প্রেমের টানে ভারতে এসে যে পরিণতি হলো মার্কিন নারীর
প্রেমের টানে ভারতে এসে প্রাণটাই হারালেন মার্কিন নারী। সম্প্রতি পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় বিয়ে করতে গিয়ে তিনি খুন হন বলে অভিযোগ উঠেছে। ৭১ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নারীকে হত্যার পর দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। ঘটনাটি গত জুলাইয়ে ঘটলেও সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।লুধিয়ানা পুলিশ জানায়, নিহতের নাম রূপিন্দর কৌর পাণ্ডের। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল শহর থেকে ভারতে যান ৭৫ বছর বয়সী যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ভারতীয় নাগরিক চারঞ্জিত সিং গ্রেওয়ালের আমন্ত্রণে। গ্রেওয়াল ছিলেন তার হবু বর। তবে তিনিই হত্যার মূলহোতা বলে অভিযোগ পুলিশের।সম্প্রতি পুলিশ সোনু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে জানিয়েছেন, নিজের বাড়িতে রূপিন্দরকে খুন করার পর দেহ পুড়িয়ে ফেলেন।অভিযোগ অনুযায়ী, গ্রেওয়ালের নির্দেশেই এই কাজ করেন তিনি এবং বিনিময়ে তাকে ৫০ লাখ রুপি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, রূপিন্দর মৃত্যুর আগে বিপুল অর্থ দিয়েছিলেন গ্রেওয়ালকে। আর্থিক উদ্দেশ্যেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।চারঞ্জিত সিং গ্রেওয়ালকে মামলার আসামি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন লুধিয়ানা পুলিশ রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল সতিন্দর সিং। গ্রেওয়াল বর্তমানে পলাতক। পুলিশ এখন অভিযুক্তের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেহাবশেষ ও অন্যান্য প্রমাণ খুঁজছে।সূত্র: এনডিটিভিকেএএ/ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:২২ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারীসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ (দশ) কেজি গাঁজা ও ১টি অটোরিকশাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানাধীন ঘাটিয়ারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পৃথক অভিযানে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কর্তৃক ১০ (দশ) কেজি গাঁজা ও ১টি অটোরিকশাসহ ৩ জন মাদক কারবারি এবং ৪৫০ পিস ইয়াবাসহ আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা থেকে ১জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানাধীন ঘাটিয়ারা এলাকা হতে ৩ জন কারবারিকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ১০কেজি গাঁজা ও মাদক বহনের কাজে ব্যবহৃত ১টি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়। উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে বিধি মোতাবেক উদ্ধারকৃত আলামত জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামিদের দুইজন জেলার বিজয়নগর থানার বাসিন্দা- নারী কারবারি মিনারা বেগম (৪০) স্বামী- রয়েল চৌধুরী, গ্রাম- পশ্চিম কেশবপুর এবং রিয়াদ (২০), পিতা- আঙুর আলী, গ্রাম- কাশিনগর। অপরজন ঝালকাঠি নলছিটির মোহাম্মদ রানা (২৩)। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।অপরদিকে আগেরদিন সন্ধ্যায় জেলার আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা হতে কিশোরগঞ্জ সদরের শহীদ মিয়া (৩২) কে ৪৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে মামলা রুজু করে পুলিশ।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৪:১২ পিএম
ঢামেকে ৬ সন্তানের জন্ম দিলেন এক নারী
