নেপালের কাঠমাণ্ডুর কোঠেশ্বর এলাকায় ভয়াবহ সহিংসতায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা প্রথমে কোঠেশ্বর পুলিশ বিভাগের অফিসে অগ্নিসংযোগ চালায়। পরে আত্মসমর্পণ করা পুলিশ সদস্যদের রাস্তায় টেনে এনে বেধড়ক প্রহার করে হত্যা করা হয়।নেপাল পুলিশ সদর দপ্তর এই হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।কাঠমাণ্ডু ভ্যালি পুলিশ অফিসের ডিআইজি ওম রানা জানান, নিহতরা কোঠেশ্বর থানার কর্মী। তিনি বলেন, “মঙ্গলবারের বিক্ষোভের ঘটনায় কমপক্ষে তিন পুলিশ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।”পুলিশ জানায়, মহারাজগঞ্জ পুলিশ সার্কেল এবং কালিমাটিতেও বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে। তবে সেখানে হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত নয়।রাজধানীজুড়ে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ছড়িয়ে পড়ছে। বিক্ষোভকারীরা সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক নেতাদের বাসভবন এবং গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করছে। কোঠেশ্বরের এই হত্যাকাণ্ডের ফলে নেপালে আইন-শৃঙ্খলার ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা আরও জোরদার হয়েছে।সূত্র: সেতোপাতি, খবরহাবভোরের আকাশ//হ.র
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৫৮ এএম
নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের তথ্য
সরকারি সফরে নেপালে যাওয়া প্রায় একশো বাংলাদেশি কর্মকর্তা এবং জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা বর্তমানে কাঠমান্ডুতে আটকে আছেন। পাশাপাশি দেশটির বিভিন্ন এলাকায় অবস্থানরত বহু বাংলাদেশি পর্যটকও ফিরতে পারছেন না।মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটকে পড়া পর্যটকদের সঠিক সংখ্যা এখনও নির্দিষ্ট নয়। তবে কাঠমান্ডুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের খোলা হটলাইনে ইতোমধ্যে কয়েকশ বাংলাদেশি যোগাযোগ করেছেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ফ্লাইট চালু হলেই আটকে থাকা বাংলাদেশিরা দেশে ফিরতে পারবেন। এ বিষয়ে কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাস সমন্বয়ের কাজ করছে।ভোরের আকাশ//হ.র
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৫৮ পিএম
এবার নেপালে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার জেরে নেপালে চলমান বিক্ষোভ ক্রমেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বহু মানুষ।বিরোধী দল রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি (আরএসপি) সোমবার এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পদত্যাগ ও আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক কবীন্দ্র বুরলাকোতি বলেন, “নেপালি কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউএমএল) জোট সরকার জনগণের আস্থা হারিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অলিকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।”তিনি আরও দাবি করেন, বিক্ষোভে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এবং সরকারের সময়ে সংঘটিত দুর্নীতির তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিশন গঠন করতে হবে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থী ও জনতার ওপর গুলি চালানোর দায়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।গত বছর নেপালের সুপ্রিম কোর্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে সরকারিভাবে নিবন্ধনের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে ওলির নেতৃত্বাধীন সরকার ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিবন্ধনের জন্য ২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধন না করায় গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে এসব প্ল্যাটফর্মে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।নিষেধাজ্ঞার পর থেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন শুরুর মূল দাবি ছিল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। তবে তা দ্রুত সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। রাজধানী কাঠমান্ডুর বাণেশ্বরসহ বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ অমান্য করে জনতা রাস্তায় নেমে আসেন।এদিকে, চলমান পরিস্থিতির মধ্যে নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক ইতোমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। এবার প্রধানমন্ত্রী অলির পদত্যাগের দাবিও জোরালো হচ্ছে।সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্টভোরের আকাশ//হ.র
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদন, দ্রুত ক্যাম্পাস নির্মাণ এবং পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের পদত্যাগের দাবিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মহাসড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, কোষাধ্যক্ষ,শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ স্থানীয়রা।রোববার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটা থেকে বেলা বারটা পর্যন্ত উপজেলার বিসিক বাসষ্ট্যান্ডে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। একই সাথে চলে মানববন্ধন কর্মসূচি।ছবি : ভোরের আকাশমানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ চলাকালে বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ নয় বছর অতিবাহিত হলেও স্থায়ী ক্যাম্পাস পায়নি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ। ভাড়া ভবনে কোন রকমে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ড চললেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। নেই কোন আবাসিক হল, খেলার মাঠ। শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে ৫১৯ কোটি টাকা প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হলেও একনেকে ডিপিপি অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। অতিদ্রুত ডিপিপি অনুমোদন দিয়ে ক্যাম্পাস নির্মানের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি দেওয়া হবে।ছবি : ভোরের আকাশএ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ার জন্য বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে দায়ি করে তার পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস এম হাসান তালুকদার, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর সুমন কান্তি বড়ুয়া, ট্রেজারার ফিরোজ আহম্মেদ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারি, স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী ও শাহজাদপুর সচেতন নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয়রা।ভোরের আকাশ/এসএইচ