নারী বিশ্বকাপেও কি ‘হ্যান্ডশেক’ বিতর্ক রাখবে ভারত!
সদ্যসমাপ্ত এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তান ফাইনাল-পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ কি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপেও প্রভাব ফেলবে? ৫ অক্টোবর কলম্বোয় মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দল। হরমনপ্রীত কৌর কি সেদিন হ্যান্ডশেক করবেন ফাতিমা সানার সঙ্গে? নারী বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলার জন্য ভারতে দল পাঠাচ্ছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ফাতিমারা তাদের সব ম্যাচ খেলবেন শ্রীলংকায়। এশিয়া কাপের উত্তাপের পর ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট উত্তেজনায় বাড়তি মাত্রা যোগ হয়েছে। পেহেলগাম-কাণ্ডের প্রতিবাদে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ‘বয়কট’ করেন সূর্যকুমার যাদবরা। সালমান আগাদের সঙ্গে কথা বলেননি। রীতি মেনে টসের সময় বা খেলার পর হ্যান্ডশেকও করেননি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির হাত থেকে ট্রফি নিতেও অস্বীকার করেন তারা।সূর্যকুমারদের আচরণে ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার কামরান আকমল সুর চড়িয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের নারী দলের পাশে থাকা উচিত। বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে খেলা উচিত হবে না। আমাদেরও কঠোর অবস্থান নেওয়া দরকার।’ এশিয়া কাপে হরমনপ্রীতদের ওপর যে চাপ থাকবে, তা মেনে নিয়েছেন ভারতের সাবেক নারী ক্রিকেটার শোভা পন্ডিতও। তিনি বলেছেন, ‘সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে খেলার বাইরেও ক্রিকেটারদের চাপে রাখবে। তবে এ পরিস্থিতিতে আমি আমাদের দলের সঙ্গেই থাকব। চাইব হরমনপ্রীতরাও যেন পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক না করে। ওদের কাউকে জড়িয়ে ধরার দরকার নেই। ওদের সঙ্গে কথা বলারও প্রয়োজন নেই।’ আর এক সাবেক ক্রিকেটার সন্ধ্যা আগরওয়াল বলেন, ‘হরমনপ্রীতদের উচিত পুরুষদের দলকে অনুসরণ করা। সূর্যকুমার যেমন আচরণ করেছে, হরমনপ্রীতেরও তেমনই করা উচিত। কাউকে অসম্মান করার প্রয়োজন নেই। গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। উপেক্ষাই জবাব হোক।’ভোরের আকাশ/মো.আ.
০১ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৫৩ এএম
এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েও ট্রফি নিল না ভারত
নবমবারের মতো এশিয়া কাপ জয় করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেও ভারতীয় ক্রিকেটাররা নিজেদের মেডেল বা ট্রফি গ্রহণ করেননি।ফাইনাল ম্যাচ শেষ হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর শুরু হয় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান তিলক ভার্মা, টুর্নামেন্ট সেরার স্বীকৃতি পান অভিষেক শর্মা, এবং সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার পুরস্কার পান কুলদীপ যাদব। রানার্স-আপ পাকিস্তান দল তাদের মেডেল গ্রহণ করে, এবং অধিনায়ক সালমান আলি আগার হাতে তুলে দেন ৭৫ হাজার ডলারের ডামি চেক।ভারতীয় দলকে মেডেল ও ট্রফি দেওয়ার কথা থাকলেও, প্রেজেন্টেশনের দায়িত্বে থাকা সাইমন ডুল জানান, এসিসির পক্ষ থেকে আমাকে বলা হয়েছে, ভারতীয় দল তাদের পুরস্কার আজকে গ্রহণ করবে না। তিনি অতিরিক্ত কোনো কারণ প্রকাশ করেননি।পুরস্কার গ্রহণ না করার কোনো কারণ খোলাসা করেননি। পরে অবশ্য ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা ট্রফি ছাড়াই নিজেদের মতো করে উদযাপন সারেন এবং মাঠের ফটোগ্রাফারদের জন্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পোজ দিয়ে ছবিও তোলেন।সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের মন্ত্রীপরিষদের সদস্য মহসিন নাকভি পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে উপস্থিত থাকার কারণে ভারতীয় দল তাদের ট্রফি নেননি। নাকভি এসিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন।গত কয়েক মাস ধরে চলা ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে ফাইনালের আগেই বলা হচ্ছিল, ভারতীয় দল নাকভির হাত থেকে ট্রফি গ্রহণ করবে না। শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও হয়তো সে কারণেই চ্যাম্পিয়ন হয়েও কোনো পুরস্কার নিল না তারা।ভোরের আকাশ/তা.কা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২৫ পিএম
