উপজেলা কালারমারছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালী মাইজপাড়ার পশ্চিমে নয়াকাটা ঘোনা নামে চিংড়ী ঘেরে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আজ হঠাৎ বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হয়, তখন তিনি চিংড়ী ঘেরের বাসা থেকে বের হতেই বজ্রপাত সংস্পর্শ হয়ে আহত হয়। পরে সেখান থেকে অন্যান্য শ্রমিকেরা দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসে ইউনুসখালী বাজারে পল্লী কাছে নেয়ে গেলে, সেই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। এরপর তারা চকরিয়া বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এ বিষয়ে কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আবু আহমেদ জানান- বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর খবর শোনেন এবং উপরের মহলের নিকট জানিয়েছেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৪১ পিএম
বেপজার ইপিজেডগুলোতে শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদান শুরু
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) ইপিজেডগুলোতে থাকা তৈরি পোশাক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ও স্থায়ী শারীরিক অক্ষমতায় আর্থিক সুবিধা দেওয়া শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর সঙ্গে এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম (ইআইএস) নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে বেপজা। প্রকল্পটিতে আইএলওর সঙ্গে কারিগরি সহায়তা করছে জার্মান উন্নয়ন সংস্থার (জিআইজেড)। যার অর্থায়ন করবে বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো।রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডির বেপজা কমপ্লেক্সে ওই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম ইপিজেডের দুইজন নিহত শ্রমিকের পরিবার ও কুমিল্লা ইপিজেডের কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় শারীরিক অক্ষমতাজনিত কারণে একজন শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর মাধ্যমে তারা পেনশনের মতো মাসিক ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা পেতে থাকবেন। কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুর ক্ষেত্রে সর্বশেষ মাসিক বেতনের ৪০-৬০ শতাংশ এবং আহতের ক্ষেত্রে শারীরিক অক্ষমতার ওপর বিবেচনা করে পেনশন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বেপজা, আইএলও এবং জিআইজেড-এর মধ্যে একটি লেটার অব ইনটেন্ট (Letter of Intent) সই হয়। পরবর্তীতে এসব সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি এনডোর্সমেন্ট কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি শ্রমিকদের কাছে থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন আবেদন যাচাই করে প্রাথমিকভাবে উল্লিখিত তিনজনকে পেনশন সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।অনুষ্ঠানে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বেপজা শুধু বিনিয়োগ বৃদ্ধিই নয়, শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষায়ও কাজ করে যাচ্ছে। আমরা যে কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি তা কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের সুরক্ষা আরও নিশ্চিত করবে। আমরা ইপিজেড শ্রমিকদের জন্য নানা ধরনের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছি, যার অংশ হিসেবে এটা একটা বড় উদ্যোগের সূচনা করছে। শ্রমিকদের কর্মচাঞ্চল্য আমাদের দেশের টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি।তিনি বলেন, আমরা শুধু আহত-নিহত শ্রমিকদের পেনশন সুবিধা নয়। ইপিজেডে কোন ফ্যাক্টরি বন্ধ হলে, দ্রুত বেতন দেওয়ার একটা উদ্যোগ নিয়েছি। সেজন্য ফান্ড করা হবে, যেন আপনাদের কষ্টের টাকা আটকে না থাকে।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর (নিযুক্ত) ম্যাক্স টুনন, জার্মান উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ড. মাইকেল ক্লোড, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিল ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মুনির হোসেন খান, বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) আশরাফুল কবীর প্রমুখ।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেপজার অধীনে আটটি ইপিজেড এবং চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া পটুয়াখালী ও যশোরে নতুন দুটি ইপিজেড প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে।২০২৫ এর আগস্ট পর্যন্ত বেপজাধীন জোনসমূহে ৪৫৪টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে যেখানে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষ কর্মরত। মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এখন পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ১২০ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য।উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বেপজার ৯টি জোনের আয়তন দেশের মোট আয়তনের মাত্র ০.০০১ শতাংশ হলেও গত অর্থবছরে এই ক্ষুদ্র আয়তন থেকেই বেপজা দেশের মোট রপ্তানির ১৭ দশমিক শূন্য ৩ ভাগ অবদান রেখেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৫৬ পিএম
অবরোধ প্রত্যাহার, গাজীপুরে আড়াই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন একটি সুতা তৈরি কারখানার শ্রমিকেরা। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে এক ঘণ্টা পর আন্দোলন বন্ধ করেন তারা।পরে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় শিনইউয়েন (বুলবুল নিট) নামে একটি সুতা তৈরি কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ব্যস্ততম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন।শ্রমিকেরা জানান, মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার শিনইউয়েন (বুলবুল নিট) নামের কারখানাটিতে কয়েক মাস ধরে শ্রমিকদের বেতন দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে শ্রমিকেরা একাধিকবার কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলতে গেলেও তাদের কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না। চীনা মালিক পরিচালিত ওই কারখানায় কয়েক মাস ধরেই তাদের অনুপস্থিতি থাকায় শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ হয়নি। যার ফলে আজ বৃহস্পতিবার কাজে যোগদান করতে এসে শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন চেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে যোগদান করেন। গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, বেতন পরিশোধের আশ্বাস পেয়ে শ্রমিকেরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছে। আমরা মালিক পক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছি দ্রুত তাদের বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৩২ পিএম
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে দুই প্রধান মহাসড়ক অবরোধ করেছেন একটি সুতা তৈরি কারখানার শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এ বিক্ষোভ শুরু হয়। ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।শ্রমিকদের অভিযোগ, শিনইউয়েন (বুলবুল নিট) নামের কারখানাটির চীনা মালিকরা কয়েক মাস ধরে দেশে নেই। তাদের অনুপস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। বারবার দাবি জানানো হলেও সমাধান হয়নি। তাই আজ সকালে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা হঠাৎ সড়ক অবরোধ করেন।একজন নারী শ্রমিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের আর কোনো দাবি নেই, শুধু বেতন চাই। বেতন না পেলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। একইভাবে শ্রমিক সুরুজ মিয়া জানান, ঘরভাড়া দিতে পারছি না, মালিক ঘর থেকে বের করে দেবে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে রাস্তায় ঘুরতে হবে।এদিকে শ্রমিক আন্দোলনের কারণে ব্যস্ততম দুই মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, অবরোধের খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:০৭ এএম
'শ্রমিকের পাওনা শোধ না করলে মালিকদের জেলে যেতে হবে'
ঈদ সামনে রেখে শ্রমিকের পাওনা চলতি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের দেনা-পাওনা পরিশোধ না করলে যেসব মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।বুধবার (২১ মে) সচিবালয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।উপদেষ্টা বলেন, ঈদ সামনে রেখে শ্রমিকের পাওনা ২৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। ঈদ সামনে রেখে শ্রমিকের পাওনা ২৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। যেসব মালিকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে তারা বিদেশে থাকলে রেড অ্যালার্ট জারি করতে বলেছি।বেতন পরিশোধ না করলে মালিকরা দেশের বাইরে তো দূরের কথা ঢাকার বাইরে যেতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন না দেওয়ায় পাঁচ মালিকের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা হয়েছে। আরও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হবে। হয় পাওনা শোধ করতে হবে, অন্যথায় জেলে যেতে হবে।ঈদে নৌপথের নিরাপত্তায় লঞ্চে অস্ত্রধারী চারজন করে আনসার থাকবে, বাল্কহেড ঈদের আগে ও পরে তিনদিন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।ভোরের আকাশ/এসএইচ