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একসঙ্গে তিন ছেলে ও তিন মেয়ের জন্ম দিয়েছেন প্রিয়া নামে এক নারী। ওজন কম হওয়ায় তিনজনকে মেডিকেলের এনআইসিইউ এবং বাকি তিনজনকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রাখা হয়েছে।রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ঢামেকের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে জন্ম হয় এই ছয় নবজাতকের।শিশুগুলোর ওজন তুলনামূলক কম হওয়ায় তাদের মধ্যে তিনজনকে ঢামেক হাসপাতালের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ)-তে এবং বাকি তিনজনকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রাখা হয়েছে।বিস্তারিত আসছে...ভোরের আকাশ/এসএইচ
বেড়াতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন এক নারী। পরিবারকে বলেছিলেন, তিনি ইউরোপ ভ্রমণে যাচ্ছেন। কিন্তু সেই ভ্রমণের আড়ালে ছিল এক বিশেষ পরিকল্পনা। প্রকৃতপক্ষে আত্মহত্যার মাধ্যমে নিজের জীবন শেষ করতে যাচ্ছিলেন তিনি।আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি খরচ করেন (২১,৪০০ ডলার) বা ২৬ লাখ টাকারও বেশি।গত ৮ জুলাই আয়ারল্যান্ডের ক্যাভান থেকে লিথুয়ানিয়া যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন মওরিন স্লাউ (৫৮)। তারপর গোপনে পাড়ি জমান সুইজারল্যান্ডে— যেখানে স্বেচ্ছামৃত্যুর মাধ্যমে নিজের জীবন সমাপ্ত করার পরিকল্পনা করেন তিনি।তিনি যখন বাড়ি থেকে বের হন তখন পরিবারের কেউ জানত না তার আসল উদ্দেশ্য। কেবল দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। পরদিন মওরিনের মেয়ে মেগান রয়্যাল এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারেন মায়ের পরিকল্পনার কথা। সেই বন্ধুই তাকে জানান, “তোমার মা সুইজারল্যান্ডে। তিনি সেখানে আত্মহত্যা করতে গেছেন।”মেগান সঙ্গে সঙ্গে তার বাবাকে খবর দেন। পরিবার মরিয়া হয়ে মওরিনের খোঁজ করতে থাকে। কিন্তু পরদিনই আসে হৃদয়বিদারক সংবাদ। হোয়াটসঅ্যাপে একটি বার্তায় জানানো হয়— মওরিন আর বেঁচে নেই। বার্তাটি পাঠিয়েছিল পেগাসোস নামের একটি সংগঠন- যাদের কাজ মূলত মানুষকে আত্মহত্যায় সহায়তা করা। তারা আরও জানায়, মওরিনের অস্থি ডাকযোগে ৬-৮ সপ্তাহ পর পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।মেগান বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি একা ছিলাম, কোলে ছোট্ট সন্তান। বার্তাটি পড়েই আমি ভেঙে পড়ি। মনে হলো আমার দুনিয়া ভেঙে গেল।’পরবর্তীতে জানা যায়, মওরিন পেগাসোসের মাধ্যমে তার স্বেচ্ছামৃত্যু আয়োজনের আবেদন করেছিলেন। এই প্রক্রিয়ার জন্য প্রায় ২৬ লাখ টাকা (২১,৪০০ ডলার) খরচ করেছিলেন তিনি।সুইজারল্যান্ডে ১৯৪২ সাল থেকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুতে সহায়তা বৈধ হলেও ইউথানেশিয়া নিষিদ্ধ। এখানে রোগী নিজেই ওষুধ গ্রহণ করে মৃত্যুর পথ বেছে নেন।তবে মওরিনের পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, সংগঠনটি পরিবারকে কিছু না জানিয়েই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। মওরিনের ভাই, যুক্তরাজ্যের আইনজীবী ফিলিপ স্লাউ ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছেন।মওরিনের মেয়ে বলেন, ‘আমার মা ছিলেন প্রাণবন্ত ও বুদ্ধিমতী মানুষ। তবে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন। দুই বোনকে হারানোর পর ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়েন তিনি। আগেও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।’তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, তিনি কষ্টে ছিলেন। কিন্তু সেটা এতটা গভীর ছিল না যে জীবন শেষ করে দিতে হবে। তিনি মরণব্যাধিতে ভুগছিলেন না। আরও অনেক জীবন তার বাকি ছিল।’আগস্টের শুরুতে মওরিনের অস্থি এসে পৌঁছায় আয়ারল্যান্ডে। মাসের শেষে তাকে দুই বোনের পাশে সমাহিত করা হয়। মেগান বলেন, ‘আমরা তাকে বোনদের সঙ্গে কবর দিয়েছি। কিন্তু শোক থেকে বের হওয়া এখনো আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে আছে।’ভোরের আকাশ/মো.আ.
