স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী, বৈরী গোয়েন্দা সংস্থা থেকে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ থেকে নিরাপদ থাকার জন্য সরকারি কর্মচারীদের সাবধানতা অবলম্বনে নির্দেশনা দিতে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে সরকারি কর্মচারীদের সাতটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।এর আগে, গত ৮ জুলাই এ চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিবদের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠি পাওয়ার পর এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক করে চিঠি দিচ্ছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো।চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এমতাবস্থায় উল্লিখিত বিষয়ের আলোকে আপনার মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অধীনস্থ দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতারণামূলক ফাঁদ থেকে নিরাপদ থাকার জন্য অধিকতর সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশনা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’১. সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতারণামূলক ফাঁদ থেকে নিরাপদ থাকার জন্য অধিকতর সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।২. এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।৩. এরূপ অপরাধের বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে গোয়েন্দা সংস্থা/আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে অতিসত্বর অবহিত করা যেতে পারে যাতে গোয়েন্দা সংস্থা সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।৪. সরকারি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পদের পরিচয়, অবস্থান ও দৈনন্দিন কার্যক্রম প্রকাশ না করার ব্যাপারে সতর্ক থাকা।৫. কোনো প্রকার প্রলোভনমূলক ভিডিও কল, ছবি বা চ্যাটের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা।৬. অপরিচিত বা অল্প পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে খুব দ্রুত ঘনিষ্ঠ না হওয়া।৭. অনলাইন চ্যাট বা ভিডিও কলে গোপন তথ্য, ছবি বা ভিডিও শেয়ার না করা।ভোরের আকাশ/জাআ
২৮ জুলাই ২০২৫ ০৫:৫১ পিএম
পুলিশ কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি-বদলি তদবিরের লাগাম টানছে সরকার৷ পদোন্নতি বা অন্য কোনো বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে অপ্রয়োজনীয় তদবির থেকে বিরত থাকতে পুলিশ কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনাও দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে৷ এতে সই করেছেন উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত কতিপয় সদস্য অফিস চলাকালীন সময়ে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কর্মস্থল ত্যাগ করে মন্ত্রণালয়ে হাজির হয়ে বিভিন্ন ধরনের তদবির করে থাকেন; যা বর্তমানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। তাদের এরূপ তদবিরের কারণে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিব্রত হচ্ছেন এবং দৈনন্দিন সরকারি কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তাদের এরূপ কার্যকলাপ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ অধিদপ্তর থেকে কতিপয় বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে পত্র প্রেরণ করা হয় এবং উক্তপত্রের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের পূর্বেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিভিন্ন উপায়ে যোগাযোগ করে থাকেন। এতে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনো কোনো সময় জটিলতা তৈরি হয়। অধিকন্তু পুলিশ অধিদপ্তর থেকে প্রেরিত বিভিন্ন পত্রে অসম্পূর্ণ প্রস্তাব লক্ষ্য করা যায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়কে এড়িয়ে অন্য বিভাগ/মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সরাসরি পত্র যোগাযোগ করা হয়ে থাকে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় অবহিত না থাকায় পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণে নানা ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়৷ এমতাবস্থায় নিম্নোক্ত জরুরি নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো—ক) নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।খ) পদোন্নতি বা অন্য কোনো বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে অপ্রয়োজনীয় তদবির থেকে বিরত থাকতে হবে।গ) যথাসময়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব প্রেরণ করতে হবে।ঘ) বহিঃবাংলাদেশ ছুটির ক্ষেত্রে এতদসংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাইপূর্বক প্রেরণ করতে হবে।ঙ) চিকিৎসাজনিত বহিঃবাংলাদেশ ছুটির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের প্রত্যয়ন ও চিকিৎসা প্রতিবেদন যাচাইপূর্বক প্রেরণ করতে হবে।চ) আন্তঃমন্ত্রণালয় যোগাযোগ/পত্র প্রেরণের ক্ষেত্রে ‘রুলস অব বিজনেস’ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।ছ) প্রত্যেক কর্মকর্তা কর্তৃক নিজ নিজ জেমস (GEMS) আইডিতে লগইনপূর্বক তথ্য হালনাগাদ রাখতে হবে।এতে আরও বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন এবং এ বিষয়ে সদয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৬ জুলাই ২০২৫ ১১:৩৪ এএম
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশির জরুরি নির্দেশনা
সরকারি ও বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি এবং হালনাগাদ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ওয়েবসাইট হালনাগাদ করে এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (EMIS) মডিউলে আপলোড করতে হবে।সোমবার (১৪ জুলাই) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন আঞ্চলিক কার্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট নেই অথবা থাকলেও হালনাগাদ করা নেই, তাদের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় তথ্য বাতায়ন (www.bangladesh.gov.bd) অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সরকারি আর্থিক ব্যয় সংকোচনের স্বার্থে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের আলাদাভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।এতে আরো বলা হয়, প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠান পরিচিতি, প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি, শ্রেণি ও লিঙ্গভিত্তিক শিক্ষার্থীর তথ্য, শ্রেণিভিত্তিক অনুমোদিত শাখার তথ্য, পাঠদান সংক্রান্ত তথ্য (শিক্ষক, শিক্ষিকার নামসহ পূর্ণাঙ্গ রুটিন, পাঠ্যসূচি, বিবিধ নোটিশ ইত্যাদি), এমপিও, প্রতিষ্ঠানের ফোন/মোবাইল নম্বরসহ যোগাযোগের ঠিকানা, তথ্য সেবা কেন্দ্রের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তার ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সব শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য, ব্যবস্থাপনা কমিটির তথ্য হালনাগাদ রাখতে হবে।আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ওয়েবসাইট হালনাগাদ করে অধিদপ্তরের অ্যাডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের মডিউলে আপলোড করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