বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে নদী উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে ভোলার ১০টি অভ্যন্তরীণ নৌরুটে ছোট-বড় যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।রোববার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভোলা নদী বন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. জসিম উদ্দিন।লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকা ১০টি নৌরুটের মধ্যে রয়েছে- ইলিশা-লক্ষ্মীপুর, দৌলতখান-আলেকজান্ডার, চরফ্যাশন-ঢাকা, হাতিয়া-ঢাকা, চরফ্যাশন-হাতিয়া, মনপুরা-ঢাকা, তজুমদ্দিন- মনপুরাসহ অন্যান্য নৌরুট।তবে স্বাভাবিক রয়েছে ইলিশা-ঢাকা, খেয়াঘাট-ঢাকা, বোরহানউদ্দিন-ঢাকা, লালমোহন-ঢাকা, ঘোষেরহাট-ঢাকা ও ভেদুরিয়া-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল।ভোলা নদী বন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আবহাওয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে নদী উত্তাল রয়েছে। যাত্রী ও নৌযানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রোববার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ভোলার ১০টি অভ্যন্তরীণ নৌরুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এসব রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। আবহাওয়ার আরও অবনতি হলে সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
বঙ্গোপসাগরের ছখিনা উপকূলসংলগ্ন এলাকায় ‘এফবি মাওলা’ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। ট্রলারটি বরগুনার পাথরঘাটার জসিম কোম্পানির মালিকানাধীন।বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত চলমান থাকায় সাগর বেশ উত্তাল ছিল। এমন অবস্থায় মাছ ধরা শেষে ট্রলারটি ঘাটে ফিরছিল। ফেরার পথে ছখিনার বড়াইয়ার চরের কাছে হঠাৎ চরে আটকে পড়ে এবং তাতে ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।তবে ট্রলারটিতে থাকা সব জেলে পাশের আরেকটি ট্রলারের সহায়তায় নিরাপদে ঘাটে ফিরে আসেন। এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।ডুবে যাওয়া ট্রলার এবং এর মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাৎক্ষণিক উদ্ধার কার্যক্রম সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ। সাগর শান্ত হলে ট্রলারটি টেনে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।মালিকপক্ষের একজন সদস্য জানান, “ঘাটে ফেরার পথে বড় ঢেউয়ে ট্রলারটি চরে উঠে যায় এবং তখনই ডুবে যায়। তবে আল্লাহর রহমতে সব জেলে নিরাপদে ফিরে এসেছে।”এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মৎস্য অফিস ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সতর্ক নজরদারি রাখা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ
২৬ জুন ২০২৫ ০৪:৪১ পিএম
মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা : উপকূলে কর্মচাঞ্চল্য
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ বুধবার (১১ জুন) মধ্যরাত থেকে বঙ্গোপসাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা যাবে।গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের লক্ষ্যে প্রতিবছরই এরকম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে, এ বছরই প্রথমবারের মতো ভারত সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে এই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দৈনিক ভোরের আকাশকে জানান, নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় এবার মাছের উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করছেন। জেলেরা জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়বে এই আশা জেলেদের।নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় সাগরে ৪৭৫ প্রজাতির মাছের সুষ্ঠু প্রজনন হয়েছে, যা সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে দৈনিক ভোরের আকাশ কে জানিয়েছেন সঞ্জীব সন্নামত জেলা মৎস্য কর্মকর্তা পিরোজপুর।ভোরের আকাশ/আজাসা
১১ জুন ২০২৫ ০৩:৪৭ পিএম
সাগরে লঘুচাপ, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এই অবস্থায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রাখতে বলা হয়েছে। বুধবার (২৮ মে) আবহাওয়া অফিসের এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা-ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে পুনরায় তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, এই লঘুচাপটি আগামীকাল নাগাদ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এখনো ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা দেখছি না। তবে এর প্রভাবে দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।ভোরের আকাশ/আজাসা
২৮ মে ২০২৫ ০৯:২৩ পিএম
বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী দুই ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আগামী ২৭ থেকে ৩০ মে’র মধ্যে যে কোনো সময় ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা উপকূল ও মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলের মধ্যবর্তী যে কোন স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। তবে, এবার একই সপ্তাহে দুটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে।সোমবার (১৯ মে) সকাল এক ফেসবুক পোস্টে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।পোস্টে তিনি লেখেন, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিলাম ১১ই মে (প্রথম পূর্বাভাস) ও ১৪ মে (দ্বিতীয় পূর্বাভাস)। ২য় পূর্বাভাসে উল্লেখ করেছিলাম যে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি মে মাসের ২৬ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এর নাম দেওয়া হবে শক্তি।তিনি আরও লিখেছেন, একই সপ্তাহে আরব সাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা আছে। আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে ও বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়টি পরে সৃষ্টি হতে পারে।বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক অফিসের প্রস্তুত করা নামের লিস্টের পরবর্তী দুইটি নাম হলো ‘শক্তি’ ও ‘মন্থা’। ফলে, আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের মধ্যে যে সাগরে ২০২৫ সালের ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হবে তার নাম হবে শক্তি ও দ্বিতীয়টির নাম হবে মন্থা।মোস্তফা কামাল পলাশ আরও উল্লেখ করেন, বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে সেটি কোন উপকূলে আঘাত হানবে এবং এর শক্তি কেমন হবে তা নির্ভর করছে আরব সাগরে যে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে তার ওপরে।বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে তার দুয়েকদিন আগেই যদি আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়টি শেষ হয়ে যায় তবে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়টি বেশি শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