সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর)। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই শারদ উৎসব। সকালে সারাদেশের মণ্ডপগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে বিহিত পূজা। এরপর হবে দর্পণ ও বিসর্জন।বুধবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ বেশ কিছু মন্দির ও মণ্ডপে সরেজমিন দেখা যায়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল থেকে সনাতনী ভক্ত-শুভার্থীদের ভিড়। ঢাকঢোলের শব্দে চারদিক মুখর।মহানবমী উপলক্ষে বুধবার সকালে দুর্গার মহাস্নান ও তর্পণ সম্পন্ন হয়। ষোড়শ উপচারে পূজা করা হয়। দেবী দুর্গার ১০৮টি নীলপদ্মে পূজা সম্পন্ন হয়। পূজা শেষে যথারীতি অনুষ্ঠিত হয় অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ। মূলত নবমীই পূজার শেষ দিন। নবমী নিশীথেই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। তাই এ দিনটি শুধু আধ্যাত্মিকতার জন্য নয়, বিদায়ের আবেগও ভর করে ভক্তদের মনে। সনাতন বিশ্বাস মতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির আবির্ভাব ঘটান দেবী দুর্গা।নবমী তিথির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচার হলো সন্ধিপূজা, যা অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট মিলে মোট ৪৮ মিনিটব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ে দেবী চামুণ্ডার পূজা করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এ সময়েই দেবীর হাতে বধ হয় মহিষাসুর আর ভগবান রামচন্দ্র জয় করেন রাবণকে।বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, ‘দুর্গা মায়ের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে। কৈলাশে ফিরে যাবেন মা দুর্গা। আবার আমাদের অপেক্ষা শুরু হবে আগামী বছরের পূজার জন্য। এবারের পূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা নিরাপদে পূজা উদযাপন করতে পেরেছেন। এজন্য আমরা সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’উপকূলীয় ২০৭ পূজামণ্ডপে কোস্ট গার্ডের বাড়তি নজরদারি : শারদীয় দুর্গাপূজায় উপকূলী ও নদী তীরবর্তী এলাকার ২০৭টি মন্দির ও পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করছে কোস্ট গার্ড। এরমধ্যে রয়েছে ঢাকা জোন ২৫টি, পূর্ব জোন (চট্টগ্রাম) ৫৬টি, পশ্চিম জোন (মোংলা) ৪৪টি ও দক্ষিণ জোন (ভোলা) ৮২টি মন্দির ও পূজামণ্ডপ। বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ার শ্রী রামকৃষ্ণ মিশনের দুর্গাপূজার নিরাপত্তা পরিদর্শনে গিয়ে কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, কোস্ট গার্ডের তৎপরতায় উপকূল ও নদী তীরবর্তী এলাকার ২০৭টি পূজামণ্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হচ্ছে।রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক আরও বলেন, প্রতিমা বিসর্জনের স্থানগুলোতে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা মোকাবিলায় আমাদের বিশেষ ডুবুরি দল সর্বদা প্রস্তুত আছে। এছাড়া নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে আমাদের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী বণিকবাড়ি মানেই নতুন কিছু। এবার ভিন্ন ভাবে ৮ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার ৫২০ কেজি ওজনের অষ্টধাতুর দেবী দুর্গার মূর্তি তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।অষ্টধাতু দিয়ে তৈরি এটি দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বলে দাবি করেছেন এর কারিগরা। তাইতো এইবার পূজায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে দেবী দুর্গা প্রতিমা।অষ্টধাতুর ওই দুর্গাকে দেখতে দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে লোকজন। বণিক বাড়ির শত বছরের পুজোর ঐতিহ্যে এ বার যেন নতুন চমক।জানা গেছে, ধামরাইয়ের বণিক পরিবার শত বছরের ঐতিহ্য বহন করে আসছে। তাদের পারিবারিক ব্যবসা মূলত তামা, কাঁসা ও পিতল শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। সেই ধারাবাহিকতায় সুকান্ত বণিকের উদ্যোগে ২০১৭ সালে তৈরি হয় অষ্টধাতুর দুর্গা প্রতিমা। এতে ব্যবহার করা হয়েছে তামা, কাঁসা, সোনা, রুপা, পারদ, দস্তা ও রাংসহ মোট আট ধরনের ধাতু। প্রায় এক বছরের শ্রমে তৈরি এ প্রতিমার উচ্চতা ৮ ফুট। দেবী দুর্গার পাশাপাশি লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকের মূর্তিও রয়েছে এতে।