দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন বড় চ্যালেঞ্জ
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্বৃত্তায়ন-দুর্নীতিমুক্ত এবং জনমুখী প্রশাসন গড়তে কাজ করে যাচ্ছে। তবে প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়ে যাওয়া আওয়ামী আমলে সুবিধাভোগী এবং বিভিন্ন নিয়ম দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দেশে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নমুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠা এখনও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কয়েক দফা বহিষ্কার, চাকরিচ্যুতি, বদলি, পদায়ন এবং নতুন নিয়োগের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে আবু আলম মো. শহীদ খান, ভুঁইয়া মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামহ বেশ কয়েকজন সচিবকে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে সরকার। আর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসনকে বিতর্কিত করতে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করতে সাবেক সরকারের সুবিধাভোগী সাবেক এবং বর্তমান বিপুলংখ্যক আমলা বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে।এদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ করতে আওয়ামী-ফ্যাসিস্টপন্থি কিছু বর্তমান এবং সাবেক আমলা এবং সুবিধাভোগী ষড়যন্ত্র করতে মাঠে নেমেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।১৯৯৬ সালের ‘জনতার মঞ্চ’র আদলে এসব কুশীলবরা সক্রিয় হয়ে ভিন্ন নামে মাঠে নেমেছেন। তারা ইতোমধ্যে এরই অংশ ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করেছেন এবং জনতার মঞ্চ অনুসরণ করেই আওয়ামী লীগকে প্রশাসনে এবং রাজনীতিতে ফেরাতে চান তারা। তবে এই সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, সাবেক সচিব ভূঁইয়া মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।এদিকে, আগামী বছরের ফেব্রুযারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সরকার কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর কাজ অব্যাহত রেখেছে। শিগগিরই বেশ কয়েকটি জেলায় ডিসি এবং দেশের বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পদেও পরিবর্তন আসছে বলে দায়িত্বশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে ডিসিদের নাও রাখা হতে পারে বলে জানা গেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে দুর্বৃত্তায়নমুক্ত করার পাশাপাশি ঢেলে সাজাতে শুদ্ধি অভিযানসহ নানা অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে গত এক বছরে কেন্দ্রীয় প্রশাসনে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। মাঠ প্রশাসনেও কয়েক দফা পরিবর্তন করা হয়েছে।ইতোমধ্যে আওয়ামী সরকারের আমলের সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ প্রায় তিন শতাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামুলক অবসরসহ বিভিন্নভাবে অপসারণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কয়েক দফায় জেলা প্রশাসক (ডিসি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদের রদবদল করা হয়েছে।এছাড়া সচিব পদমর্যাদার প্রায় শতাধিক কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল এবং বিশেষ ব্যতিক্রম ছাড়া নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র অবসরে যাওয়া পাঁচ অতিরিক্ত সচিবকে গত বছর চুক্তিভিত্তিক সচিব নিয়োগ দিয়েছিল সরকার।বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের ষোল বছরে জনপ্রশাসন, পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ কিংবা পদায়নের ক্ষেত্রে যোগ্যতার চেয়ে দলীয় বিবেচনা বেশি অগ্রাধিকার পেয়েছিল। ফলে সরকার পরিবর্তনের পর শুরু থেকেই সর্বস্তরের প্রশাসন দুর্বৃত্তায়নমুক্ত এবং জনমুখী প্রশাসন হিসেবে গড়তে ঢেলে সাজানোর কাজ চলমান রয়েছে।এছাড়া বিগত সরকারের সময় দুর্বৃত্তায়নে সহযোগীর ভূমিকা পালন ও অন্যায্য ক্ষমতার দাপট দেখানো কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে বিচারের আওতায়ও আনা হয়েছে এবং এ কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি মাঠ প্রশাসনেও শিগগির বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আওয়ামী সরকারের ১৬ বছর প্রশাসনে সরকারের আস্থাভাজন নিয়োগপ্রাপ্তদের রদবদল কিংবা অব্যাহতি দেওয়ার ফলে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এক ধরনের আতঙ্কও বিরাজ করছে।সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে দুর্বৃত্তায়নমুক্ত করার পাশাপাশি ঢেলে সাজাতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে এতদিন পদোন্নতিবঞ্চিত এবং কোণঠাসা কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বও পেয়েছেন। অন্যদিকে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তাদের আস্থাভাজন এবং দলীয় ঘরানার কর্মকর্তাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে পদায়নের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে দুর্বৃত্তায়ন পাকাপোক্ত করে রেখেছিল।এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার ভোরের আকাশকে বলেন, ‘দুর্বৃত্তায়িত আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে জনস্বার্থে জরুরিভিত্তিতে প্রশাসনে ইতিবাচক পরিবর্তনের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই সর্বস্তরের প্রশাসনে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য সরকার কাজ করছে।তিনি বলেন, আমরা দেশের স্বার্থে প্রশাসনের সর্বস্তরে সততাসম্পন্ন, যোগ্য এবং নিরপেক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ নিশ্চিত করবো।’প্রশাসনকে গণমুখী এবং নিরপেক্ষ করতে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নজিরবিহীনভাবে দেশের প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, পুলিশ কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অনেকেই পদত্যাগ করেছিলেন। তাদের বেশিরভাগই ২০২৪ এ গণ অভ্যুত্থানের ছাত্র আন্দোলনকারীদের চাপের মুখে পদ ছেড়েছেন।এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, আগের সরকারের সময় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগদানের কারণে সরকার পরিবর্তনের পর প্রায় সব দপ্তরেই জরুরিভিত্তিতে সংস্কার ও পরিবর্তন করতে হয়েছে।তবে প্রশাসনে সংস্কারের ক্ষেত্রে আবারও ‘আরেকটি দলীয়করণ’ যাতে না হয় সে বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দীর্ঘদিন যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য রাজনৈতিক বিবেচনায় তাদের দলীয় আনুগত্য ও আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন।তিনি বলেন, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে গণমুখী, দুর্বৃত্তায়নমুক্ত কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের সর্বস্তরে মেধাবী, সৎ ও দেশপ্রেমিক ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মকর্তা নিয়োগ অত্যন্ত জরুরি।তিনি জানান, কেন্দ্রীয় প্রশাসন দুর্বৃত্তায়নমুক্ত করার পর মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনে ডিসি, এসপি, ইউএনওসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের পাশাপাশি সংস্কারেরও কাজ চলছে।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র আরো জানায়, বিগত সরকারের আমলে যাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে তাদের প্রতি সুবিচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় তিন শতাধিক পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে এবং আরো কিছু পদোন্নতিবঞ্চিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদোন্নতি পেতে পারেন। এদিকে, পরিবর্তন আনা হলেও আগের সরকারের অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত অনেকেই বিভিন্ন উচ্চ পদে এখনও বহাল রয়েছেন।এব্যাপারে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা-টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রশাসনকে গণমুখী, নিরপেক্ষ এবং দুর্বৃত্তায়নমুক্ত করতে প্রশাসনের সর্বস্তরে দলীয় বিবেচনার পরিবর্তে মেধা, সততা এবং দেশপ্রেম ও দায়িত্বশীলতাকে গুরুত্ব দিতে হবে।তিনি বলেন, প্রশাসনে পরিবর্তন এমনভাবে করতে হবে, যাতে কোনো দুর্বৃত্তায়িত কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং মানষিকতাসম্পন্ন কোন কর্মকর্তা কোন পদে দায়িত্বে আসতে না পারে।তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র যোগ্যতা, সততা আর মেধা দিয়েই সাজাতে হবে দেশের কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়সহ সর্বস্তরের প্রশাসন। ডিসি পদে পরিবর্তন আসছে এদিকে, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনে রদবদল হচ্ছে বলে জানা গেছে। মাঠ প্রশাসনের অতি গুরুত্বপূর্ণ জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে এরই মধ্যে পরিবর্তন আনা হয়েছে ছয় জেলায়। আরও বেশ কয়েকটি জেলাতেও পরিবর্তন আনছে সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখেএছাড়া নির্বাচনকালীন সময়ে ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তবে আগামী নির্বাচনে তাদেরকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না- সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এখনো চূড়ান্তভাবে কিছু জানায়নি। তবে শেষ পর্যন্ত ডিসিদেরকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে রাখা হলে নির্বাচনে তাদের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেটি বিবেচনায় নিয়ে যোগ্যদের নিয়োগ দিচ্ছে সরকার।উল্লেখ্য, সম্প্রতি পটুয়াখালী, কুষ্টিয়া, কুড়িগ্রাম, মেহেরপুর, নেত্রকোণা ও খুলনা-এ ৬ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ ছয় জেলার মধ্যে তিনজন কর্মকর্তাকে নতুন ডিসি ও তিনজন অন্য জেলার ডিসিকে বদলি করা হয়েছে। জানা গেছে, বর্তমানে ডিসি পদে দায়িত্বে আছেন ২৪তম, ২৫তম ও ২৭তম বিসিএসের কর্মকর্তারা।এর মধ্যে ২৪তম বিসিএসের কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে অন্য ব্যাচের কর্মকর্তাদের নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ২৭তম এবং ২৮তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। নতুন ডিসি নিয়োগের জন্য ‘ফিটলিস্ট’ এর কাজ চলছে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে কোন কোন জেলার ডিসি পরিবর্তন হচ্ছে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানান, আমাদের ফিটলিস্ট আছে। কিছু নতুন ডিসি পদায়ন করা হয়েছে, সামনে আরও কিছু হবে। তিনি বলেন, অনেক যুগ্ম-সচিব এখনও ডিসি হিসেবে রয়ে গেছেন। নির্বাচনের আগে যুগ্ম-সচিবদের তুলে আনা হবে এবং সেই সব জেলায় নতুন ডিসি দেওয়া হবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সৎ ও যোগ্যদের ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।জনতার মঞ্চ আদলে ষড়যন্ত্র : এদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ করতে আওয়ামী-ফ্যাসিস্টপন্থি কিছু বর্তমান এবং সাবেক আমলা এবং সুবিধাভোগী ষড়যন্ত্র করতে মাঠে নেমেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ১৯৯৬ সালের ‘জনতার মঞ্চ’র আদলে এসব কুশীলবরা সক্রিয় হয়ে ভিন্ন নামে মাঠে নেমেছেন। তারা ইতোমধ্যে এরই অংশ ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করেছেন এবং জনতার মঞ্চ অনুসরণ করেই আওয়ামী লীগকে প্রশাসনে এবং রাজনীতিতে ফেরাতে চান তারা। তবে এই সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আলম মো. শহীদ খান, ভুঁইয়া মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া আবু আলম মো. শহীদ খান ও ভুঁইয়া মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম- দুজনই ১৯৯৬ সালের জনতার মঞ্চের অন্যতম সংগঠক। এছাড়া ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের এক সময়ের মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকেও গত ২৮ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ প্ল্যাটফর্মের গোলটেবিলের বৈঠক থেকে ছাত্র-জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।ঢাকা মেট্রোপোলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও বেশ কয়েকজনকে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ, অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