সূর্যকুমার গোপনে হাত মিলিয়েছিল, দাবি পাক অধিনায়কের
এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের কাছে হার মেনে এবার ক্ষোভ উগড়ে দিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ভারত কেবল পাকিস্তানকেই নয়; বরং পুরো ক্রিকেটকেই অসম্মান করেছে।তার দাবি, ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে হাত মেলালেও ক্যামেরার সামনে ইচ্ছা করেই তা এড়িয়ে গেছেন।আগা বলেন, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলন আর রেফারির বৈঠকে সূর্যকুমার আমার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। কিন্তু ক্যামেরা অন থাকলে তারা হাত মেলাত না। আমার মনে হয়, ওকে এভাবেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, নইলে ও আলাদাভাবে এমন করত না।’বিতর্ক আরও বেড়ে যায় ফাইনালের পর। ভারতের শিরোপা জয়ের পর দলটি ট্রফি গ্রহণ করেনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এএসসি) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভির হাত থেকে; বরং নকভি ট্রফি নিয়ে মাঠ ছেড়ে চলে যান। এতে নবমবারের মতো এশিয়া কাপ শিরোপা জিতেও ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে পারেনি ভারত।এই ঘটনাকে ‘ক্রিকেটের প্রতি চরম অসম্মান’ আখ্যা দিয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে হাত না মেলানো মানে আমাদের অসম্মান নয়—এটা ক্রিকেটের অসম্মান। ভালো দলগুলো কখনো এমন করে না। আমরা নিজেদের দায়িত্ব পালনের জন্য মেডেল নিয়েছি, ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলেছি। কিন্তু ভারতের আচরণে হতাশ হয়েছি।’তিনি আরও যোগ করেন, ‘ক্রিকেট ভক্তরা আমাদের রোল মডেল মনে করে। ভারত যেটা করল, সেটা ছোটদের জন্য ভয়ানক বার্তা। এই দৃশ্য ক্রিকেটকে ছোট করেছে। আশা করি এমন আচরণ একদিন বন্ধ হবে।’এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। টুর্নামেন্টে টানা তিনবার ভারতের কাছে হার মানতে হয়েছে বাবর-আগাদের। তবে পাকিস্তান অধিনায়ক বিশ্বাস রাখছেন, শিগগির পাল্টে যাবে এই চিত্র। ‘৯০-এর দশকে আমরা তাদের হারাতাম, এখন তারা এগিয়ে। তবে সময় বদলাবে, শিগগির আমরা আবার ভারতকে হারাব,’ মন্তব্য করেন আগা।সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে তিনি জানান, পাকিস্তান দল এ ম্যাচের সম্মানী দান করবে মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ নিহত পাকিস্তানি সাধারণ নাগরিকদের পরিবারকে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:২১ এএম
এশিয়া কাপের ফাইনালে নিয়ম ভাঙলেই জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা
এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হবে এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ। ২৮ হাজার আসনের গ্যালারির সব টিকিট ইতোমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে।ম্যাচকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। স্টেডিয়ামের ভেতর ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করেছে দুবাই সরকার। যেকোনো অনিয়ম বা সহিংস আচরণের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।