প্রতিমার বিশেষত্ব আর বণিকবাড়ির নান্দনিক কারুকাজ দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করছে। পূজোর পাঁচ দিন সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য বণিকবাড়ি ও পূজামণ্ডপ উন্মুক্ত রাখা হয়, তাই ভিড় জমছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন।আশুলিয়ার মাধবী চক্রবর্তী পরিবার নিয়ে এসেছিলেন এখানে। তিনি বলেন, “আমি প্রতি বছরই দুর্গাপূজায় ধামরাইয়ের বণিকবাড়িতে আসি। এখানে মূলত পূজার পাঁচ দিন সবাই প্রবেশ করতে পারে। বাড়িটিতে রয়েছে নান্দনিক কারুকাজ, নটরাজসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর কাঁসা ও পিতলের প্রতিমা। তাই এখানে এসে অনেক ভালো লাগে।”গাজীপুর থেকে পরিবার নিয়ে আসা দর্শনার্থী সুমন বলেন, “ধামরাইয়ের বণিকবাড়ির প্রতিমাটি ব্যতিক্রম। এখানে দুর্গা, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীর প্রতিমা অষ্টধাতুর তৈরি এবং সেগুলোতেই পূজা করা হয়। অন্য মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হলেও এখানে প্রতিমা বিসর্জন হয় না; সারাবছরই দেবী দুর্গা মণ্ডপে স্থায়ীভাবে রাখা থাকে।”ধামরাই বণিকবাড়ির প্রধান ও ধামরাই মেটাল ক্রাফটসের স্বত্বাধিকারী সুকান্ত বণিক জানান, “আমাদের বণিক পরিবারের দুর্গাপূজা চলছে একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে। আগে পূজা হতো বাড়ির পাশের রাস্তায় প্যান্ডেল করে। এখন বাড়ির ভেতরে নিয়ে এসেছি এবং অষ্টধাতুর প্রতিমা দিয়ে পূজা করছি।আমাদের পরিবার ২০০ বছর ধরে তামা-কাঁসার শিল্পের সঙ্গে জড়িত। আমরা হাতি, ঘোড়া ও বিগ্রহ তৈরি করি। আগে মাটির প্রতিমা দিয়ে পূজা হলেও লোকবল কমে যাওয়ায় তা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তাই অষ্টধাতুর প্রতিমা তৈরি করে পূজা শুরু করি।”ভোরের আকাশ/মো.আ.
০১ অক্টোবর ২০২৫ ০৩:৫৬ পিএম
জামায়াত আমিরের পক্ষ থেকে পিরোজপুরের মন্দিরগুলোয় শুভেচ্ছা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ পিরোজপুর জেলার সব মন্দিরের পূজার্থী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার দিকে জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর সদর উপজেলা শাখার উদ্যোগে কদমতলা ইউনিয়নের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ও সার্বিক বিষয় খোঁজখবর নিয়েছেন। এ সময় তারা কদমতলা ইউনিয়নের ধর্ম দক্ষিণী শিব মন্দির, শ্রীশ্রী রাধা গোবিন্দ সেবাশ্রম, পোরগোলা নতুন হাটখোলা মন্দিরসহ ইউনিয়নের সব মন্দির পরিদর্শন করেন। জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ জহিরুল হক বলেন, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ধর্ম দিয়ে আমাদের বিভাজন করা সম্ভব নয়। বিগত ১৭ বছর আপনাদের পাশে আমাদের আসতে দেওয়া হয়নি। আপনাদের যে কোন সমস্যায় আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো। তিনি ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “বাংলাদেশ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের সম্মিলিত আবাসভূমি। এখানে সবাই নিজ নিজ ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালনের অধিকার রাখে।”ডা. শফিকুর রহমান আশা প্রকাশ করেন, পিরোজপুরসহ সারা দেশের মন্দিরগুলোয় পূজা-অর্চনা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের সার্বিক কল্যাণ, উন্নতি ও সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা শেখ আব্দুর রাজ্জাক, পৌর সেক্রেটারি আল আমিন শেখ, ছাত্র শিবিরের পিরোজপুর জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক, মো. হাসিব বিল্লাহ, যুব বিভাগের সভাপতি নকিব নাসরুল্লাহ, যুব নেতা আশিকুর রহমান নয়ন ও সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দসহ অনেকে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০১ অক্টোবর ২০২৫ ০৩:৩৫ পিএম
ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে ১৯ কিলোমিটার যানজট
শারদীয় দুর্গাপূজায় টানা চার দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ও আশপাশ থেকে গ্রামের পথে মানুষের ঢল নেমেছে। এতে প্রধান দুটি সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন অংশেও গাড়ির ধীরগতি ও থেমে থেমে চলার খবর পাওয়া গেছে।বুধবার (১ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী। তিনি জানান, বৈরী আবহাওয়া ও ছুটির কারণে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি গাড়ির চাপ বেড়েছে। এতে যান চলাচল ধীর হয়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।