নেপালের প্রথম নারী অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন সবিতা ভাণ্ডারি
নেপালের নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট সবিতা ভাণ্ডারি বরাল। নেপালে প্রথমবারের মতো কোনও নারী এই পদে আসীন হলেন।রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল তাকে এই পদে নিয়োগ দেন। নেপালের সংবাদমাধ্যম দ্য কাঠমাণ্ডু পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।তাকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশিলা কার্কির নির্দেশেই তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এদিন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল রামেশ বাদালের পদত্যাগপত্রে অনুমোদন করেন রাষ্ট্রপতি রামাচন্দ্র পাওদেল।অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া সবিতা ভাণ্ডারি এর আগে তথ্য কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আইন বিশেষজ্ঞ কৃষ্ণা প্রসাদ ভাণ্ডারির মেয়ে। গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেল পদে মনোনীত করার জন্য ভাণ্ডারিকে নির্বাচন করেন প্রধানমন্ত্রী সুশিলা কার্কি। পরবর্তীতে ভাণ্ডারির সম্মতি পাওয়ার পরই তাকে এ পদে নিয়োগ দেয়ার কাজ সম্পন্ন করেন রাষ্ট্রপতি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৪০ পিএম
নেপালে বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭২
নেপালে চলতি সপ্তাহের দুর্নীতিবিরোধী সহিংস বিক্ষোভে কমপক্ষে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রবিবার জানিয়েছে দেশটির সরকার। একই সময়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে দেশটির প্রধান সচিব একনারায়ণ আরিয়াল এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, দেশটিতে সরকারের পতনের পর তৈরি হওয়া পরিস্থিতির পূর্ণ চিত্র ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। নিহত হয়েছে ৭২ জন এবং ১৯১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতরা মূলত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা, দুর্নীতি ও দুর্বল শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের দমন ও পীড়নে প্রাণ হারায়। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। ক্ষুব্ধ জনতা সংসদ ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপরই প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন। তখনই সেনাবাহিনী রাস্তায় নামে ও নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।নেপালের সেনাবাহিনী শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, বিক্ষোভ চলাকালে লুট হওয়া ১০০টির বেশি বন্দুক তারা উদ্ধার করেছে।পুলিশের মুখপাত্র বিনোদ ঘিমিরে এএফপিকে বলেন, সহিংসতার সময় দেশজুড়ে একাধিক কারাগার থেকে পালানো প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ কয়েদির মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত ১২ হাজার ৫৩৩ জন এখনও পলাতক।বিনোদ ঘিমিরে আরও বলেন, নিহতদের মধ্যে জেল পালানো কয়েকজন কয়েদিও ছিলেন। পালানোর সময় বা পরবর্তীতে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন।এদিকে জেল থেকে পালানো অনেকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করলেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বেশিরভাগ কয়েদিকে আটক করেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৪:৫৯ পিএম
কারফিউ প্রত্যাহার, স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে নেপাল
নেপালের কাঠমান্ডু উপত্যকা ও দেশের অন্যান্য অংশ থেকে কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে বিক্ষোভ, সহিংসতা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা পেরিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে দেশটির জনজীবন।নেপালি সেনাবাহিনী শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি রাখে। তবে এখন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় শনিবার সকাল থেকেই গণপরিবহন চালু হয়েছে।রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দীর্ঘ রুটের বাস চলাচলও শুরু হয়েছে।শুক্রবার রাতে শিতল নিবাসে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পৌডেলের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সুশীলা কার্কি।সুশীলা কার্কি নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। তার নেতৃত্বাধীন সরকার আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন সংসদীয় নির্বাচন আয়োজন এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের দায়িত্বে রয়েছে।সরকারি সূত্র জানিয়েছে, সারাদেশেই নিরাপত্তা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে দেশটির তরুণ প্রজন্ম। যা এক পর্যায়ে সহিংসতায় রূপ নেয়। এ ঘটনায় ব্যাপক হতাহতের পর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন অলি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৫৩ পিএম