দর্শকদের খেলা শুরুর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে মাঠে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। একবার প্রবেশের পর পুনরায় প্রবেশের অনুমতি থাকবে না। নিষিদ্ধ সামগ্রীর তালিকায় রয়েছে আতশবাজি, ফ্লেয়ার, লেজার পয়েন্টার, ধারালো বস্তু, অস্ত্র, বিষাক্ত পদার্থ, সেলফি স্টিক, বড় ছাতা, অনুমোদনহীন ব্যানার বা পতাকা, কাঁচের বোতল, পোষা প্রাণী, সাইকেল ও স্কেটবোর্ড।সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্পোর্টস ইভেন্ট সিকিউরিটি আইন অনুযায়ী, মাঠে অনধিকার প্রবেশ বা নিষিদ্ধ বস্তু বহনের শাস্তি ১–৩ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার দিরহাম পর্যন্ত জরিমানা। সহিংসতা, বস্তু নিক্ষেপ বা বর্ণবাদী মন্তব্যের জন্য ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার দিরহাম জরিমানা এবং কারাদণ্ড হতে পারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত।নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্টেডিয়ামের প্রতিটি অংশে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি করা হবে এবং বিশেষ বাহিনীর টহল থাকবে।ক্রিকেটীয় দিক থেকে ভারত অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছে। পাকিস্তান গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোরে কেবল ভারতের বিপক্ষে হেরেছে, তবে অন্য ম্যাচগুলো জিতে জায়গা করে নিয়েছে শিরোপা লড়াইয়ে। রেকর্ড অনুযায়ী ভারত আটবার আর পাকিস্তান দুবার এশিয়া কাপ জিতেছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:২৪ পিএম
এশিয়া কাপের ফাইনালে আজ ভারত-পাকিস্তান মহারণ
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৪১ বছরের ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে আজ। দীর্ঘ চার দশকের এশিয়া কাপ ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এশিয়া কাপের এই মহারণ মাঠে গড়াবে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।এশিয়া কাপের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮৪ সালে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তিন দল—ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা নিয়ে আয়োজিত সেই প্রথম আসরে লিগ পদ্ধতিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এরপরের আসরগুলোয় বহুবার ফাইনালে খেলেছে দুই দল, কিন্তু কখনো মুখোমুখি হয়নি শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে। এবারই প্রথম দুই চিরশত্রু নামছে একই ফাইনালের মঞ্চে।ফাইনালের ইতিহাস বললে পাকিস্তানের নাম ওঠে পাঁচবার। তবে শিরোপা জিততে পেরেছে মাত্র দুইবার—২০০০ এবং ২০১২ সালে বাংলাদেশে। অন্যদিকে ভারত এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি ১১ বার খেলেছে ফাইনাল এবং রেকর্ড আটবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।২০২৫ সালের এই আসরে ভারত এখনও অপরাজিত। সুপার ফোরে তারা পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে হারিয়ে নিশ্চিত করেছে ফাইনাল। বিপরীতে পাকিস্তান ভারত ম্যাচে হারের পর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে শিরোপা লড়াইয়ে।সব মিলিয়ে আজকের ফাইনাল শুধু একটি ম্যাচ নয়, বরং এশীয় ক্রিকেট ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি দর্শক অপেক্ষায়—দুবাইয়ে কে জিতবে এশিয়ার সিংহাসন, ভারত নাকি পাকিস্তান?দুবাইয়ের কন্ডিশনে রাতে ডিউ থাকলে দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করা কঠিন হতে পারে। ফলে টসটা গুরুত্বপূর্ণ হবে। টস জিতলে আগে বোলিং বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অধিনায়ক।এই ম্যাচ কেবল ক্রিকেট নয়—দুই দেশের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রচণ্ড আবেগ এখানে জড়িত। ভারত টুর্নামেন্টে একক আধিপত্য দেখাচ্ছে। তবে পাকিস্তানও এবার প্রতিশোধের মুডে থাকবে। ফলে জমজমাট এক লড়াইয়ের প্রত্যাশা করতেই পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৩১ এএম
এশিয়া কাপে এক ম্যাচে ১৭ ব্যাটারের ১৫ জনই ক্যাচ আউট!