যাত্রীরা জানান, পূজার ছুটি শুরু হওয়ায় সবাই গ্রামের বাড়ি যেতে রওনা হয়েছেন। সাধারণ দিনে সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত যেতে যেখানে আধাঘণ্টা সময় লাগে, আজ সেখানে তিন থেকে চার ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।যাত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, প্রতি বছর পূজার ছুটিতে আমরা গ্রামে যাই। কিন্তু এ বছর যানজট এত ভয়াবহ যে, কখন পৌঁছাতে পারব সেটি নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি।শুধু চট্টগ্রামমুখী সড়ক নয়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও একই চিত্র। ভৈরব, নরসিংদী ও আড়াইহাজার অংশে যানবাহন ধীর গতিতে চলছে।বাসযাত্রী সোহেল মিয়া বলেন, সিলেট যেতে সাধারণত ছয়-সাত ঘণ্টা লাগে। কিন্তু আজ সকাল থেকে রওনা হয়েছি, এখনো নরসিংদী পার হতে পারিনি।একই অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ট্রাকচালক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে জ্বালানি খরচ বেড়ে যাচ্ছে, আর মালিকদের চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।পুলিশ জানায়, ছুটির চাপের পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়া যুক্ত হওয়ায় সড়কে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। তবে গাড়ির চাপ অনেক বেশি হওয়ায় যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। একাধিক টিম কাজ করছে, আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০১ অক্টোবর ২০২৫ ০১:০৮ পিএম
আজ থেকে টানা ৪ দিনের ছুটি শুরু
সরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টানা চার দিনের ছুটি শুরু হচ্ছে আজ বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে দুর্গাপূজার ছুটি মিলিয়ে ১ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি পাবেন তারা।জানা গেছে, ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, দুর্গাপূজার মহানবমী উপলক্ষে বুধবার (১ অক্টোবর) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।পরদিন ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী হচ্ছে দুর্গাপূজার সাধারণ ছুটি। ৩ ও ৪ অক্টোবর যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার হওয়ায় তা সাপ্তাহিক ছুটির অংশ হিসেবে গণ্য হবে। এতে টানা চার দিন ছুটি উপভোগ করতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।তবে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা থাকায় কর্মীরা চারদিনের পরিবর্তে একদিন কম ছুটির সুবিধা পেতে যাচ্ছেন।বিশ্বকাপে লড়াই শুরুর আগে স্ট্রোক করলেন বাংলাদেশের হেড কোচবিশ্বকাপে লড়াই শুরুর আগে স্ট্রোক করলেন বাংলাদেশের হেড কোচছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে শান্তিতে নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয়। গত বছরের অক্টোবরে তারা দুর্গাপূজার সাধারণ ছুটির পাশাপাশি একদিন নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে। এতে তখনো সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটির সঙ্গে টানা চারদিন ছুটি পান সরকারি চাকরিজীবীরা।গত বছরের ১৭ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছুটির তালিকা প্রণয়ন করে। ওই তালিকা অনুযায়ী এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরে পাঁচদিন, ঈদুল আজহায় ছয়দিন ও শারদীয় দুর্গাপূজায় দুই দিন ছুটি।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০১ অক্টোবর ২০২৫ ১০:১২ এএম
চিতলমারীতে পূজা মন্দিরে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতার শুভেচ্ছা বিনিময় ও আর্থিক অনুদান প্রদান
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার অষ্টমী পূজার দিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চিতলমারী উপজেলার শাখার উদ্যোগে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন ও কুশল বিনিময় করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা ও বাগেরহাট ১ আসন সংসদ সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দিপু। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৭ দিকে চিতলমারী উপজেলার বিএনপির উদ্যোগে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা উপলক্ষে ডুমুরিয়া, গোড়ানালুয়া, চরবড়বাড়িয়া পূর্বপাড়াসহ বেশকিছু পূজা মন্ডপ পরিদর্শন সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা এ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দিপু বলেন,মা দুর্গা মানে হলো শান্তি, ঐক্য,সাম্য। এই কথা গুলো যদি ঠিক হয়। তাহলে আমরা যারা এদেশে বসবাস করি। এ দেশটাকে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছি। একটি দল আমাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করেছে। আমাদের উচিত এই জায়গায় থেকে বেরিয়ে আসা।