অনেকের লেজ কাটা যাচ্ছে বলে আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন: মাহফুজ আলম
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, অনেকের লেজ কাটা যাচ্ছে বলে আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন। এতে জড়িত রয়েছেন বিভিন্ন দলের কয়েকজন মহারথী। সব ষড়যন্ত্রই প্রকাশ পাবে।সোমবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা লেখেন তিনি।উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লিখেছেন, তদবিরের কথা উঠলো যখন, একটা ঘটনা বলি। আমাদের এক বন্ধু একজন ব্যক্তিকে আমার ভাইয়ার সঙ্গে দেখা করায়। বিটিভির একটা টেন্ডারের কাজ করে দিলে তারা পার্সেন্টেজ দিবে এবং জুলাই নিয়ে কয়েকটা দেশে প্রোগ্রামের জন্য হেল্প করবে। আমি জানার পর এটা নিষেধ করে দেই। সদুদ্দেশ্যে হলেও রাষ্ট্রের আমানতের খেয়ানত করা যাবে না। পরবর্তীতে সে টেন্ডারের কাজ ও স্থগিত হয়।তিনি আরও লিখেছেন, সে ব্যক্তি কনভারসেশন রেকর্ড করে একজন সাংবাদিককে পাঠায়। সে সাংবাদিক যোগাযোগ করলে আমি বলে দিই, ভাই আমরা এ কাজ করতে দেইনি। আর, ঐ লোক ফাঁসানোর উদ্দেশ্যেই জুলাইয়ের প্রোগ্রামের কথা বলে একাজ করেছে। উনি আমার কথা বিশ্বাস করে আর রেকর্ডটি পাবলিক করেননি।মাহফুজ আলম অভিযোগ করে বলেন, আজকাল অনেকের লেজকাটা যাচ্ছে বলে, আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন। বিভিন্ন দলের কয়েকজন মহারথী এতে জড়িত। সব ষড়যন্ত্রই প্রকাশ পাবে।শেষে বিশেষ দ্রষ্টব্য উল্লেখ করে মাহফুজ আলম লেখেন, কয়েকটা বাক্য নিয়ে অযথাই জলঘোলা হচ্ছে, তাই এডিট করে দিলাম। জুলাই কতিপয় লোকের কাছে পলিটিকাল মবিলিটির ল্যাডার।একটা না, কয়েকটা দলের মহারথীরাই আমার/ আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। কিন্তু, সবার এখন গুজববাজ আর সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৯ জুলাই ২০২৫ ১২:০৭ পিএম
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে সর্বশেষ যা জানালেন মাহফুজ আলম
আগামী ৫ আগস্টের আগেই ঐকমত্য নিশ্চিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, আমাদের প্রজন্ম ও জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মুখ দেখবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তব হবেই। জুলাই শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন মাহফুজ আলম।পোস্টে মাহফুজ আলম বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র গত ৩১ ডিসেম্বর ঘোষিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের জন্য সেবার সে প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বিভিন্ন দলের খসড়া প্রস্তুত হলেও ঘোষণাপত্রের বিভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ে সংলাপ মীমাংসায় পৌঁছায়নি। বিভিন্ন ধারা নিয়ে রাজনৈতিক আদর্শিক পজিশন নিয়ে নেগোসিয়েশন থমকে যায় পরের দুই মাস। (মাঝে রমজান ছিল)।তিনি আরও বলেন, মে মাসে ক্যাবিনেটে আমি আবার আলাপ তুলি ঘোষণাপত্র নিয়ে। তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এটা নিয়ে আলোচনা করতে অনাগ্রহ দেখায়। কিন্তু, জুন মাসে আবার এটা উত্থাপন করি এবং সিদ্ধান্ত হয় সরকারের পক্ষ থেকে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে একটা সর্বসম্মত ঘোষণাপত্র প্রণয়ণ করবেন।সরকারের এ উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাইয়ের শুরু থেকে এ প্রক্রিয়ায় কয়েকবার আলাপ হলেও রাজনৈতিক আদর্শিক (ঐতিহাসিক ও বটে) কিছু বক্তব্য নিয়ে এখনো ঐকমত্য নিশ্চিত হয়নি। কিন্তু, আশা করি সবাই ছাড় দিয়ে (ছাত্রদের অনেক বক্তব্যই নেগোশিয়েটেড হয়েছে) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে যথাযথ রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির সুযোগ করে দেবেন।৫ আগষ্টের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণার আশাবাদ ব্যক্ত করে মাহফুজ আলম বলেন, আশা করি, ৫ আগস্টের আগেই ঐকমত্য নিশ্চিত হবে এবং আমাদের প্রজন্ম ও জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আলোর মুখ দেখবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তব হবেই।জুলাই শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, দল-মতাদর্শ নির্বিশেষে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সব গুরুত্বপূর্ণ পর্বের স্বীকৃতির ব্যাপারে আমরা উদার হওয়া সত্ত্বেও জুলাই ছাত্র-জনতার ন্যায্য স্বীকৃতি বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৯ জুলাই ২০২৫ ১০:৪২ এএম
সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে ও বিচারে সহযোগিতা করুন: তথ্য উপদেষ্টা
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে ও বিচারে সহযোগিতা করুন। কিন্তু নাগরিক হিসেবে সবার মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন। কোনো এলাকাকে ‘ঘেটো’ বানানোর চেষ্টা করবেন না।শনিবার (১৯ জুলাই) বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।মাহফুজ আলম তার পোস্টে বলেন, গোপালগঞ্জের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ নিম্নবর্গের হিন্দু। তারা লীগের আমলে নিপীড়িত ও বঞ্চিত হয়েছে। আমাদের উচিত, বাংলাদেশজুড়ে লীগের হাতে নিপীড়িত ও বঞ্চিতদের সঙ্গে মৈত্রী করা।তিনি বলেন, হাসিনার পরাজয় রাজনৈতিক না কেবল, নৈতিকও বটে। নৈতিক পরাজয়ের পর তার রাজনৈতিক পরাজয় ঘটেছিল। ফলে আমরা হাসিনার বিরুদ্ধে গিয়ে নৈতিক উচ্চতা হারাতে পারি না। গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে আমরা মানবিক মর্যাদা, বৈষম্যহীনতা আর সুবিচারের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা পূরণ করা আমাদের কর্তব্য।তিনি আরো বলেন, অনেকেই এখনো ভাঙার কাজে ব্যস্ত। কিন্তু গড়ার কাজে কাউকে পাওয়া যায় না। অথচ পুরনো বন্দোবস্ত মচকে গেছে। এখন আর এটাকে ভাঙা যাবে না বরং ভাঙতে গেলে আরো বেঁকে যাবে, বেঁকে যাচ্ছে। আবার সময় আসবে যখন, তখন ভাঙা যাবে। কিন্তু এক্ষণে গড়ার কাজে আমাদের মনোনিবেশ করা উচিত।ভোরের আকাশ/এসএইচ