অলিখিত সেমিফাইনালে বাংলাদেশ হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। ১১ রানের এই জয়ে এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তান ফাইনালে মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে দুই দলের ১৭ ব্যাটার আউট হয়েছেন। যেখানে দুটি বাদে বাকি সব উইকেটই পড়েছে তালুবন্দী হয়ে।এক ম্যাচে ১৫ ব্যাটারের ক্যাচ আউট হওয়া কি কোনো রেকর্ড? রেকর্ডের তালিকায় থাকলেও, এটি কোনো শীর্ষস্থানে থাকা কোনো ঘটনা নয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এমন দৃশ্য প্রচলিত তো বটেই, এক ম্যাচে ১৭ ব্যাটারও ক্যাচ আউটের নজির রয়েছে। গতকাল আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলিং তোপে মাত্র ১৩৫ রান করেছে পাকিস্তান। যেখানে সালমান আগার দলের ৮ ব্যাটারই ক্যাচ আউট হন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ।সেই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশও ব্যাটিং বিপর্যয়ের নিদারুণ দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছে। ফলে ২০ ওভারে তাদের স্কোরবোর্ডে ওঠে ৯ উইকেটে ১২৪ রান। ১১ রানে হারের ম্যাচটিতে বাংলাদেশের ৯ ব্যাটারের ৭ জনই ক্যাচ আউট হয়েছেন। বাকি দুজন বোল্ড হন হারিস রউফের বলে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে ১৭ জনের মধ্যে ক্যাচ আউট হন ১৫ ব্যাটার। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২১তম ঘটনা।তবে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে এতজন ব্যাটারের ক্যাচ আউটের ঘটনা যৌথভাবে সর্বোচ্চ। টুর্নামেন্টটিতে এর আগে সমান ১৫ ব্যাটারের ক্যাচ আউটের দৃশ্য দেখা গিয়েছিল ২০২১ সালে, বাংলাদেশ-ওমানের ম্যাচে। টি-টোয়েন্টিতে কেবল পাকিস্তান খেলেছে এমন চারটি ম্যাচেই ১৫ ব্যাটারের ক্যাচ আউটের নজির আছে।এর বাইরে চারটি ম্যাচে ১৬ এবং এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৭ ব্যাটার ক্যাচ আউট হন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে। ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম আয়ারল্যান্ডের একটি টি-টোয়েন্টিতে ১৯ ব্যাটার আউট হন, যার ১৭ জনই ফিল্ডারদের হাতে ক্যাচ দেন। এ ছাড়া ১২ ইনিংসে সব ব্যাটারেরই (১০) ক্যাচ আউটের নজির আছে। ফলে গতকাল পাকিস্তানের ইনিংসে ৮ জনের ক্যাচ আউটের ঘটনা তালিকায় অনেক পেছনে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:২৮ পিএম
সহজ ম্যাচ হেরে অদ্ভুত অজুহাত বাংলাদেশ কোচের
এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ১৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ দল। ১১ রানের হতাশাজনক হারেই থেমে যায় লিটনদের এশিয়া কাপ অভিযান।ম্যাচ শেষে কোচ ফিল সিমন্স স্পষ্টভাবে বললেন—হাতছাড়া ক্যাচ আর ভুল শট বাছাই দলকে ডুবিয়েছে।পাকিস্তান ইনিংসে ৫১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকলেও, সেখানেই মোড় ঘুরে যায় ম্যাচের। ১২তম ওভারে নুরুল হাসান ও শেখ মাহেদী হাসান সহজ সুযোগ মিস করেন শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ফেরানোর। জীবন ফিরে পেয়ে শাহিন খেলেন মাত্র ১৩ বলে ১৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস, মারেন দুই ছক্কা। এরপর পারভেজ হোসেন ইমন হাতছাড়া করেন মোহাম্মদ নওয়াজের ক্যাচ। শূন্য রানে জীবন পাওয়া নওয়াজ পরে খেলেন ২৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস।সিমন্স খোলাখুলি বললেন, ‘আমরা যখন শাহিন আর নওয়াজের ক্যাচ ফেললাম, ওখানেই খেলার মোড় ঘুরে যায়। তার আগে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ছিলাম।’তবে শুধু ফিল্ডিং নয়, ব্যাটিং ব্যর্থতাও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন কোচ। তার মতে, রান তাড়া করতে গিয়েই অযথা তাড়াহুড়োতে উইকেট বিলিয়ে এসেছে ব্যর্থতা। ‘আমাদের নির্দিষ্ট ওভারে জেতার কোনো চাপ ছিল না। শুধু ম্যাচ জেতাই দরকার ছিল; কিন্তু আমরা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সব দলই এমন করে, আজ আমাদের দিন ছিল না,’ বলেন সিমন্স।