সিরাজগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে আবু কাছির হাসান হীরা (৩০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এই কারাদন্ড প্রদান করেন।দন্ডপ্রাপ্ত আবু কাছির হাসান হীরা সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার মোজাফ্ফরপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার ভূইয়ার ছেলে।সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পিপি মাসুদুর রহমান (মাসুদ) এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার অপর আসামী নুরনবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। তিনি রায়গঞ্জ উপজেলার চক সাগর গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে।মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, কিশোরী সলঙ্গা থানার একটি স্কুলে দশম শ্রেণীর ছাত্রী। ২০১৬ সালে কিশোরীর সাথে পাশ্ববর্তী রায়গঞ্জ উপজেলার আবু কাছির হাসান হীরার মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী আসামী নুরনবীর সহায়তায় আবু কাছির হাসান হীরা কিশোরীকে বগুড়া জেলার মোমিন পার্কে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পার্কের একটি কক্ষে কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে হীরা। এভাবে বিভিন্ন সময়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে হীরা। এক পর্যায়ে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কিশোরী বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। বিয়ে করতে হীরা অস্বীকার করে। পরে ২০১৯ সালের ১৬ জুন কিশোরী বাদী হয়ে আবু কাছির হাসান হীরা ও নুরনবীকে আসামী করে সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আবু কাছির হাসান হীরাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে আদালত। অপর আসামী নুরনবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশু প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত ভরণ পোষনের দায়ভার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী ও আসামীর বিদ্যমান সম্পদ থেকে বহন করতে হবে বলে রায়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
২১ আগস্ট ২০২৫ ০৫:৪৩ পিএম
কুড়িগ্রামে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিস্কুট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে পাঁচ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ছক্কু মিয়া (৫০)। তিনি হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর কলাতিপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে বাড়ির উঠানে খেলা করছিল শিশুটি। এ সময় প্রতিবেশি ছক্কু মিয়া তাকে বিস্কুট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে নিজ ঘরে নিয়ে যায়। এ সময় শিশুটির চিৎকাররে স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর- ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে রাত আটটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ছক্কু মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাতেই শিশুটির মা বাদী হয়ে উলিপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভোরের আকাশ/জাআ
১০ আগস্ট ২০২৫ ১১:১৮ পিএম
পলাশবাড়ীতে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় আটক ১
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শাকিল (৩২)কে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গাইবান্ধা সেনা ক্যাম্পের একটি দল উপজেলার ভবানিপুরে এক বাড়িতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে। অভিযুক্ত ধর্ষক শাকিল একই গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার ছেলে।সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকাল ৩ টার দিকে অভিযুক্ত ধর্ষক একই গ্রামের ৬ বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে স্বজনরা এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে দিবাগত রাতে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিকে ও সার্বিক সহযোগিতায় সেনাবাহিনী পরিচালিত যৌথ অভিযানের মাধ্যমে অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করা হয়। অভিযুক্ত ধর্ষক শাকিলকে পলাশবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।গাইবান্ধা সেনা ক্যাম্প কমান্ডার জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। সেনাবাহিনীকে অপরাধের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহবান জানান তিনি।ভোরের আকাশ/তা.কা
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে রাজ্জাক শেখ (৫১) নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ হামিদ এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।দণ্ডিত রাজ্জাক শেখ মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার মৃত অন্তেষ শেখের ছেলে।আদালত ও মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি বিকেলে রাজ্জাক শেখ সরিষার ফুল দেখানোর কথা বলে প্রতিবেশী এক শিশুকে ধানক্ষেতের পাশে নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর ওই শিশু ফুলসহ বাড়িতে ফিরে মাকে বিষয়টি জানায়।পরদিন ১৬ জানুয়ারি শিশুটির বাবা শিবালয় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্জাক শেখের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০২০)-এর ৯(১) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে। সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
২৩ জুলাই ২০২৫ ০৩:৫৩ পিএম
বনানীতে পথশিশু ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার
রাজধানীতে ৯ বছর বয়সী পথশিশু ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মো. আল আমিনকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাত ৮টার দিকে মহাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।বনানী থানার বরাত দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, সোমবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে বনানী থানার মহাখালী কমিউনিটি সেন্টারের দক্ষিণ পাশে একটি পরিত্যক্ত কক্ষে এক পথশিশু (বয়স ৯ বছর) ধর্ষণের শিকার হয়।ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পরপরই বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিকটিমকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) বিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বনানী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর বনানী থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে। অভিযানের একপর্যায়ে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্ত আল আমিনকে মহাখালী টিভি গেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এই উপপুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তার আল আমিন মহাখালী বাস টার্মিনালে ভাসমান অবস্থায় থেকে বিভিন্ন পাবলিক পরিবহনের হেলপার হিসেবে কাজ করছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়।তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ঘটনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
১৬ জুলাই ২০২৫ ১০:২৭ এএম
মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
নিজ কন্যাশিশুকে ধর্ষণের দায়ে এক বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৩ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ হামিদ এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু যশোর সদর উপজেলার নওদাগ্রাম ইউনিয়নের ডাকাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আব্দুর রহমান হাওলাদারের ছেলে।রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, “পিতার পরিচয়ে যে নরপিশাচ আত্মগোপন করেছিল, তার অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমাজে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন রয়েছে।”আদালত সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী কন্যাশিশুটি বাবা-মায়ের সঙ্গে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ভাড়া বাসায় থাকত। ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে বাবা আনোয়ার হোসেন তার নয় বছর বয়সী মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন।পরদিন শিশুটি মাকে ঘটনাটি জানালে, তার মা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। আদালতে অভিযোগ পড়ে শোনানো হলে আনোয়ার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায়বিচার চান।মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে। সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেন। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়।রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হুমায়ুন কবির বলেন, “শিশু নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে এই রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এতে সমাজে সচেতনতা ও বিচারিক সাহস দুই-ই বাড়বে।”আইনজীবী ও শিশু অধিকারকর্মীরা বলছেন, পারিবারিক পরিবেশে সংঘটিত এমন অপরাধ শিশুর জীবনে দীর্ঘমেয়াদি মানসিক প্রভাব ফেলে। এই ধরনের মামলায় দ্রুত বিচার ও পুনর্বাসনের বিষয়টি সমান গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর সুরক্ষায় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে একযোগে দায়িত্ব নিতে হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৩ জুলাই ২০২৫ ০৩:৪৩ পিএম
মুরাদনগরে ‘ধর্ষণ’, ভিডিও: নেপথ্যে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব
কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ‘ধর্ষণ’ ও নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে রয়েছে ভিডিও ছড়ানোর মূল হোতা শাহ পরান ও তার ভাই ফজর আলীর বিরোধ। ফজর আলীকে বিপদে ফেলে প্রতিশোধ নিতেই পুরো ঘটনা সাজিয়েছিলেন তারই ভাই শাহ পরান। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ব্রিফিংয়ে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন দাবি করেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ছোট ভাই মব সৃষ্টি করে ভুক্তভোগী ও ধর্ষককে নির্যাতন, শ্লীলতাহানী করেন ও অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাহেরচর গ্রামের শহিদের বড় ছেলে ফজর আলী ও ছোট ছেলে শাহ পরান দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ঘটনার দুই মাস আগে তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই প্রেক্ষিতে গ্রাম্য শালিসে জনসম্মুখে বড় ভাই ফজর আলী তার ছোট ভাই শাহ পরানকে চর মারেন। পরবর্তীতে শাহ পরান তার বড় ভাইয়ের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সুযোগের সন্ধানে থাকে। শালিসের কিছু দিন পর ভুক্তভোগী নারীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা সুদের বিনিময়ে ধার নেন।তিনি বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরে ভুক্তভোগীর বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে সুদের টাকা আদায়ের অজুহাতে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। এর ২০ মিনিট পর পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগীর বাড়ির আশপাশে অবস্থান করা মামলার মূল হোতা শাহ পরান ও একই গ্রামের আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজান এবং অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন ব্যক্তি দরজা ভেঙে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করে এবং ভুক্তভোগীকে শারীরিক নির্যাতন, শ্লীলতাহানী ও অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণ করে পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঘটনার পর মূল হোতা শাহ পরানসহ আবুল কালাম ও অন্যান্য আসামীরা আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামি শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, পূর্ব শত্রুতার কারণে তার ভাই ফজর আলীর ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় ভুক্তভোগী ও ফজর আলীকে নির্যাতন, শ্লীলতাহানী ও অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। র্যাব আরও জানায়, শাহ পরান ‘মব’ সৃষ্টির জন্য ইমোতে অন্যদের মেসেজ দিয়ে ডেকে আনেন। তাকে মুরাদনগর থানায় হস্তান্তর করার কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে এবং অন্যদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত আছে।