ফুলবাড়ীতে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে উপজেলা প্রশাসন ও ওসি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এবছর ৬১টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এ উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে পুলিশ, আনসার, র্যাব, সেনাসহ উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে পৌর এলাকার বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসহাক আলী ও ফুলবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ এ কে এম খন্দকার মুহিবুল ইসলাম।মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মহাঅষ্টমী গভীর রাতে বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন করেন। রাত সাড়ে ৯টায় থেকে রাত ১টা পর্যন্ত পৌর এলাকার চাঁদপাড়া কালী মন্দির, শীতলা মন্দির, কেন্দ্রীয় কালী মন্দির পূজা মন্ডপ, শিব মন্দির, পালপাড়া মন্দির, রায়পাড়া তরুণ সংঘ দুর্গাপূজা মন্ডপসহ বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আনন্দ কুমার গুপ্ত, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উপজলো শাখার নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসাহাক আলী বলেন, ফুলবাড়ী উপজেলায় আমরা দায়িত্ব পালন করছি। ফুলবাড়ী একটি শান্তি প্রিয় এলাকা। অতীতেও এখানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আশা করছি, এবারও ঘটবে না। সকলের সহযোগিতায় আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রস্তুত রয়েছি।ভোরের আকাশ/জাআ
০১ অক্টোবর ২০২৫ ০৬:১১ পিএম
শ্রীপুরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গাজীপুরের পুলিশ সুপার
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা বাজারে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন গাজীপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) ডা. চৌধুরী যাবেদ সাদেক।মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫ টায় তিনি এ পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশফাক ও আবুল খায়ের, শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক, মাওনা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সরকার, মাওনা বাজার পূজা মন্ডপের সভাপতি শ্রী শংকর চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক শ্রী রতন চন্দ্র সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী তাপস চন্দ্র রায়সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।পুলিশ সুপার ডা. চৌধুরী যাবেদ সাদেক বলেন, "এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন হচ্ছে। কোন অবস্থায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেওয়া যাবে না। প্রতিটি পূজামন্ডপে তিন স্তরের নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। আনা হয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতায়। সুতরাং কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ছাড় দেওয়া হবে না। উৎসবের অংশীদার হতে আমরা আজ এখানে এসেছি।"ভোরের আকাশ/জাআ
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:১৬ পিএম
সিংড়ায় পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে পুলিশ সুপার
শারদীয় দূর্গোৎসবকে ঘিরে নাটোরের সিংড়া পৌরসভার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম।সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় সিংড়া পৌরসভার কেন্দ্রীয় ঠাকুরবাড়ি, মরিচপট্রি, দমদমা দশভূজা, গিরীজাকান্ত দূর্গা মন্দিরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন পুলিশ সুপার।এসময় মন্দিরে নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা এবং সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (সিংড়া সার্কেল) নুর মোহাম্মদ আলী, সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মমিনুজ্জামান প্রমূখ।ভোরের আকাশ/জাআ
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:২২ পিএম
পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় ৭১ হাজার পুলিশ মোতায়েন
শারদীয় দুর্গাপূজায় দেশের পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় ৭১ হাজার ৬৬ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি মাসের শুরু থেকে অল্প কয়েকটি স্থানে ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে এসব ঘটনা প্রশমিত বা প্রতিকার করা হচ্ছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সব স্থানে পূজা উদযাপন কমিটি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। যেসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো মূলত সাধারণ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব বা স্থানীয় বিরোধের ফলে ঘটছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক বিবৃতিতে ২ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উল্লিখিত সংঘটিত নয়টি ঘটনার তিনটিতে জিডি, ছয়টিতে মামলা রুজু হয়েছে এবং ছয়জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে।এরমধ্যে তিনজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে পুলিশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৪৯ পিএম
