সুনামগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ২৭২ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করেছে র্যাব-৯। তবে এ সময় অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়।সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে র্যাব-৯, সিপিসি-৩, সুনামগঞ্জ এর একটি অভিযানিক দল জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মথুরকান্দি বাজারে এই অভিযান চালায়।র্যাব জানায়, মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান ডিউটি চলাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানাধীন সলুকাবাদ ইউপি’র উত্তর কাপনা এলাকায় পাকা রাস্তার উপর কতিপয় ব্যক্তি মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।খবর পেয়ে র্যাবের একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌছালে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা কৌশলে পালিয়ে যায়।এ সময় তাদের ফেলে যাওয়া ৩ টি প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর থেকে ২৭২ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
১৯ আগস্ট ২০২৫ ০৮:৫৮ পিএম
ফেনীতে দশ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার
ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি-ছিনতাইসহ দশ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মো. নজরুল ইসলাম মামুনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি অভিযানিক দল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ফেনী সদর থানাধীন বিজয় সিংহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেনী সদর মডেল থানার একটি দস্যুতার মামলায় (মামলা নং-২২, তারিখ-২০ জানুয়ারি ২০১৪) ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মামুন বিজয় সিংহ এলাকায় অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।র্যাব আরও জানায়, সিডিএমএস (CDMS) তথ্য পর্যালোচনা করে মামুনের বিরুদ্ধে মোট দশটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এই মামলাগুলো ফেনী সদর এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানায় ডাকাতি, দস্যুতা, ছিনতাই ও চুরির অভিযোগে দায়ের করা হয়েছিল।পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত নজরুল ইসলাম মামুনকে ফেনী সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৬ আগস্ট ২০২৫ ০২:৩৪ পিএম
মাধবপুরে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই খুন, ধর্ষন, ডাকাতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এ ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই সফলতা অর্জন করেছে।এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং র্যাব-৮ বরিশাল, পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব-৯, সিপিসি-৩, হবিগঞ্জ ক্যাম্প এর একটি যৌথ আভিযানিক দল (২৭ জুলাই) আনুমানিক দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানাধীন বাংলাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার হবিগঞ্জের মাধবপুরে চতুর্থ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী (১২) ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আকাশ মিয়া (২৪), পিতা- মোঃ নুর মিয়া, সাং- হবিবপুর, থানা- মাধবপুর, জেলা- হবিগঞ্জ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।মামলার বিবরণে জানা যায় যে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ সকাল ৮ টায় ভিকটিম শিশু প্রতিবেশী ‘হবিগঞ্জের মাধবপুর থানাধীন হাবিবপুর গ্রামে’ অভিযুক্তের বসতঘরের সামনে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ভিকটিমকে জোর পূর্বক মুখ চেপে ধরে বসত ঘরে নিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি প্রদান করে। ঘটনার পর অভিযুক্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময় ভিকটিমকে তার বসত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভিকটিম অভিযুক্তের ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে। গত ২৬/০৫/২০২৫ ইং তারিখে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে ভিকটিমকে ‘তানিয়া ডায়াগনস্টিক এন্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, মাধবপুরে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তার জানায় ভিকটিম ২৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। তখন ভিকটিম তার পরিবারের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। উল্লিখিত ঘটনায়, ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এমতাবস্থায়, র্যাব ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৮ ও র্যাব-৯ এর একটি যৌথ অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষণের অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানায় পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।ভোরের আকাশ/জাআ