জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পিরোজপুরের তেজদাসকাঠী কলেজে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (২৭ আগষ্ট) সকালে কলেজ অডিটরিয়ামে এ সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন তেজদাসকাঠী কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কলেজের পৌরনীতি বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক শিউলি খানম, রসায়ন বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক সুদেব কুমারসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দআলোচনা সভায় উপস্থিত শিক্ষার্থীরাও তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, নজরুল আমাদের সাহসী করে তোলে। তাঁর কবিতাই আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর শক্তি দেয়।অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, নজরুল কেবল বিদ্রোহী কবিই নন, তিনি ছিলেন সাম্য, মানবতা ও ভালোবাসার কবি। তাঁর রচনাগুলো আজও আমাদেরকে স্বাধীনতা, ন্যায় ও সত্যের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা জোগায়। তরুণ প্রজন্মকে নজরুলের সাহিত্য থেকে শক্তি ও অনুপ্রেরণা নিতে হবে। কারণ নজরুলের কবিতা ও গান সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে শক্ত ভিত্তি গড়ে তোলে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৭ আগস্ট ২০২৫ ০৩:৪১ পিএম
কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এদিনে তিনি তৎকালীন পিজি হাসপাতালে (বর্তমান বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) ইন্তেকাল করেন। পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়।স্বাধীনতাকামী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তিনি ‘দুখু মিয়া’ নামে পরিচিত ছিলেন। তার পিতা কাজী ফকির আহমেদ এবং মাতা জাহেদা খাতুন।নজরুল বাংলা ভাষা সাহিত্য অনুরাগীদের কাছে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি কবিতা, সংগীত, উপন্যাস, গল্প, নাটক, প্রবন্ধ, চলচ্চিত্রে নিজস্ব স্বাক্ষর রেখেছেন। ছিলেন সাংবাদিক, গায়ক এবং অভিনেতাও। সংগীতে তার অজস্র রাগ-রাগিনী অমরত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে আছে।প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তার লেখনী জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি নজরুলকে সপরিবারে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। তাকে দেওয়া হয় জাতীয় কবির মর্যাদা। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তনে কবিকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি দেয়। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি একুশে পদকে ভূষিত হন কবি।বাংলাদেশের জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন কাজী নজরুল ইসলাম। ১৯৭২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশে আসার তারিখ থেকে তাকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণা করা হয়।জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচিকবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দেশের শিল্পী-সাহিত্যিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।ভোরের আকাশ/তা.কা
২৭ আগস্ট ২০২৫ ০৯:৩৭ এএম
কোরআন খতমের দাবি ওয়ালিউল্লাহর, স্ত্রী বললেন ‘ডাহা মিথ্যা’
‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ প্রবাদটা যেন সত্যি হয়ে গেল মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ নামে এক যুবকের ক্ষেত্রে। মিডিয়ার সামনে ওই যুবক বড় মুখ করে জানালেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্য তিনি দুইবার কোরআন খতম করেছেন। পরক্ষণেই স্বয়ং তার স্ত্রী হাটে হাড়ি ভেঙে দিয়ে বললেন, ‘ডাহা মিথ্যা।’শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর প্রয়াণ দিবস। এ উপলক্ষে দুপুরের দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ এ শ্রদ্ধা জানাতে ও দোয়া করতে স্বপরিবারে হাজির হন মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ। কিন্তু পুলিশি বাধায় তিনি তা করতে পারেননি।এ কাজে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাওয়ার পথে রিকশায় বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন মুখে লম্বা দাড়ি ও পাগড়ী পরিহিত ওই যুবক। তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।ওই ভিডিওতে যুবক ওয়ালিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে আমি অনেক ভালোবাসি। আমি তার জন্য দুইবার কোরআন খতম দিয়েছি।’ব্যস, এরপরই নিজের স্ত্রীর তোপের মুখে পড়েন ওই যুবক। রিকশায় পাশে বসা বোরকা পরিহিত স্ত্রী এসময় হাটে হাড়ি ভেঙে বলেন, ‘এর (ওয়ালিউল্লাহ) মাথায় সমস্যা। সমস্যা না থাকলে এগুলো কেউ বলে? ডাহা মিথ্যা কথা, সারাবছর কোরআন খতমের কোনো খবরই নাই।’এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে যুবকের স্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা কি এগুলো (মাইক্রোফোন) সরাবেন? নাকি আপনারাও এর সাথে পাগল হয়ে গেছেন?’তারপরও থামানো যায়নি ওয়ালিউল্লাহকে। তিনি বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের জন্য দোয়া ও তার বাড়ি জেয়ারত করতে ঢুকতে চাইলে পুলিশ ঢুকতে দেয়নি। তারা বাধা দিয়েছে। আমি বঙ্গবন্ধুকে খুব ভালোবাসি। খুব খারাপ লাগতেছে আমার।’এসময় তার স্ত্রী বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘আমার এখান থেকে নেমে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে।’ যে কথা সেই কাজ। পরে তিনি রিকশা থেকে সত্যি সত্যি নেমে যান।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৬ আগস্ট ২০২৫ ১০:২৫ এএম
শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকীর দোয়ায় ইমাম-মুয়াজ্জিন, অতঃপর...
