বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ) বলেছে, রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে গত ৮ আগস্ট আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও আগামী দিনের জনপ্রশাসন’ শীর্ষক সেমিনার নিয়ে কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত নেতিবাচক প্রতিবেদন অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য নয়।শনিবার (৯ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাসোসিয়েশন জানায়, সেমিনারের মূল প্রবন্ধ ও বিষয়বস্তু থেকে সরে গিয়ে কিছু গণমাধ্যম মাননীয় উপদেষ্টাদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা বিভ্রান্তিকর এবং আয়োজকদের অবস্থান নয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেমিনারটি ছিল সম্পূর্ণ একাডেমিক আয়োজন। এতে দেশের জনপ্রশাসনের গতিপ্রকৃতি, প্রত্যাশা, আত্মসমালোচনা এবং গঠনমূলক পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা নিজেদের মতামত দেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের চারজন সদস্যও সেখানে তাঁদের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন। এসব বিষয়ই অ্যাসোসিয়েশনের প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল।বিএএসএ মনে করে, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং দৃশ্যমান সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী (বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা) এবং সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম (সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়)।ভোরের আকাশ/জাআ
১০ আগস্ট ২০২৫ ১১:৫২ এএম
মানুষ মারার পরামর্শদাতারা কীভাবে সাংবাদিক হন
মানুষ মারার পরামর্শদাতারা কীভাবে সাংবাদিক হন- এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, আওয়ামী শাসনামলে সাংবাদিকরা তেলবাজিতে মেতেছিল, ছিল না কোনো স্বাধীনতা। তেল দিতে দিতে মারাত্মক পর্যায়ে চলে গিয়েছিল, তারা মানুষ মেরে ফেলার পরামর্শ দিতেও কোনো দ্বিধাবোধ করেনি, তারা কীভাবে সাংবাদিক হন। এখনো কীভাবে তারা মিডিয়াতে কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম।এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, গণতন্ত্র-স্বাধীনতা ও আওয়ামী লীগ এক সঙ্গে চলে না।মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আওয়ামী লীগ একসঙ্গে চলে না। কারন তারা যতবারই রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কিছু সাংবাদিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, ব্যক্তিগত ভাগ্য উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করেছে। এ কারণে কারো কারো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে শতকোটি টাকা লেনদেন হয়। আবার দেশের বাইরে অনেকে বাড়ি করেছেন।ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, নিউ নেশনের সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব বাসির জামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি খন্দকার হাসনাত করিম পিন্টু, আব্দুল আওয়াল ঠাকুর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান।ভোরের আকাশ/এসএইচ