কে হিন্দু, কে মুসলমান এটা বড় কথা নয়।আমাদের পরিচয় আমরা বাংগালী। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধে ময়দান থেকে যদি কোন সেনাপতি সৈনিকদের যুদ্ধের ময়দানে রেখে পালিয়ে যায় তাহলে ওই সেনাপতি কোন দিন বড় সেনাপতি হতে পারে না।আমাদের দেশে একটি দল বিগত ১৭ বছর ভোট না নিয়ে জোর করে জবরদস্তি করে বলে কয়ে না কয়ে সেই ভোট গুলো যাদের কাজ থেকে নিচে তাদের বিপদে মধ্যে ঠেলে দিয়ে পরিবারে সবাইকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এই সেনাপতি দল আর কোন দিন মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারবেন না।এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, চিতলমারী উপজেলার বিএনপির সভাপতি মোঃ মমিনুল হক টুলু বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল হাসান অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ ফজলুল হক, উপজেলা সাবেক বিএনপির সদস্য সচিব আহসান হাবীব ঠান্ডু,এ্যাডভোকেট বলাই চাঁদ বিশ্বাস, এ্যাডভোকেট সমর পান্ডে,এ্যাডভোকেট মোঃ এনায়েত হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টে আহবায়ক জহরলাল সরকার, সদস্য সচিব মানবেন্দ্র মজুমদার ও সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দসহ অনেকে।বক্তব্যে শেষে তারেক জিয়া ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ করেন এবং মন্দির কমিটির হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন।ভোরের আকাশ।।হ,র
০১ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৪৬ এএম
পিরোজপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বিনিময়
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার ( ৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে থেকে শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন।নাজিরপুর উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের ঘোষকাঠী সার্বজনীন শ্রীশ্রী দুর্গা মন্দির, ঘোষকাঠী মনফন ছয়ঘরিয়া সার্বজনীন শ্রীশ্রী দুর্গা মন্দির,দীর্ঘা বাজার মন্দির সহ দীঘা ইউনিয়নের ও শাখারীকাঠী ইউনিয়নের একাধিক পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন—নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম ফরাজি, ইয়াহিয়া খান ও তাওহিদুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তানজিদ হাসান, জেলা তাঁতি দলের সভাপতি আলী শেখ, উপজেলা তাঁতি দলের আহ্বায়ক মো. আজিম হাওলাদার, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এইচ এম শামীম হাসান সদস্য সচিব তারেক আব্দুল্লাহ বাপ্পি,স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান, দীর্ঘা ইউনিয়ন বি এন পির সদস্য সচিব কালা হালদার সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।পূজা মণ্ডপে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, “ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। বিএনপি জনগণের দল হিসেবে সব ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে পাশে থাকে। পূজামণ্ডপগুলোতে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি, যেন কোথাও নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। একটি অদৃশ্য শক্তি বাংলাদেশের পতাকা ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করতে নানা অপকৌশল চালাচ্ছে—এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।”তিনি আরও বলেন, “আমি পিরোজপুর-১ আসনসহ সারা জেলায় সমন্বিতভাবে এই কাজগুলো চালিয়ে যাব। তারেক রহমান রাষ্ট্র বিনির্মাণের যে ৩১ দফা দিয়েছেন, তা মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেব। আমরা কথার রাজনীতি করি না, কাজের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।”এর পূর্বে নাজিরপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের মাদারবাড়ি গ্রামে বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মরহুম মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদারের কবর জিয়ারত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন। তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে মরহুমের বাড়িতে গিয়ে কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের খোঁজখবর নেন। এসময় তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, “যে কোনো সমস্যায় বিএনপি পরিবার আপনাদের পাশে রয়েছেভোরের আকাশ।।হ,র