নোয়াখালীর কবিরহাটে শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পরে এক যুবলীগ নেতা এবং ইমান-মুয়াজ্জিনসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের সাত বাড়িয়া জামে মসজিদ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।আটকরা হলেন নিজাম উদ্দিন, নজরুল ইসলাম ও মো. করিম। তাদের মধ্যে নিজাম উদ্দিন মসজিদের ইমাম, নজরুল মুয়াজ্জিন ও করিম ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য।এর আগে, একই দিন বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের সাত বাড়িয়া এলাকার মরহুম ছাত্রলীগ নেতা স্বপন মোল্লার বাড়িতে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা স্বপন মোল্লা স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ব্যানারে একই ওয়ার্ডের সাত বাড়িয়া ছাত্রলীগ-যুবলীগ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম স্বপন মোল্লার বাড়িতে শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করে স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পার্শ্ববর্তী সাত বাড়িয়া জামে মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন ওই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন।এরপর দলীয় নেতাকর্মীরা মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের একটি ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার দেয়। এ ভিডিও স্থানীয় প্রশাসনের নজরে এলে তারা ভিডিও দেখে অভিযানে নামে। পরে একই দিন রাত ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইমাম-মুয়াজ্জিন এবং যুবলীগ নেতা সুমনসহ তিনজনকে আটক করে।কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের কর্মসূচির প্রতিবাদে রাতেই উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে যুবদল ও জামায়াতের যুব বিভাগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৬ আগস্ট ২০২৫ ১০:১২ এএম
টুঙ্গিপাড়ায় নেই কোনো আয়োজন, নিরাপত্তা জোরদার
শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এই দিনে একদল বিপথগামী সেনাসদস্য তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে সংঘটিত ইতিহাসের নৃশংসতম সেই হত্যাকাণ্ডের ৫০ বছর আজ।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও ওই রাতে তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ৩ ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে তার জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হককেও হত্যা করা হয়।নানা উত্থান-পতনের পর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রায় সাড়ে ১৫ বছরের শাসনকালে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ঘিরে মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করত। এদিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার কবরে শ্রদ্ধা জানানোসহ নানা আয়োজন করা হতো।তবে এবারের চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের পতন হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে এখন আর সরকারি ছুটি নেই। গত বছর এই ছুটি বাতিল করা হয়।গত ১৫ বছর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস পালিত হলেও এ বছর সমাধিতে নেই কোনো দলীয় আয়োজন। অন্যান্য সাধারণ দিনের মতোই নিরিবিলি পরিবেশ বিরাজ করছে টুঙ্গিপাড়ার সর্বত্র।তবে কোনো ধরনের সহিংসতা বা অপ্রিতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদিন বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধসহ টুঙ্গিপাড়ার বিশেষ বিশেষ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৫ আগস্ট ২০২৫ ০৪:১৩ পিএম
চিতলমারীতে কমরেড রতন সেনের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি চিতলমারী উপজেলা শাখার আয়োজনে মহান মুক্তিযুদ্ধের অনন্য সংগঠক কমরেড রতন সেনের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল ১১টায় চিতলমারী উপজেলার নিজস্ব কার্যালয়ে মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়।কমরেড রতন সেন ছিলেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ব্রীটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম অকৃতদার বিপ্লবী, কিংবদন্তী কৃষক নেতা, উপমহাদেশের বিশিষ্ট মার্কসবাদী চিন্তক ও লেখক, দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব।উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি ডাঃ সেকেন্ডারী আলী খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্ষেত মজুর সমিতির সহ-সভাপতি মৃন্ময় মন্ডল, কন্ট্রোল কমিশনার সদস্য কাজী সোহরাব হোসেন, বাগেরহাট জেলা কমিটির সদস্য সুকুমার বিশ্বাস, সিপিবি চিতলমারী উপজেলা সদস্য জয়ন্ত মন্ডল প্রমুখ।অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চিতলমারী উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক পংকজ কুমার রায়।ভোরের আকাশ/জাআ
