কালামপুর-মির্জাপুর আঞ্চলিক সড়কের কাওয়ালীপাড়া থেকে বালিয়া পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এই রাস্তা দিয়ে উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার দূরপাল্লার গাড়ি, ট্রাক ও বাস চলাচল করে। রাস্তাটি খারাপ থাকার কারণে শুধু স্থানীয় বাসিন্দাদেরই নয়, দূরপাল্লার যাত্রীদেরও অনেক অসুবিধা হচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। জরুরি রোগী ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে হাসপাতালে যেতেও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।এ বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ধামরাই উপজেলা শাখার সভাপতি এম.নাহিদ মিয়া বলেন, আমাদের গবেষণায় তথ্যসুত্রে উঠে এসেছে ধামরাইয়ে বর্তমানে মহাসড়কের তুলনায় আঞ্চলিক মহাসড়ক গুলোতে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে এর অন্যতম কারন সড়কে অব্যবস্থাপনা, জড়াজির্ণ সড়ক। ধামরাইয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াত ব্যবস্থার মধ্যে কালামপুর, বালিয়া, মির্জাপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক। এই সড়কে দেশের উত্তরাঞ্চলের অসংখ্য পরিবহন চলাচল করে রাস্তা সংস্কার না হওয়ার ফলে এতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে যানবাহনসহ যাত্রী সাধারণ। আমাদের দাবি থাকবে অতি শীঘ্রই টিকসই সংস্কার করে সড়কের অব্যস্থাপনা দূর করবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।বাস চালক লুৎফর রহমান বলেন, অনেক বড় বড় গর্ত হওয়ার কারণে চাকা ফাইসা যায় যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।কলেজ ছাত্র রেজওয়ান বলেন, আমরা যখন কলেজে যাই খুব ভয় লাগে কখন গাড়ি পলটি দেয়।এলাকাবাসী দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৯ আগস্ট ২০২৫ ০১:১০ পিএম
ধামরাইয়ে ড্রেজারে ভাঙছে কৃষি জমি
ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের মধ্যপাড়া খালে অবৈধভাবে ড্রেজার চালানোর কারণে আশপাশের কৃষি জমি ও বসতবাড়ি ভেঙে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এভাবে মাটি বালি উত্তোলনের ফলে তাদের বসতভিটা ও আবাদি জমি হুমকির মুখে পড়েছে।ছবি : ভোরের আকাশগ্রামবাসীরা বলেন, ড্রেজার বন্ধ না হলে আমাদের ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি খালে মিশে যাবে। অথচ প্রশাসনের কোনো কার্যকর উদ্যোগ আমরা দেখছি না। আসাদ এতটাই প্রভাবশালী যে গ্রামবাসীরা অভিযোগ দিয়েও ড্রেজার বন্ধ করতে পারছে না।অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড্রেজারটি পরিচালনা করছেন আসাদ নামে এক ব্যক্তি। ড্রেজারের মূল মালিক ময়না।মুঠোফোনে জানতে চাইলে আসাদ দাবি করেন, তিনি ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই কাজ করছেন। একই সঙ্গে তিনি এই প্রতিবেদককে নিউজ না করে তার অফিসে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান।ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমোদ অনীক বলেন, কোন ব্যক্তিকে ডেজার চালানোর কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা দিলে লিখিত ভাবে দিব। সেটা ব্যতীত যে যাই বলুক সেটা মিথ্যা। আমরা গত ১০ মাসে অর্ধশতাধিক মোবাইল কোর্ট করেছি। এখানেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।স্থানীয়রা দ্রুত অবৈধ ড্রেজার বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