ভোলার মনপুরায় আলোচিত ব্যবসায়ী আলাউদ্দীন হত্যা মামলায় এক আসামীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক শওকত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, মনপুরার চর ফৈজউদ্দীন গ্রামের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দীন স্থানীয় ফকিরহাট বাজারে সার ও কীটনাশকের ব্যবসার পাশাপাশি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট শাখা পরিচালনা করতেন। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ব্যবসায়িক বিরোধকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। পরদিন নিহতের ভাই জাফর হোসেন বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্ত শেষে সাতজনের বিরুদ্ধে দুটি চার্জশিট দেওয়া হয়। এর মধ্যে তিন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামীর বিচার শিশু আদালতে চলমান থাকায় চারজন প্রাপ্তবয়স্ক আসামীর বিরুদ্ধে এ মামলার বিচারকাজ পরিচালিত হয়।আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া আসামি আবু কালাম হত্যায় ব্যবহৃত দুইটি ছুরি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেন। এ আলামতকেই মামলার প্রধান প্রমাণ হিসেবে গণ্য করে আদালত। যদিও হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।রায়ে আদালত আসামি মো. আবু কালাম (৩৯)-কে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে আসামি মো. জয়নাল, এস ও কালাম ও মো. রনিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।চরফ্যাশন আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট হযরত আলী হিরণ বলেন, “দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে আলোচিত এ হত্যা মামলার এক আসামীর বিরুদ্ধে আদালতের রায় প্রমাণ করেছে, অপরাধীরা যে–ই হোক, আইনের চোখে কেউ ছাড় পায় না।’’ভোরের আকাশ/জাআ
২৭ আগস্ট ২০২৫ ০৮:০৬ পিএম
সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ছাব্বির হোসেনকে হত্যা মামলায় ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।রোববার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক কানিজ ফাতেমা এ রায় ঘোষণা করেন।দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. ওয়াজ আলী, মো. কুন্নু, মো. হামিদ, মো. আরশেদ আলী, মো. আব্দুস সামাদ, মো. ইদ্রিস আলী ও মো. সেলিম রেজা। তারা সবাই শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া গ্রামের বাসিন্দা।অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. গোলাম সরওয়ার খান জানান, আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ৭ জনকে যাবজ্জীবন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে । এছাড়া আরও ৮ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী ওসমান গণীর সঙ্গে আসামিদের দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট সকালে আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে তার পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এসময় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে তার ছেলে ছাব্বির হোসেনকে গুরুতর জখম করা হয়। পরে বগুড়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৪ আগস্ট ২০২৫ ০২:৩৯ পিএম
সিরাজগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে আবু কাছির হাসান হীরা (৩০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এই কারাদন্ড প্রদান করেন।দন্ডপ্রাপ্ত আবু কাছির হাসান হীরা সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার মোজাফ্ফরপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার ভূইয়ার ছেলে।সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পিপি মাসুদুর রহমান (মাসুদ) এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার অপর আসামী নুরনবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। তিনি রায়গঞ্জ উপজেলার চক সাগর গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে।মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, কিশোরী সলঙ্গা থানার একটি স্কুলে দশম শ্রেণীর ছাত্রী। ২০১৬ সালে কিশোরীর সাথে পাশ্ববর্তী রায়গঞ্জ উপজেলার আবু কাছির হাসান হীরার মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী আসামী নুরনবীর সহায়তায় আবু কাছির হাসান হীরা কিশোরীকে বগুড়া জেলার মোমিন পার্কে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পার্কের একটি কক্ষে কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে হীরা। এভাবে বিভিন্ন সময়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে হীরা। এক পর্যায়ে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কিশোরী বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। বিয়ে করতে হীরা অস্বীকার করে। পরে ২০১৯ সালের ১৬ জুন কিশোরী বাদী হয়ে আবু কাছির হাসান হীরা ও নুরনবীকে আসামী করে সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আবু কাছির হাসান হীরাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে আদালত। অপর আসামী নুরনবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশু প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত ভরণ পোষনের দায়ভার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী ও আসামীর বিদ্যমান সম্পদ থেকে বহন করতে হবে বলে রায়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
২১ আগস্ট ২০২৫ ০৫:৪৩ পিএম
ডা. নিতাই হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
এক যুগেরও বেশি সময় আগে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা ও ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র দত্ত নিতাই হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।এছাড়া চার আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।রোববার (১৭ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০-এর বিচারক মো. রেজাউর করিম এ সাজা ঘোষণা করেন।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কামরুল, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, হাসান মিজি, সাঈদ ব্যাপারী ওরফে আবু সাঈদ। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাইদুল, প্যাদা মাসুম, আবুল কালাম ও ফয়সাল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- রফিকুল ইসলাম।ডা. নিতাই ছিলেন তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থক স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা। ২০১২ সালের ২৩ অগাস্ট রাতে রাজধানীর মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় নিজের বাসায় খুন হন তিনি।হত্যাকাণ্ডের রাতে দোতলা ওই বাড়িতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিষদের সদস্য ডা. নিতাইয়ের সঙ্গে ছিলেন কেবল তার বৃদ্ধা মা। আর স্ত্রী লাকী চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামে। হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিতাইয়ের বাবা বনানী থানার হত্যা মামলা দায়ের করেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৭ আগস্ট ২০২৫ ০১:৪৩ পিএম
