দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে প্রাণ হারালেন বলিউড অভিনেত্রী হুমা কুরেশির চাচাতো ভাই আসিফ কুরেশি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১১টা নাগাদ দিল্লির জঙ্গপুরা ভোগাল বাজার লেনে একটি স্কুটার পার্কিং নিয়ে প্রতিবেশী কয়েকজনের সঙ্গে আসিফের বিরোধ শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই সেই ছোটখাটো কথা-কাটাকাটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। একপর্যায়ে অভিযুক্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আসিফের ওপর হামলা চালায়।গুরুতর আহত অবস্থায় আসিফকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত আসিফের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, এর আগেও অভিযুক্তদের সঙ্গে তাদের গাড়ি পার্কিং নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। কিন্তু সেই সময় তা এমন ভয়ংকর রূপ নেয়নি।আসিফের স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামী কাজ থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন আমাদের বাড়ির সামনে প্রতিবেশীর স্কুটার রাখা। সেটি সরাতে বলা হলে দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে প্রতিবেশী আমার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন।’এদিকে পুলিশ ইতোমধ্যেই খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে। শুক্রবার এই দুই অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হবে। ঘটনার আরও তদন্তের জন্য পুলিশ আশেপাশের প্রতিবেশী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই দিল্লির আরকে পুরম এলাকায় গাড়ি পার্কিং নিয়ে এমন আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় পার্কিংয়ের ঝামেলাকে কেন্দ্র করে এক বাইক মেকানিক একজন ব্যক্তিকে গাড়ির ভেতরেই জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সময়মতো তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৮ আগস্ট ২০২৫ ০৪:০৬ পিএম
মসজিদে নামাজরত ছোট ভাইকে খুন করলেন বড় ভাই
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গ্রামের মসজিদে এশার নামাজ আদায়কালে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের পূর্ব চরগাঁও গ্রামের জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।নিহত মজিবুর রহমান (৬৫) পূর্ব চরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা এবং কামরু মুন্সির ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বড় ভাই লুৎফুর রহমানকে (৭৫) আজ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লুৎফুর রহমান ও মজিবুর রহমান আপন দুই ভাই। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশের রাস্তা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে রাতে এশার নামাজ চালাকালানী পূর্ব চরগাঁও জামে মসজিদের ভেতরে নামাজরত অবস্থায় ছোট ভাই মজিবুরকে বাঁশের গোড়া দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন বড় ভাই লুৎফুর।স্থানীয় মুসল্লিরা গুরুতর আহত অবস্থায় মজিবুরকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এশার নামাজের সময় মসজিদের ভেতরেই ছোট ভাইকে আঘাত করেন বড় ভাই। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/জাআ
১৭ জুলাই ২০২৫ ০৯:১৮ পিএম
শার্শায় বিএনপি কর্মী খুন, গ্রেপ্তার ৪
যশোরের শার্শায় রাজনৈতিক বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে লিটন হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত লিটন স্থানীয় বিএনপির সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে।মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শার্শা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের চেয়ারম্যান মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় লিটন স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে একদল যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে শার্শাউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের বাবা আজগার আলী অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক বিরোধকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই লিটন হুমকির মুখে ছিলেন। ঈদের আগের দিনও হামলাকারীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।ঘটনার পরপরই আজগার আলী বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮–১০ জনকে আসামি করা হয়।হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুর্গাপুর গ্রামের চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন— মোঃ আজগর আলী (৩২) ও মোঃ শমসের আলী (৪৫), এবং সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া মোঃ আব্দুল হক মিয়া (৫৫) ও মোঃ সামছুল হক (৫২)।পুলিশের ভাষ্যমতে, তারা সবাই এলাকার চিহ্নিত অপরাধী এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী সেলিম হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল। হত্যাকাণ্ডের পর তারা আত্মগোপনে চলে গেলেও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শার্শা থানা ও গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের একটি যৌথ টিম অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