০১ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৪১ এএম
বুধবার থেকে টানা ৪ দিনের ছুটি শুরু
সরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে টানা চার দিনের ছুটি শুরু হচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে দুর্গাপূজার ছুটি মিলিয়ে ১ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি পাবেন তারা।মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ব্যাংক ও পুঁজিবাজার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।তবে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা থাকায় কর্মীরা চারদিনের পরিবর্তে একদিন কম ছুটির সুবিধা পেতে যাচ্ছেন।২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, দুর্গাপূজার মহানবমী উপলক্ষে বুধবার (১ অক্টোবর) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরদিন ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী হচ্ছে দুর্গাপূজার সাধারণ ছুটি। ৩ ও ৪ অক্টোবর যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার হওয়ায় তা সাপ্তাহিক ছুটির অংশ হিসেবে গণ্য হবে। এতে টানা চারদিন ছুটি উপভোগ করতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।আগের সরকারের আমলে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ঈদে তিনদিন ও দুর্গাপূজায় একদিন ছুটি থাকতো। তবে কোনো কোনো বছর নির্বাহী আদেশে এই মেয়াদ বাড়ানো হয়।ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে শান্তিতে নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয়। গত বছরের অক্টোবরে তারা দুর্গাপূজার সাধারণ ছুটির পাশাপাশি একদিন নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে। এতে তখনো সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটির সঙ্গে টানা চারদিন ছুটি পান সরকারি চাকরিজীবীরা।গত বছরের ১৭ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছুটির তালিকা প্রণয়ন করে। ওই তালিকা অনুযায়ী এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরে পাঁচদিন, ঈদুল আজহায় ছয়দিন ও শারদীয় দুর্গাপূজায় দুই দিন ছুটি।শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবার দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ৯ দিন বন্ধ থাকবে। তবে ছুটির শুরুতে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়ায় টানা ১১ দিন বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়।দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলো বন্ধ থাকবে ১২ দিন। দুর্গাপূজার ১০ দিনের ছুটি ও দুদিনের সাপ্তাহিক বন্ধসহ টানা ছুটি থাকবে ১২ দিন।দেশের আলিয়া মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্গাপূজায় মাত্র দুদিন ছুটি থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের প্রকাশিত শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী— ১ ও ২ অক্টোবর দুর্গাপূজা উপলক্ষে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদারাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৩০ এএম
বুধবার থেকে টানা ৪ দিনের ছুটি শুরু
সরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে টানা চার দিনের ছুটি শুরু হচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে দুর্গাপূজার ছুটি মিলিয়ে ১ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি পাবেন তারা।মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ব্যাংক ও পুঁজিবাজার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।তবে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা থাকায় কর্মীরা চারদিনের পরিবর্তে একদিন কম ছুটির সুবিধা পেতে যাচ্ছেন।২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, দুর্গাপূজার মহানবমী উপলক্ষে বুধবার (১ অক্টোবর) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরদিন ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী হচ্ছে দুর্গাপূজার সাধারণ ছুটি। ৩ ও ৪ অক্টোবর যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার হওয়ায় তা সাপ্তাহিক ছুটির অংশ হিসেবে গণ্য হবে। এতে টানা চারদিন ছুটি উপভোগ করতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।