ধর্ষণ মামলায় ভারতের সাবেক এমপির যাবজ্জীবন
ভারতের প্রভাবশালী রাজনীতিক ও দেশটির সাবেক এমপি প্রজ্বল রেভান্নাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতি এবং গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে এই শাস্তি দেন দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের একটি আদালত।শনিবার (২ আগস্ট) বিচারক সন্তোষ গজানন ভাটের সভাপতিত্বে গঠিত এমপি-এমএলএ’দের জন্য গঠিত বিশেষ আদালত এই রায় দেন।কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১১ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়। ভুক্তভোগী নারী প্রজ্বলের পরিবারের মালিকানাধীন একটি ফার্ম হাউস বা অবকাশযাপন কেন্দ্রে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন।২০২৪ সালে কর্ণাটকের হাসান জেলায় প্রজ্বলের বিরুদ্ধে চারটি ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির মামলা হয়। বাকি তিনটি মামলার বিচারও চলমান।সাজা ঘোষণার আগে প্রজ্বল কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমার একটি পরিবার আছে, আমি ছয় মাস ধরে আমার মা এবং বাবাকে দেখিনি। দয়া করে আমাকে কম শাস্তি দিন, এটাই আমি আদালতের কাছে অনুরোধ করছি। তবে তার আবেদনে কর্ণপাত করেনি বিচারক।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৩ আগস্ট ২০২৫ ১১:০৬ এএম
স্কুল ছাত্র সুমেল হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
সিলেটের বিশ্বনাথে ২০২১ সালে স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া (১৮) হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহীন এ রায় ঘোষণা করেন।এ ছাড়া এ মামলায় আরও ১৭ আসামির দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় মোট ৩২ আসামির মধ্যে একজন পলাতক রয়েছেন।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নজরুল, সদরুল, সিরাজ, সাইফুল, জামাল, শাহিন, আব্দুল জলিল ও আনোয়ার।যাবজ্জীবন আদেশপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুন নুর, জয়নাল, ইলিয়াছ, আশিক, আছকির, ফরিদ ও আকবর। অতিরিক্ত এডিশনাল পিপি কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।জানা যায়, ২০২১ সালের ১ মে বিশ্বনাথের চৈতননগর গ্রামের নজির উদ্দিনের ক্ষেতের জমি থেকে জোর করে রাস্তায় মাটি তুলতে চান যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলম। এসময় তাকে বাধা দেন নজির উদ্দিন, তার চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও ভাতিজা ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া সুমেল মিয়া। এতে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে সাইফুল আলমের বন্দুকের গুলিতে সুমেল মিয়া নিহত হয়। এসময় সুমেলের বাবা ও চাচাসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। তৎকালীন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী চাঞ্চল্যকর এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। মামলায় মোট ২৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। গত ১৩ জুলাই মামলাটি যুক্তিতর্ক শেষে বুধবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়। ওইদিন আদালত ৩০ জন আসামিকে কারাগারে পাঠান। মামলায় ৩২ জন আসামির মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি মামুনুর রশীদ পলাতক রয়েছেন। এছাড়া প্রধান আসামি সাইফুল আটকের পর থেকে প্রায় পৌনে ৪ বছর ধরে কারাগারে আছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৩০ জুলাই ২০২৫ ০১:৪০ পিএম
সিরাজগঞ্জে ছোট ভাইকে হত্যার দায়ে বড় ভাইয়ের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকায় ছোট ভাইকে হত্যার দায়ে বড় ভাই স্বপন শেখ ওরফে ডোবার (৩১) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. ইকবাল হোসেন এই রায় প্রদান করেন।দন্ডপ্রাপ্ত স্বপন শেখ ওরফে ডোবার সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সয়াগোবিন্দ মহল্লার আক্তার হোসেন শেখের ছেলে।জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রফিক সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বপন শেখ ওরফে ডোবারের সাথে ছোট ভাই রোকন শেখের মারামারি হয়। একপর্যায়ে স্বপন শেখ ছোট ভাইয়ের বুকের ডান পাশে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে রোকন শেখ গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারী স্বপন শেখ ওরফে ডোবারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ স্বপন শেখকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে আদালত।ভোরের আকাশ/জাআ
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে রাজ্জাক শেখ (৫১) নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ হামিদ এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।দণ্ডিত রাজ্জাক শেখ মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার মৃত অন্তেষ শেখের ছেলে।আদালত ও মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি বিকেলে রাজ্জাক শেখ সরিষার ফুল দেখানোর কথা বলে প্রতিবেশী এক শিশুকে ধানক্ষেতের পাশে নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর ওই শিশু ফুলসহ বাড়িতে ফিরে মাকে বিষয়টি জানায়।পরদিন ১৬ জানুয়ারি শিশুটির বাবা শিবালয় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্জাক শেখের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০২০)-এর ৯(১) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে। সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
২৩ জুলাই ২০২৫ ০৩:৫৩ পিএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় বাবা ও দুই ছেলের যাবজ্জীবন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জ উপজেলায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা মামলায় বাবা ও দুই ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান আসামীদর উপস্থিতিতে এই দন্ড প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ির সহিমুদ্দীন মন্ডলের ছেলে মো. মোস্তফা (৬৫), মোস্তফার ছেলে নয়ন আলী (৪২) ও মিলন আলী (২৪)।চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি আব্দুল ওদুদ জানান, ২০২১ সালের ২ জুন সন্ধ্যায় কয়লাবাড়িতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা মাইনুল ইসলামকে দেশীয় অস্ত্রসহ লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুত্বর ভাবে আহত করে। পরে ৬ জুন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মইনুল।এ ঘটনায় মাইনুলের ছেলে মাইনুর রহমান বাদি হয় শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক বরুন সরকার ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযাগ পত্র দাখিল করেন। আদালত মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানী শেষে এই দন্ড প্রদান করেন। মামলায় অভিযোগ প্রমাাণিত না হওয়ায় আদালত অন্য দু’জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