বেড়াতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন এক নারী। পরিবারকে বলেছিলেন, তিনি ইউরোপ ভ্রমণে যাচ্ছেন। কিন্তু সেই ভ্রমণের আড়ালে ছিল এক বিশেষ পরিকল্পনা। প্রকৃতপক্ষে আত্মহত্যার মাধ্যমে নিজের জীবন শেষ করতে যাচ্ছিলেন তিনি।আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি খরচ করেন (২১,৪০০ ডলার) বা ২৬ লাখ টাকারও বেশি।গত ৮ জুলাই আয়ারল্যান্ডের ক্যাভান থেকে লিথুয়ানিয়া যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন মওরিন স্লাউ (৫৮)। তারপর গোপনে পাড়ি জমান সুইজারল্যান্ডে— যেখানে স্বেচ্ছামৃত্যুর মাধ্যমে নিজের জীবন সমাপ্ত করার পরিকল্পনা করেন তিনি।তিনি যখন বাড়ি থেকে বের হন তখন পরিবারের কেউ জানত না তার আসল উদ্দেশ্য। কেবল দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। পরদিন মওরিনের মেয়ে মেগান রয়্যাল এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারেন মায়ের পরিকল্পনার কথা। সেই বন্ধুই তাকে জানান, “তোমার মা সুইজারল্যান্ডে। তিনি সেখানে আত্মহত্যা করতে গেছেন।”মেগান সঙ্গে সঙ্গে তার বাবাকে খবর দেন। পরিবার মরিয়া হয়ে মওরিনের খোঁজ করতে থাকে। কিন্তু পরদিনই আসে হৃদয়বিদারক সংবাদ। হোয়াটসঅ্যাপে একটি বার্তায় জানানো হয়— মওরিন আর বেঁচে নেই। বার্তাটি পাঠিয়েছিল পেগাসোস নামের একটি সংগঠন- যাদের কাজ মূলত মানুষকে আত্মহত্যায় সহায়তা করা। তারা আরও জানায়, মওরিনের অস্থি ডাকযোগে ৬-৮ সপ্তাহ পর পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।মেগান বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি একা ছিলাম, কোলে ছোট্ট সন্তান। বার্তাটি পড়েই আমি ভেঙে পড়ি। মনে হলো আমার দুনিয়া ভেঙে গেল।’পরবর্তীতে জানা যায়, মওরিন পেগাসোসের মাধ্যমে তার স্বেচ্ছামৃত্যু আয়োজনের আবেদন করেছিলেন। এই প্রক্রিয়ার জন্য প্রায় ২৬ লাখ টাকা (২১,৪০০ ডলার) খরচ করেছিলেন তিনি।সুইজারল্যান্ডে ১৯৪২ সাল থেকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুতে সহায়তা বৈধ হলেও ইউথানেশিয়া নিষিদ্ধ। এখানে রোগী নিজেই ওষুধ গ্রহণ করে মৃত্যুর পথ বেছে নেন।তবে মওরিনের পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, সংগঠনটি পরিবারকে কিছু না জানিয়েই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। মওরিনের ভাই, যুক্তরাজ্যের আইনজীবী ফিলিপ স্লাউ ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছেন।মওরিনের মেয়ে বলেন, ‘আমার মা ছিলেন প্রাণবন্ত ও বুদ্ধিমতী মানুষ। তবে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন। দুই বোনকে হারানোর পর ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়েন তিনি। আগেও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।’তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, তিনি কষ্টে ছিলেন। কিন্তু সেটা এতটা গভীর ছিল না যে জীবন শেষ করে দিতে হবে। তিনি মরণব্যাধিতে ভুগছিলেন না। আরও অনেক জীবন তার বাকি ছিল।’আগস্টের শুরুতে মওরিনের অস্থি এসে পৌঁছায় আয়ারল্যান্ডে। মাসের শেষে তাকে দুই বোনের পাশে সমাহিত করা হয়। মেগান বলেন, ‘আমরা তাকে বোনদের সঙ্গে কবর দিয়েছি। কিন্তু শোক থেকে বের হওয়া এখনো আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে আছে।’ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:২৬ এএম
রাজশাহী হাসপাতালে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশিদা পারভীন হ্যাপি (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা। গতোকাল বুধবার হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাসপাতাল থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে ডান পেটে ব্যথার সঙ্গে শরীরে ব্যথা নিয়ে রামেক হাসপাতালের ৩০ নং ওয়ার্ডে ভর্তি হন হ্যাপি। তিনি ৩ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল বিকেল ৪টায় তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।রামেক হাসপাতালের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বর্তমানে হাসপাতালে এক শিশুসহ ২৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী। তারা সবাই হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে- ১১ জন রাজশাহী, ৬ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ৩ জন নাটোর, একজন নওগাঁ, একজন চুয়াডাঙ্গা, একজন কুষ্টিয়া ও একজন মেহেরপুর জেলার বাসিন্দা। রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫২৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৯৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৫৯ পিএম
শ্রীপুর বিধবাকে ধর্ষণ ও ভিডিওর অভিযোগে মামলা