৩১ জুলাই ২০২৫ ০৪:০২ পিএম
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। তার সাহিত্যজীবন শুরু হয় স্বাধীনতার পরপরই। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ দিয়েই তিনি সাহিত্যাঙ্গনে সাড়া ফেলে দেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।তার লেখা জনপ্রিয় উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে— ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘মধ্যাহ্ন’, ‘দেয়াল’, ‘মাতাল হাওয়া’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘গৌরীপুর জংশন’, ‘লীলাবতী’, ‘কবি’ প্রভৃতি।সাহিত্যজগত ছাড়াও নাটক ও চলচ্চিত্রে তার সৃষ্টিশীলতার ছাপ স্পষ্ট। আশির দশকে লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘এইসব দিনরাত্রি’ তাকে এনে দেয় বিপুল জনপ্রিয়তা। তার নির্মিত চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘আগুনের পরশমণি’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ উল্লেখযোগ্য।উপন্যাস ও নাটকে তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো— হিমু, মিসির আলী, শুভ্র— তরুণ প্রজন্মের মনে স্থান করে নিয়েছে স্থায়ীভাবে। তাঁর রচিত অনেক গানও পেয়েছে দর্শক-শ্রোতাদের ভালোবাসা। তার সাহিত্যকীর্তির জন্য তিনি পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), একুশে পদক (১৯৯৪), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩) ও হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০)।মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়েছে। তার জন্মস্থানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভক্ত-অনুরাগীরা স্মরণসভা, পাঠচক্র, প্রদর্শনী ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৯ জুলাই ২০২৫ ০১:১০ পিএম
সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। ২০১৯ সালের এই দিনে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি মারা যান। এই উপলক্ষে রংপুরসহ সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে জাতীয় পার্টি ও দলের অঙ্গসংগঠনগুলো। দলের শীর্ষ ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির। কর্মসূচিগুলো হলো- সোমবার সকাল ৭টায় রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রংপুর নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কোরআন তেলাওয়াত মাইকযোগে প্রচার ও এরশাদের বিভিন্ন সময়ের ভাষণ প্রচার করা হবে। বেলা ১১টায় নগরীর পল্লী নিবাসে সমাধি অঙ্গনে কোরআন তেলাওয়াত, কবর জিয়ারত, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দিনব্যাপী এইচ এম এরশাদের ভাষণ ও কোরআন তেলাওয়াত প্রচার এবং দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় পার্টির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ পৃথকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করবে বলে জানা গেছে।দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের অনেকেই মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৪ জুলাই ২০২৫ ১০:১০ এএম
মরহুম আজিজ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
গাজীপুরের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আজিজ চৌধুরী শিল্প গ্রুপের (এসি শিল্প গ্রুপ) প্রতিষ্ঠাতা ও নবজান বায়তুল মামুর চৌধুরী বাড়ী জামে মসজিদ ও আজিজ চৌধুরী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোতাওয়াল্লী মরহুম আব্দুল আজিজ চৌধুরী'র ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে আলহাজ্ব আজিজ চৌধুরী ইসলামী কমপ্লেক্স ও নবজান বায়তুল মামুর চৌধুরীবাড়ী জামে মসজিদে এ আয়োজন করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন মরহুম আজিজ চৌধুরী বড় ছেলে এসি শিল্প গ্রুপ ও স্টাইলিশ গার্মেন্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও বিজিএমই এর সদস্য সালাউদ্দিন চৌধুরী ও ছোট ছেলে তারেক চৌধুরীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ জনগণ।জুম্মার নামাজ আদায়ের পর মরহুম আজিজ চৌধুরীর রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত, মরহুমের কবর জিয়ারত ও তবারক বিতরণ করা হয়।ভোরের আকাশ/জাআ