এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে সারাদেশ থেকে আসা হাজারো শিক্ষক জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছেন। ফলে তোপখানা রোডের উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এলাকা না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।এছাড়া সমাবেশ শেষে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবেন শিক্ষকরা। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তাদের এই কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে কয়েকশ শিক্ষক উপস্থিত আছেন। সমাবেশের আয়োজন করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট। জাতীয়করণসহ শতভাগ উৎসব ভাতা, ৪৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা এবং বিনোদন ভাতার দাবিতে তাদের এই মহাসমাবেশ। কর্মসূচিতে যোগ দিতে সারাদেশ থেকে শিক্ষকরা ঢাকায় এসেছেন।এদিকে শিক্ষকদের কর্মসূচি ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি। ২০১৮ সালে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি এখনো পূরণ হয়নি। আর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টাও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে বাস্তবায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি নেই। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি। অথচ আমরা বছরের পর বছর বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি।তিনি বলেন, কালকের সমাবেশে সারাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও কর্মচারী ঢাকায় আসবেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে আমরা একযোগে দাবি তুলে ধরব এবং প্রয়োজনে সচিবালয় পর্যন্ত পদযাত্রা করব। এটা শুধু একটি কর্মসূচি নয়, বরং ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। আমরা চাই সরকার অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিক। যদি এবারও দাবি পূরণ না হয়, তবে আমরা আরও বৃহত্তর ও কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো।ভোরের আকাশ/মো.আ.
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। রোববার (১০ জুলাই) সকাল ১০টায় আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সামনে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।মানববন্ধনে সাংবাদিকরা প্রশ্ন রেখে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও সাংবাদিকরা নিরাপদ নয় ,সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা কবে হবে। সাংবাদিকরা কেন এরকম নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হবে।এ ছাড়া সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন করা হয়েছে। কিন্তু এই কমিশন সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় বা সাংবাদিকদের সুরক্ষায় দৃশ্যমান কোন কিছু করেছে কি? সাংবাদিকরা কেন হত্যার শিকার হবে? কেন নির্যাতনের শিকার হবে? প্রশাসন কেন নিশ্চুপ থাকে? তাই অবিলম্বে সাংবাদিক তুহিন হত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্য দ্রুত শেষ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান বক্তারা।আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোজাফফর হোসাইন জয়ের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি মেহেদী হাসান মিঠু, অপু ওহাব, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক লাইজু আহম্মেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, প্রচার সম্পাদক আল মামুন ,,কামরুল হাসান রুবেল সহ সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই অঞ্চলের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদকর্মীরা।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১০ আগস্ট ২০২৫ ১২:৫৪ পিএম
সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুর প্রতিনিধি সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। একুশে টেলিভিশন ও দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি জি এম মনিরুল ইসলাম মিনির সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম রফিক, প্রেস ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম সরোয়ার, নির্বাহী সদস্য আমিরুজ্জামান বাবু, নির্বাহী সদস্য মুহা. জিল্লুর রহমান,খবরপত্রের জেলা প্রতিনিধি মো. রবিউল ইসলাম, দৈনিক রুপবানীর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি এম ইদুজ্জামান ইদ্রিস, দৈনিক সাতক্ষীরা সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শাহ আলম, ঢাকা প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি খন্দকার আনিসুর রহমান, আমার বার্তার জেলা প্রতিনিধি মীর আবু বকর, দৈনিক সংবাদের জেলা প্রতিনিধি কে এম আনিছুর রহমান, দৈনিক নিরপেক্ষ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম, দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো. ফিরোজ হোসেন, আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি হাসানুর রহমান প্রমুখ।মানববন্ধনে বক্তারা সাংবাদিক তুহিন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকরা কলমের মাধ্যমে সমাজের নানান অসংগতি তুলে ধরেন। অথচ যার বিপক্ষে যায় তখন সাংবাদিককে আক্রমণ করা হয়। বক্তারা বলেন, আজ যদি সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ডের বিচার হতো তাহলে দেশে আর কোনো সাংবাদিক হত্যার শিকার হতো না। বর্তমান সরকার ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সাংবাদিকরা ও অনিরাপদ হলে গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়ে। অনতিবিলম্বে দেশের সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবি করে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রেসক্লাবের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যরা সহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৯ আগস্ট ২০২৫ ০৩:৩১ পিএম
সাংবাদিক আবদুল হালিম আর নেই
জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য ও প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল হালিম আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ঢাকায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী ও অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আবদুল হালিম ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান ও সদালাপী সাংবাদিক।আবদুল হালিম ১৯৪০ সালের ১ মার্চ পটুয়াখালী জেলার আমতলী উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু হয় সাপ্তাহিক জনতা পত্রিকার মাধ্যমে। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক জনকণ্ঠ-এর বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।আবদুল হালিম দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে সততা, দায়বদ্ধতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় রেখেছেন। সহকর্মী ও সিনিয়র সাংবাদিকদের কাছে তিনি ছিলেন শ্রদ্ধাভাজন।আজ বাদ মাগরিব তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে খিলগাঁও শাহী মসজিদে। জানাজা শেষে তাকে তালতলা কবরস্থানে দাফন করা হবে।জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া এক শোকবার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।ভোরের আকাশ/জাআ
৩১ জুলাই ২০২৫ ০৬:২৪ পিএম
প্রেস ক্লাবে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে মৌখিক পরীক্ষায় (ভাইভা) অংশগ্রহণ করা সব প্রার্থীকে সনদ প্রদানের ঘোষণার দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।রোববার (২২ জুন) বেলা সোয়া ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।এর আগে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে অগ্রসর হতে গেলে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশ তাদের বারবার সরে যেতে বললেও স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।পরে ১১টা ২৩ মিনিটে তাদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।গত ১৫ জুন দুপুর দেড়টার দিকে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকা সত্ত্বেও সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা। পরে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে একাধিক সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ওইদিন জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। এতে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ পাঁচটির বেশি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। করা হয় লাঠিচার্জও। তবে আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান ধরে রাখেন।ভোরের আকাশ/আজাসা
পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিয়োগপ্রত্যাশীরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ পাঁচটির বেশি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, করা হয় লাঠিচার্জও। তবে আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান ধরে রেখেছেন।রোববার (১৫ জুন) বেলা দেড়টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে গত ৮ জুন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা এবং প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ৯ জুন ২০২৫ খ্রি., সোমবার হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড়, মিন্টু রোড) যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।’ভোরের আকাশ/আজাসা