গাজীপুরের শ্রীপুরে ওয়াই ফাই লাইন ঠিক করতে গিয়ে দুই সন্তানের জননী এক বিধবা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নিজ মাওনা গ্রামে। ধর্ষকরা ওই সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ঘটনা প্রকাশ করলে হত্যাসহ ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় ধর্ষকরা। ধর্ষকদের হুমকির মুখে ভিকটিম মামলা করতে সাহস পাননি। মানুষিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বিষয়টি স্বজনদের জানান। তাদের পরামর্শে ঘটনার সাতদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে ভিকটিম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। জানা যায়, চারবছর পূর্বে ভিকটিমের স্বামী মারা যান। দু’সন্তানকে নিয়ে একা বাড়িতে থাকেন ভিকটিম। পাশে দেবরের বাড়ি। গত ২৮ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওয়াইফাই সংযোগ ঠিক করতে স্থানীয় দুই ওয়াইফাই ব্যবসায়ী ভিকটিমের বাসায় যায়। সংযোগ ঠিক করার এক পর্যায়ে অভিযুক্ত দু’ব্যবসায়ী ফাঁকা বাড়িতে ভিকটিমকে একা পেয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় তারা ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনা কাউকে জানালে বা প্রকাশ করলে তাকে খুন করা হবে। ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। হুমকির মুখে অসহায় নারী ঘটনার পর থেকে অসহ্য যন্ত্রণায় ভোগতে ছিলেন। মানুষিক যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছিলেন না। এক পর্যায়ে বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার ও স্বজনদের জানান। তাদের পরামর্শে সুবিচার পেতে ভিকটিম বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীপুর থানায় দু’ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত)ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শামীম আকতার জানান, ভিকটিমকে আদালতের মাধ্যমে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। গ্রেফতার ও তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের পরিচয় গোপন রাখা হলো।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:২৬ পিএম
কুড়িয়ে পাওয়া বালিশে রক্তে লেখা ‘১১০৬২৫’, অতঃপর....
চীনের সিচুয়ান প্রদেশ। গ্রীষ্মের ছুটিতে ডেলিভারি বয়ের কাজ করা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঝাং প্রতিদিনের মতোই পার্সেল পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন তার গন্তব্যে। হঠাৎই রাস্তার ধারে দেখতে পেলেন একটি বালিশ। অন্য পথচারীরা সেটিকে এড়িয়ে গেলেও কৌতূহলী ঝাং হাতে তুলে দেখেন বালিশটি।হাতে নিয়েই মুহূর্তেই চমকে ওঠেন তিনি—বালিশের উপর রক্ত দিয়ে লেখা একটি সংখ্যা: ‘১১০৬২৫’।প্রথমে ভয় পেলেও দ্রুত নিজেকে সামলে পুলিশে খবর দেন ঝাং। আর সেই ফোনেই বাঁচে এক নারীর জীবন।পুলিশ জানায়, সিচুয়ান প্রদেশের একটি বহুতল ভবনের ২৫ তলায় একাই থাকতেন ওই মহিলা। ঘর পরিষ্কারের সময় দুর্ঘটনাবশত দরজা বন্ধ হয়ে এক কামরায় আটকে পড়েন তিনি। মোবাইল ফোন ছিল অন্য ঘরে, ফলে সাহায্যের জন্য কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তিনি। প্রায় ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকে ছিলেন তিনি।চরম অসহায় অবস্থায় জানালা দিয়ে একটি লাল পোশাক ঝুলিয়ে পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলেন ওই নারী, কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। শেষমেশ আঙুল কেটে রক্ত দিয়ে বালিশে লিখে ফেলেন ‘১১০৬২৫’। এর মধ্যে ১১০ হলো চীনের জরুরি হেল্পলাইন নাম্বার। আর ৬২৫ তার অ্যাপার্টমেন্ট নম্বর।কোডটি লিখে বালিশটি জানালা দিয়ে নিচে ছুঁড়ে ফেলেন তিনি। সেই সংকেতই পৌঁছে যায় ঝাংয়ের হাতে।ঝাংয়ের ফোন পেয়ে পুলিশ দ্রুত ওই অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে দরজা ভেঙে মহিলাকে উদ্ধার করে। উদ্ধার করার সময় তিনি অচেতন অবস্থায় ছিলেন। পরে জ্ঞান ফিরলে কেঁদে ফেলেন স্বস্তি ও কৃতজ্ঞতায়। উদ্ধার হওয়ার পর ঝাংকে ওই নারী পুরস্কার দিতে চাইলেও তিনি তা বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দেন। পুলিশের পক্ষ থেকেও ধন্যবাদ জানানো হয় ঝাংকে। ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৮ আগস্ট ২০২৫ ১১:৪২ এএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদেশি মদসহ নারী আটক, গাঁজা উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় বিদেশি মদসহ এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল কাদের।এর আগে রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার তারাপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে এসব মদ উদ্ধার করা হয়।পুলিশ জানায়, তারাপুর এলাকার লুৎফর রহমানের মালিকানাধীন দোচালা টিনের ঘরের ভাড়াটিয়া আলমগীরের রুমের খাটের নিচ থেকে তিন প্লাস্টিক বস্তায় মোট ৪২ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া মদের মধ্যে রয়েছে—Signature Premier Whisky – ২০ বোতল, Royal Stag – ১১ বোতল, Blenders Pride Exclusive Premium Whisky – ১১ বোতলঅভিযানকালে আলমগীরের স্ত্রী রোকসানা আক্তারকে (২৫) আটক করে পুলিশ। তিনি কসবা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তারাপুর এলাকার বাসিন্দা।অন্যদিকে সোমবার ভোরে উপজেলার কাইমপুর এলাকায় এস আই ফারুক হোসেন অভিযান চালালে মো. জলিল ও মো. আক্কাস নামে দুই মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৪০ কেজি গাঁজা ফেলে পালিয়ে যায়।এ বিষয়ে ওসি মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, “আটক আসামির বিরুদ্ধে মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলমান।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৫ আগস্ট ২০২৫ ০১:১৬ পিএম