ঢাকায় ৮৯ পূজামণ্ডপ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগরে ২৫৪টি পূজামণ্ডপের মধ্যে ৮৯টি পূজামণ্ডপকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের যথেষ্ট ব্যবস্থা আছে, কেউ দুষ্টুমি করার সুযোগ পাবে না। দুষ্টুমি করলে আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করব এবং তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।তিনি বলেন, পূজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে পূজামণ্ডপে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে ২৪ ঘণ্টা পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। মণ্ডপগুলোর শ্রেণি মোতাবেক প্রত্যেকটি মণ্ডপে পুলিশ ও আনসার মিলিয়ে সর্বনিম্ন ১১ জন থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে। নিজ নিজ এলাকায় নিয়মিত টহল ও চেকপোস্টের বাইরে প্রায় ২ হাজার ২০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবে।তিনি আরও বলেন, দুর্গাপূজা চলাকালীন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যেকোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সোয়াত, এক্সক্লুসিভ রিকভারি ও বোম্ব ডিসপোজাল টিম, ডগ স্কোয়াড ও ক্রাইম সিন টিম সার্বক্ষণিক স্ট্যান্ড বাই থাকবে। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মণ্ডপের আশপাশে পুলিশের নজরদারি থাকবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৭৭টি পূজা মন্ডপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এআর মামুন খান।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মঠবাড়িয়া উপজেলা মিলনায়তনে এই অনুদান বিতরণ করা হয়। এআর মামুন খান ব্যক্তিগতভাবে উপজেলার মোট ৭৭টি পূজা মন্ডপের প্রতিটিতে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দেন। মঠবাড়িয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রতন কর্মকারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রণব রায়ের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল কাইয়ুম, মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মামুন, মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু বকর সিদ্দিক বাদল, মঠবাড়িয়া পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি কেএম হুমায়ুন কবির, মঠবাড়িয়া পৌরসভা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মনির, মঠবাড়িয়া উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সোহেল, মঠবাড়িয়া উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব এমরান মুন্সি প্রমুখ।এসময়ে মঠবাড়িয়া দক্ষিণ বন্দর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শিবু সাওজাল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই উদ্যোগকে আমরা হিন্দু সম্প্রদায় সাধুবাদ জানাই। এই আর্থিক অনুদানে কিছুটা হলেও আমরা উপকৃত হবো।বিএনপি নেতা এআর মামুন খান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে প্রতি বছরের ন্যায় মঠবাড়িয়া উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে সামান্য কিছু উপহার প্রদান করেছি। আমি সবসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে আছি।ভোরের আকাশ/জাআ
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:৩৭ পিএম
পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লাখের বেশি আনসার-ভিডিপি
বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৫ নিরাপদ ও নির্বিঘ্নভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৯ দিন সারাদেশের ৩১৫৭৬ পূজামণ্ডপে মোতায়েন থাকবেন দুই লাখের বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার-ভিডিপি সদস্য।সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এই বিশাল নিরাপত্তা কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ সদর দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য এবং আনসার-ভিডিপি সদস্যদের যথাযথ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সতর্কতা, আন্তরিকতা এবং জনগণবান্ধব মনোভাবের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।বাহিনীর চলমান সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় প্রায় দুই লাখ তরুণকে ইতোমধ্যে গণপ্রতিরক্ষার নতুন ধারায় প্রশিক্ষণ দিয়ে বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নব সংযোজিত AVMIS সফটওয়্যারের মাধ্যমে সব সদস্যের রেজিস্ট্রেশন ও হালনাগাদ তথ্য যাচাই করে পূজার নিরাপত্তা দায়িত্ব নির্ধারণ করা হচ্ছে। উৎসবকালীন দায়িত্ব পালনে যথাযথতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বাহিনীতে STDM সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে।এছাড়া, পূজা উৎসবে কুচক্রী মহলের গুজব প্রতিরোধ এবং যেকোনো অশুভ শক্তি মোকাবেলায় ডিউটিরত সদস্যদের জন্য Incident Report কার্যক্রম চালু হওয়ায় নিরাপত্তা পরিধি আরও শক্তিশালী হয়েছে। পাশাপাশি, দক্ষ ও যোগ্য সদস্য বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাহিনী সর্বস্তরে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা ও দায়বদ্ধতাকে যেকোনো প্রভাবমুক্ত রাখার ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে পূজামণ্ডপগুলোকে নিরাপত্তা ঝুঁকির ভিত্তিতে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আটজন, গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে ছয়জন এবং সাধারণ পূজামণ্ডপে ছয়জন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একইসঙ্গে দেশের ৬৪ জেলায় ৯২টি ব্যাটালিয়ন আনসার স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি টিমে ছয়জন করে সদস্য থাকবেন, যারা নিয়মিত টহলের পাশাপাশি যেকোনো আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবেন।এবারের নিরাপত্তা কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে মোতায়েনকৃত সদস্যরা তাদের নির্ধারিত দায়িত্বের পাশাপাশি ‘শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপ’ ব্যবহার করে দুর্ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে রিপোর্ট করবেন। এসব তথ্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সর্বদা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবারের শারদীয় দুর্গাপূজায় গৃহীত সুসমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে পূজা উৎসব শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপন সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী। একইসঙ্গে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে দেশের সকল নাগরিকের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন।বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই নিরাপত্তা কার্যক্রম শারদীয় দুর্গাপূজাকে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই মহোৎসব সফলভাবে উদযাপিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