ভেঙে দেওয়া হলো নেপালের সংসদ, নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সুপারিশের ভিত্তিতে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট। এছাড়া আগামী বছরের মার্চে নতুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।নেপালের প্রেসিডেন্টের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখরেল বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নতুন নির্বাচনের তারিখ হলো ২০২৬ সালের ৫ মার্চ।গতকাল রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। তার নেতৃত্বে ছোট মন্ত্রিসভার একটি সরকার গঠিত হয়েছে। এটির মেয়াদ থাকবে ৬ মাস। এই সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন নির্বাচন আয়োজনের ম্যান্ডেট দেওয়া হয়।গতকাল স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে শপথ নেন সুশীলা। এরআগে নেপালের জেন-জির বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল এবং সেনাবাহিনীর প্রধান অশোক রাজ সিগদেলের মধ্যে আলোচনা হয়। এরপর সুশীলাকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সবাই একমত হয়। এরমাধ্যমে তিনি দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে গত সপ্তাহে আন্দোলনে নামে নেপালের জেন-জিরা। এরমধ্যে গত সোমবার বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী নিহত হন। এরপর ক্ষোভে ফেনে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।মঙ্গলবার তাদের আন্দোলনের তীব্রতা বাড়লে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়েন কেপি শর্মা অলি। এরপর তিনি গা ঢাকা দেন। ওইদিন বিক্ষোভকারীরা সাবেক দুজন প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালান। এরমধ্যে অর্থমন্ত্রীকে রাস্তায় পেটানোর ঘটনাও ঘটে।সুশীলা কার্কি ২০১৬ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত নেপালের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি দেশটির প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হন। বিচারক থাকাকালীন তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন এ কারণে জেন-জির কাছে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।তিনি ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। একবার ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুশীলা বলেছিলেন, ভারত নেপালকে অনেক সহায়তা করেছে।সূত্র: এএফপিভোরের আকাশ/মো.আ.
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:০৪ এএম
ভেঙে দেওয়া হলো নেপালের সংসদ, নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সুপারিশের ভিত্তিতে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট। এছাড়া আগামী বছরের মার্চে নতুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।নেপালের প্রেসিডেন্টের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখরেল বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নতুন নির্বাচনের তারিখ হলো ২০২৬ সালের ৫ মার্চ।গতকাল রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। তার নেতৃত্বে ছোট মন্ত্রিসভার একটি সরকার গঠিত হয়েছে। এটির মেয়াদ থাকবে ৬ মাস। এই সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন নির্বাচন আয়োজনের ম্যান্ডেট দেওয়া হয়।গতকাল স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে শপথ নেন সুশীলা। এরআগে নেপালের জেন-জির বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল এবং সেনাবাহিনীর প্রধান অশোক রাজ সিগদেলের মধ্যে আলোচনা হয়। এরপর সুশীলাকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সবাই একমত হয়। এরমাধ্যমে তিনি দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে গত সপ্তাহে আন্দোলনে নামে নেপালের জেন-জিরা। এরমধ্যে গত সোমবার বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী নিহত হন। এরপর ক্ষোভে ফেনে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।মঙ্গলবার তাদের আন্দোলনের তীব্রতা বাড়লে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়েন কেপি শর্মা অলি। এরপর তিনি গা ঢাকা দেন। ওইদিন বিক্ষোভকারীরা সাবেক দুজন প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালান। এরমধ্যে অর্থমন্ত্রীকে রাস্তায় পেটানোর ঘটনাও ঘটে।সুশীলা কার্কি ২০১৬ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত নেপালের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি দেশটির প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হন। বিচারক থাকাকালীন তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন এ কারণে জেন-জির কাছে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।তিনি ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। একবার ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুশীলা বলেছিলেন, ভারত নেপালকে অনেক সহায়তা করেছে।সূত্র: এএফপিভোরের আকাশ/মো.আ.