আগের সরকারের আমলে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ঈদে তিনদিন ও দুর্গাপূজায় একদিন ছুটি থাকতো। তবে কোনো কোনো বছর নির্বাহী আদেশে এই মেয়াদ বাড়ানো হয়।ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে শান্তিতে নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয়। গত বছরের অক্টোবরে তারা দুর্গাপূজার সাধারণ ছুটির পাশাপাশি একদিন নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে। এতে তখনো সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটির সঙ্গে টানা চারদিন ছুটি পান সরকারি চাকরিজীবীরা।গত বছরের ১৭ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছুটির তালিকা প্রণয়ন করে। ওই তালিকা অনুযায়ী এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরে পাঁচদিন, ঈদুল আজহায় ছয়দিন ও শারদীয় দুর্গাপূজায় দুই দিন ছুটি।শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবার দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ৯ দিন বন্ধ থাকবে। তবে ছুটির শুরুতে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়ায় টানা ১১ দিন বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়।দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলো বন্ধ থাকবে ১২ দিন। দুর্গাপূজার ১০ দিনের ছুটি ও দুদিনের সাপ্তাহিক বন্ধসহ টানা ছুটি থাকবে ১২ দিন।দেশের আলিয়া মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্গাপূজায় মাত্র দুদিন ছুটি থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের প্রকাশিত শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী— ১ ও ২ অক্টোবর দুর্গাপূজা উপলক্ষে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদারাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৩০ এএম
চিতলমারীতে প্রিয়াংকা মল্লিক ফাউন্ডেশনের অনুদান প্রদান
শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা পরামর্শ
শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে পূজারীদের প্রতি সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনার ব্যাপারে উত্তেজনা প্রশমনের ব্যবস্থা নিতে হবে। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সময় নিন। অনেক ঘটনাই শেষে গুজব বলে প্রমাণিত হয়।পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন জানান, পূজামণ্ডপে আগত নারী ও পুরুষ দর্শনার্থীদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথের ব্যবস্থা করুন। পূজামণ্ডপে কোনো ব্যাগ, থলে বা পোটলা নিয়ে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকুন। পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র স্থাপন করুন। গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আর্চওয়ে গেইট স্থাপন করুন।পূজামণ্ডপে এবং প্রতিমা বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখুন এবং সম্ভব হলে স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর/চার্জার লাইটের ব্যবস্থা রাখুন।তিনি আরও জানান, পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করুন। স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও ‘স্বেচ্ছাসেবক' লিখিত আর্ম ব্যান্ড প্রদান করুন। পূজা চলাকালে আতশবাজি ও পটকা ফুটানো থেকে বিরত থাকুন।পূজা উদযাপনকালে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখুন। প্রতিমা বিসর্জনের সময় শোভাযাত্রার নির্ধারিত রুট ব্যবহার করতে বলেন তিনি।পুলিশের সহায়তার জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কন্ট্রোল রুম— ০২২২৩৩৮০৬৬১, ০২২২৩৩৮১৯৬৭, ০১৩২০০০১২৯৯, ০১৩২০০০১৩০০; ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কন্ট্রোল রুম— ০২২২৩৩৫৫৫০০, ০১৮১৭৬০২০৫০. ঢাকেশ্বরী মন্দির সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম— ০২৯৬১১৩৫৩, ০১৭০৫৫০৫৫২৯; র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) কন্ট্রোল রুম ০১৭৭৭৭২০০২৯, ফায়ার সার্ভিস সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম— ০২২২৩৩৫৫৫৫৫, ০১৭১৩০৩৮১৮১, ০১৭১৩০৩৮১৮২, ০১৭৩০৩৩৬৬৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করুন।জেলা পুলিশ সুপার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইট (www.police.gov.bd) থেকে নম্বর সংগ্রহ করুন। এছাড়া যে-কোনো প্রয়োজনে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সেবার জন্য জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ (টোল ফ্রি) নম্বরে কল করুন।ভোরের আকাশ/তা.কা