সিরাজগঞ্জে ৪০ নারীকে প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ
সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের ধানবান্ধি আদর্শ মানবকল্যাণ সমাজের প্রতিষ্ঠাতা ও সমাজসেবক হাজী আব্দুস সাত্তারের নিজস্ব অর্থায়নে দুঃস্থ অসহায় ৪০ জন নারীকে স্বাবলম্বী করতে তাদেরকে তিনমাসব্যাপী সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র ও প্রত্যেকের একটি করে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে।শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের ধানবান্ধি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৪০ জন নারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।সনদপত্র ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধানবান্ধি আদর্শ মানবকল্যাণ সমাজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সমাজসেবক হাজী আব্দুস সাত্তার।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ খান হাসান।এসময় আরও বক্তব্য রাখেন হাজী কোরপ আলী সরকারী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মো. মোকতেল হোসেন, দৈনিক সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো. আমিনুল ইসলাম খান রানা, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আমির হোসেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার মুরুব্বি আজাহার আলী মন্ডল, ধানবান্ধি ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহজাহান আলী, সাবেক সাধারণ হিল্টন খন্দকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হেলাল আহমেদ, ব্যবসায়ী ও নাট্যকর্মী এসএম মুছা এবং সেলাই মেশিন প্রশিক্ষক মুন্নি মাহমুদ মুন।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ধানবান্ধি আদর্শ মানবকল্যাণ সমাজের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা।উল্লেখ্য, ধানবান্ধি আদর্শ মানবকল্যাণ সমাজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সমাজ সেবক হাজী আব্দুস সাত্তার তার নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার অসহায় দরিদ্র নারীদের স্বাবলম্বী করতে দীর্ঘদিন যাবৎ সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সহ ধর্মীয় ও মানবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন।ভোরের আকাশ/জাআ
২৩ আগস্ট ২০২৫ ০৪:৪২ পিএম
সিরাজগঞ্জে হেরোইনসহ নারী মাদক কারবারি আটক
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় মাদকবিরোধী অভিযানে ১০৫ গ্রাম হেরোইনসহ মোছা. রেকশোনা বেগম (৩২) নামের এক নারী মাদক কারবারিকেআটক করেছে র্যাব-১২'র সদস্যরা।শনিবার (২৩ আগস্ট) রাত ২টা ১০ মিনিটের সময় সলংগা থানার রাজশাহী হতে ঢাকাগামী মহাসড়কের উত্তর পার্শ্বে নুর জাহান হাইওয়ে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর সামনে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২ সদর কোম্পানি কমান্ডার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।আটক নারী মাদক কারবারি মোছা. রেকশোনা বেগম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার বালুর চর গ্রামের মো. উলাল উদ্দিনের মেয়ে।সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২ থেকে প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শনিবার (২৩ আগস্ট) রাত ২টা ১০ মিনিটের সময় র্যাব-১২’র সদর কোম্পানির একটি চৌকস অভিযানিক দল সিরাজগঞ্জ জেলার সলংগা থানার রাজশাহী হতে ঢাকাগামী মহাসড়কের উত্তর পার্শ্বে নুর জাহান হাইওয়ে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর সামনে একটি মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১০৫ গ্রাম হেরোইনসহ মোছা. রেকশোনা বেগম নামে এক নারী মাদক কারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয়। এছাড়া তার সাথে থাকা হেরোইন ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৭শ টাকা জব্দ করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর আড়ালে মাদকদ্রব্য হেরোইন বাসে বহন করে নিজ হেফাজতে রেখে ময়মনসিংহ জেলা ও তার আশপাশ এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।আটক নারীর বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/মো.আ.