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:০৪ এএম
নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ৫১
নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ জনে। নিহতদের মধ্যে কাঠমান্ডু ছাড়াও বিভিন্ন জেলার মানুষ রয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য ও একজন ভারতীয় নারীও আছেন। নেপাল পুলিশের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র ও ডিআইজি বিনোদ ঘিমিরে এসব তথ্য জানিয়েছেন।এদিকে, বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে শত শত মানুষ আহত হয়েছেন। হাসপাতালগুলোতে ক্রমাগত আহতদের ভিড় বাড়ছে। কোথাও ৫০০, আবার কোথাও এক হাজারেরও বেশি আহতের কথা বলা হচ্ছে। ফলে সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।বিক্ষোভ কিছুটা শীতল হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সংসদ ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে সেনা পাহারা বসানো হয়েছে। সহিংসতার সময় কয়েকজন মন্ত্রীকে হেলিকপ্টারে করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।তাছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হলেও একাধিক স্থানে গুলিবর্ষণ ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি উঠছে।আবার বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় সীমান্তেও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সীমান্ত পারাপার কঠোরভাবে তদারকি করা হচ্ছে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।জানা গেছে, অস্থিরতার সুযোগে কারাগারগুলোতেও বড় ধরনের ভাঙচুর হয়েছে। পুলিশের হিসাবে, দেশজুড়ে ১৩ হাজার ৫৭২ জন বন্দি পালিয়ে গেছে। এছাড়া তদন্তাধীন অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে থাকা আরও ৫৬০ জনকে হারিয়েছে কর্তৃপক্ষ।রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশজুড়ে সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও বন্দিদের পালানো- সবকিছু মিলিয়ে নেপালের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বড় ধরনের চাপে পড়েছে। সরকার বলছে, এ সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজন সংলাপ, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও জনগণের আস্থা পুনর্গঠন।ভোরের আকাশ/তা.কা
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:০৯ পিএম
নেপালে কারাগারে সেনাদের গুলিতে দুই বন্দি নিহত, আহত ১২
নেপালের রামেছাপ জেলা কারাগারে সেনাবাহিনীর গুলিতে দুই বন্দি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১২ জন বন্দি আহত হওয়ার খবর দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।বুধবার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মুক্তির দাবিতে কারাগারে বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনারা গুলি চালায়।এর আগে মঙ্গলবার রাতে বাঁকের বৈজনাথ গ্রামীণ পৌরসভার নওবাস্তা এলাকায় একটি কিশোর সংশোধনাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে পাঁচ বন্দির মৃত্যু হয়।পালানোর চেষ্টা ও সেনাবাহিনীর অভিযান‘জেন জি আন্দোলন’ তীব্র হওয়ার পর নেপালের বিভিন্ন জেলা কারাগার থেকে পালানোর ঘটনা বেড়েছে। সেনাবাহিনী জানায়, ইতোমধ্যে পালানো বা পালানোর চেষ্টা করা বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।রাজবিরাজ জেলা কারাগার (সপ্তারী): ১৯২ জন পালানো বন্দিকে আটক করা হয়েছে।কাঞ্চনপুরের চাঁদনী সীমান্ত: ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ৭ জনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।স্থানীয়দের সহায়তা: একজন বন্দিকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।আত্মসমর্পণ: ১২ জন বন্দি স্বেচ্ছায় কারাগারে ফিরে এসেছে।ক্রমবর্ধমান এ পরিস্থিতিতে কারাগারগুলোতে কঠোর নজরদারি জোরদার করেছে নেপাল সেনাবাহিনী।ভোরের আকাশ//হ.র
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৬:০৮ এএম
নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতা: সংকট সমাধানে উদ্যোগী প্রেসিডেন্ট
নেপালে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ, সহিংসতা ও পার্লামেন্ট ভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউদেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই দ্রুত সমাধান বের করার চেষ্টা করছেন।বৃহস্পতিবার দেওয়া ওই বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট পাউদেল বলেন, “আমি পরামর্শ ও আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছি। আন্দোলনরত নাগরিকদের দাবিগুলো পূরণের জন্য যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা হবে।”এদিকে মঙ্গলবার বিক্ষোভের চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন। সংবিধান অনুযায়ী, এখন প্রেসিডেন্টকে সংসদের সবচেয়ে বড় দলের নেতাকে সরকার গঠনের দায়িত্ব দিতে হবে।সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী ইতোমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। পাশাপাশি ‘জেনারেশন জেড’-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করা হয়েছে।প্রেসিডেন্ট পাউদেল নেপালের নাগরিকদের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এ সংকট অতিক্রমে জনগণের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন।”ভোরের আকাশ//হ.র