উল্লেখ, গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন বাহেরচর গ্রামে এক নারীকে নিগ্রহের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় গত ২৯ জুন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ধর্ষণে অভিযুক্তসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।ভোরের আকাশ/আজাসা
০৪ জুলাই ২০২৫ ০১:৩৯ পিএম
মুরাদনগরের সেই নারীর ভিডিও-ছবি সরানোর নির্দেশ
কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনায় ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।রোববার (২৯ জুন) কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের শিকার নারীর বিষয়ে করা এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এই বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান রিটকারি আইনজীবী মীর একেএম নুরুন্নবী।হাইকোর্টের আদেশে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ১৪ জুলাই এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। সেদিন প্রতিবেদন জানাতে হবে পুলিশকে। এদিকে কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের মূল আসামিসহ ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে জড়িত মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৬ জুন রাত ৮ টায় মুরাদনগর থানাধীন রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামে ফজর আলী ওরফে ফজর (৩৬) একই গ্রামের একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকার লোকজনের হাতে আটক ও প্রহৃত হন। পরবর্তীতে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। পরে খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।এতে আরও জানানো হয়, এই ঘটনায় ইতোমধ্যে মুরাদনগর থানা পুলিশ মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তাছাড়া ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভিকটিমের লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ‘খুঁটির জোর যাই হোক, তাকে কোনোভাবেই পাত্তা দেওয়া যাবে না’ জানিয়ে নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির প্রধান নেতা।রোববার (২৯ জুন) নারী নির্যাতন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ক্ষোভ করেন জামায়াত আমির।পোস্টে তিনি লিখেন, কুমিল্লার মুরাদনগরে একজন নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন একান্তই লজ্জাজনক একটি ঘটনা। লম্পটদের যেকোনো মূল্যে পাকড়াও করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং কঠোর শাস্তি দিতে হবে।তিনি আরও লিখেছেন, খুঁটির জোর যাই হোক, তাকে কোনোভাবেই পাত্তা দেওয়া যাবে না। অন্যথায়, এই সমাজ আপাদমস্তক একটি জংলি সমাজে পরিণত হয়ে যাবে।এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি ফজর আলীকে (৩৮) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারও আগে ভিডিও ভাইরাল করা তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৯ জুন ২০২৫ ১১:৪৭ এএম
কুমিল্লায় আলোচিত ধর্ষণ মামলার মূলহোতা গ্রেফতার
কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।রোববার (২৯ জুন) ভোরে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ফজর আলী কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামের শহীদের ছেলে।গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান। তিনি বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং আমরা প্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছি।মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ফজর আলী রাতে ভুক্তভোগীর ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই নারী থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।গ্রেপ্তার ফজর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৯ জুন ২০২৫ ১০:১৫ এএম
ট্রেনের টয়লেটে যাত্রীকে ধর্ষণ, কর্মচারী আটক
ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের টয়লেটে এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।বুধবার (২৫ জুন) সকাল পৌনে ৯টা থেকে সোয়া ৯টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে রেলওয়ের কর্মচারী (ট্রেনের পিএ অপারেটর) সাইফুল ইসলামকে (২৮) আটক করেছে সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ।রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীর বাড়ি কুড়িগ্রামে। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের বাড়ি গাইবান্ধায়। বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. ফরহাত আহমেদ।তিনি বলেন, ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি দাঁড়িয়েছিল। দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ট্রেনের টয়লেটে একজন নারী যাত্রীকে রেলওয়ের পিএ অপারেটর সাইফুল ইসলাম ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ভুক্তভোগী ওই নারী বিষয়টি ট্রেনে দায়িত্বরত রেলওয়ে পুলিশকে জানান।এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা সাইফুলকে আটক করেন। পুলিশ সুপার আরও জানান, তাদের দুইজনকে বগুড়ার সান্তাহার জংশন রেলওয়ে থানায় নামিয়ে দেওয়া হবে। পরের ট্রেনে তাদের ঢাকার কমলাপুরে ফেরত পাঠানো হবে। যেহেতু ঘটনাস্থল কমলাপুরে, তাই সেখানে মামলা করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