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২০ এএম
নেপালে আটকে পড়া ফুটবল দল ও সাংবাদিকদের দেশে প্রত্যাবর্তন
নেপালে চলমান বিক্ষোভ পরিস্থিতির কারণে সেখানে আটকে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও ক্রীড়া সাংবাদিকরা অবশেষে দেশে ফিরছে।বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায় কাঠমান্ডু থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে দলটি।যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সার্বক্ষণিকভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে কাঠমান্ডু গিয়েছিল। তবে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে নেপালে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হলে ৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়নি। একই দিনে দলের দেশে ফেরার কথা থাকলেও ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় ফ্লাইট বাতিল হয় এবং খেলোয়াড়রা হোটেলে অবস্থান করতে বাধ্য হন।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগী হয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ খেলোয়াড়দের ফিরিয়ে আনতে একটে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করতে সম্মত হয়।সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের অপারেশন্স ও পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আলীমুল আমীন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমানটি পৌঁছার পর প্রেস ব্রিফিং করেন। এ সময়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।আগামী দিনগুলোতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ ও জনগণের যে কোন প্রয়োজনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী আত্মত্মনিয়োগের জন্য সদা অঙ্গীকারবদ্ধ।ভোরের আকাশ/জাআ
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৫৩ পিএম
নেপাল থেকে দেশে ফিরছেন জামালরা
নেপালে জেন-জি’র গণ-অভ্যুত্থানের পর চলছে কারফিউ। তাতে গেল দুই দিন হোটেলেই অবরুদ্ধ ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। অবশেষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), কাঠমান্ডুর দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের সম্মিলিত চেষ্টায় দ্রুত সময়ে দেশে ফিরছেন জামাল ভূঁইয়ারা।বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে নেপালের ত্রিভুবন এয়ারপোর্টে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১১টার পর বিশেষ এক ফ্লাইটে দেশে ফিরবে ফুটবলাররা। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদেরও একই ফ্লাইটে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার প্রতিবাদে গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে নেপালে বিক্ষোভ শুরু হয়। তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া এই আন্দোলন দ্রুত সহিংস রূপ নিলে পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। তবে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ সত্ত্বেও নেপালের পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। বিভিন্ন এলাকায় লাগাতার বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগ নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ালে সেদিন দুপুর থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত ত্রিভুবন বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ছিল।এদিকে দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেপালে গিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। ৬ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হলেও কাঠমান্ডু আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠলে, দ্বিতীয় ম্যাচের অনুশীলন বাতিল হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারফিউ ঘোষণার পাশাপাশি বাতিল করা হয় পরদিনের দ্বিতীয় ম্যাচও।এমনকি এই আন্দোলনে জামালদের অবস্থান করা টিম হোটেলের পাশেও জ্বালাও-পোড়াও চলছিল। ফলে গত দুই দিন হোটেলে বন্দী অবস্থায় ছিলেন ফুটবলাররা। এদিকে এই কদিন অনিশ্চয়তার মাঝেও নিজেদের ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন ফুটবলাররা। বুধবারও টিম হোটেলে সবাই ঘাম ঝরিয়েছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:১২ পিএম
শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের পর এবার নেপাল, দুশ্চিন্তায় ভারত
নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের জেরে সহিংস বিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পতন ঘটেছে। ভারতের এই কৌশলগত প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে দিল্লি, যা দেশটিকে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক সংকটকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জনেরও বেশি নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা পদত্যাগ করেন। প্রতিবাদকারীরা পার্লামেন্টে হামলা চালিয়ে কয়েকজন রাজনীতিবিদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে সেনাবাহিনীকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নামানো হয় এবং দেশব্যাপী কারফিউ জারি করা হয়।কাঠমান্ডুর এই দৃশ্য ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার অভ্যুত্থান ও গত বছর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে অনেকের কাছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হিংস আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটা তৃতীয় দেশ হচ্ছে ভারতের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী নেপাল।বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ভারতের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হলেও নেপালের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক বেশ ভালো। কারণ দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক, কৌশলগত ও অর্থনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে। নেপালের সঙ্গে ভারতের ১ হাজার ৭৫০ কিলোমিটারেরও বেশি খোলা সীমান্ত রয়েছে, যা উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত।সীমান্তের ওপারের ঘটনাপ্রবাহে ভারত গভীর নজর রাখছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক্সে লিখেছেন, নেপালের সহিংসতা হৃদয়বিদারক। এত তরুণ প্রাণহানিতে আমি মর্মাহত। তিনি আরও বলেন, নেপালের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও সমৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। গত মঙ্গলবার তিনি মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকও করেছেন।বিশ্লেষকরা বলছেন, যেভাবে ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভারত অপ্রস্তুত হয়েছিল, তেমনি নেপালের এই পরিস্থিতিও তাদের বিস্মিত করেছে। বিশেষ করে কে পি শর্মার দিল্লি সফরের ঠিক এক সপ্তাহ আগে তার পদত্যাগ ঘটনাটিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করেছে।নেপালের অস্থিরতা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ। কারণ দেশটির কৌশলগত অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড নেপালের সীমানার ওপারেই অবস্থান করছে। ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে প্রবেশের পথ সরাসরি নেপালের ভেতর দিয়ে গেছে।অস্থিরতা প্রভাব ফেলছে ভারতের অভ্যন্তরেও। কারণ ভারতে প্রায় ৩৫ লাখ নেপালি বসবাস বা কাজ করেন। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে রয়েছে গভীর পারিবারিক সম্পর্ক ও অবাধ যাতায়াত। ভিসা বা পাসপোর্ট ছাড়াই নেপালি নাগরিকরা ভারতে যেতে ও কাজ করতে পারেন। পাশাপাশি, নেপালের প্রায় ৩২ হাজার গুর্খা সেনা বিশেষ চুক্তির আওতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ১৯৫০ সালের চুক্তির অধীনে নেপালিরা ভিসা বা পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতে যেতে বা কাজ করতে পারেন।নেপাল হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের হাজারো হিন্দু ভক্ত প্রতিবছর মুকতিনাথসহ নেপালের বিভিন্ন মন্দিরে তীর্থযাত্রায় যান। ভারতের সঙ্গে নেপালের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৮.৫ বিলিয়ন ডলার। মূলত কাঠমান্ডু তেল ও খাদ্যপণ্যের জন্য ব্যাপকভাবে ভারতের ওপর নির্ভরশীল।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নতুন সরকার বা নেতৃত্বে কে আসবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ভারতকে খুব সাবধানে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশের মতো আরেকটি পরিস্থিতি তৈরি না হয়।নেপাল ও ভারতের মধ্যে অতীতে সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। ২০১৯ সালে ভারতের মানচিত্রে নেপাল দাবি করা এলাকা যুক্ত হওয়ায় বিরোধ তীব্র হয়। পরে নেপাল নিজস্ব মানচিত্র প্রকাশ করে। ভারত ও চীন সম্প্রতি বিতর্কিত সীমান্তের এক পয়েন্টে বাণিজ্য পুনরায় শুরু করেছে, যা নিয়েও নেপালের আপত্তি রয়েছে।জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগীতা থাপলিয়াল বলেন, নেপালে তরুণদের জন্য সুযোগ কম। ভারত যদি বেশি ফেলোশিপ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়, তাহলে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) কার্যত অচল হয়ে পড়ায় প্রতিবেশী অঞ্চলে একের পর এক রাজনৈতিক অস্থিরতা সামলানো ভারতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।ভারতীয় বিশেষজ্ঞ মেহেতা বলেন, ভারত বড় শক্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু সেটি অর্জন করতে হলে আগে নিরাপদ ও স্থিতিশীল প্রতিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.