এদিন অধিনায়ক লিটন দাস না থাকায় ব্যাটিং অর্ডারেও পরিবর্তন আনা হয়। শেখ মাহেদী হাসানকে নামানো হয় চার নম্বরে। সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও সিমন্স তা যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করেন: ‘আমি এটা দেখি প্রতিপক্ষ পেসারদের বিরুদ্ধে পাওয়ারপ্লেতে কাউকে নামানোর কৌশল হিসেবে। নিচের দিকে জাকের আর শামীম ছিল, যারা স্পিনারদের আক্রমণ করতে পারত।’তবে ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট নিয়ে আলোচনায় কোচ মনে করেন আসল সমস্যা অংশীদারত্বের ঘাটতি। ‘আমাদের ছক্কা মারার ক্ষমতা আছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ব্যাটিং করে পার্টনারশিপ গড়তে পারিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যত বেশি খেলা হবে, ছন্দে আসবে সবাই।’এশিয়া কাপ মিশনে টানা দুই হারে শেষ হলেও ইতিবাচক দিক দেখিয়েছেন সিমন্স। বিশেষ করে ওপেনার সাইফ হাসানের ধারাবাহিকতা এবং পুরো বোলিং ইউনিটের শৃঙ্খলাকে তিনি বড় পাওয়া হিসেবে দেখছেন। ‘সাইফ আমাদের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক। পাশাপাশি বোলাররা পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেছে,’ বলেই শেষ করেন বাংলাদেশের কোচ।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২৮ পিএম
এশিয়া কাপ থেকে বিদায়ের পর বাংলাদেশ নিয়ে যা বললেন আফগান কোচ
এক ম্যাচেই ঝুলেছিল তিন দলের সুপার ফোরের টিকিট। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষমেশ আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সুপার ফোরে গেছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের জয়ের সুবাদে সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশেরও।অন্যদিকে, হেরে ছিটকে গেছে আফগানরা।ম্যাচে শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের হতাশা প্রকাশ করেন আফগান কোচ জনাথন ট্রট। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অনেক হতাশাজনক। এটা হজম করা খুব কঠিন। ১৭০ এর মত রান করে ভালো জায়গায় ছিলাম আমরা। নবি আমাদের সেখানে নিয়ে গেল। তবে শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা অনেক ভালো খেলেছে, আমাদের বোলিং-ফিল্ডিংও ভালো হয়নি। অনেক হতাশ। অনেক। অনেক বড় আশা নিয়ে এখানে এসেছিলাম। ভালোভাবে কাজ করতে হবে আমাদের সামনের দিনে।’ কৃতিত্ব দিলেন বাংলাদেশকেও। ট্রট বলেন, ‘পাওয়ারপ্লেতে বোলিংটা ভালো হয়নি আমাদের। অনেক বেশি বেসিকে ভুল করেছি আমরা। এমন জায়গায় ক্রিকেট ম্যাচ জিততে গেলে এরকমটা করা যাবে না। পুরো কৃতিত্ব দিতে চাই বাংলাদেশকে, যারা সুপার ফোরে যাচ্ছে, সাথে শ্রীলঙ্কাকেও। সামনে অনেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আছে। ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপও আছে। কোচরা, প্লেয়াররা মিলে আলোচনা করব কীভাবে আরও বেটার হতে পারি আমরা। যেন একই ভুল আবার না হয়।’ ইনজুরির কারণে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গেছেন আফগান পেসার নাভিন উল হক। লঙ্কানদের বিপক্ষে একজন পেসার কম ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রট বলেন, ‘সম্ভবত হ্যাঁ। নাভিনকে (নাভিন-উল-হক) মিস করেছি। সে ফিট থাকলে এখানে থাকত হয়ত। তখন ভিন্ন দল হত। তবে এসব ব্যাপার আমাদের ঠিক করতে হবে।’প্রসঙ্গত, গতকালকের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আফগানরা ১৭০ রানের টার্গেট দেওয়ার পর বাংলাদেশের সমীকরণটা ছিল এমন-হয় শ্রীলঙ্কাকে এই রান তাড়া করে জিততে হতো, নয়তো ১০১ রানের মধ্যে অলআউট হতে হতো। আবুধাবিতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করিয়েছিল আফগানিস্তান। মাত্র ২২ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন মোহাম্মদ নবি।জবাবে ঝড় তোলেন কুশাল মেন্ডিস। ৫২ বলে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে যেন সব আলো কেড়ে নিলেন। সেই সঙ্গে দলের জয়ও নিশ্চিত করলেন। ৮ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। এ নিয়ে গ্রুপপর্বে অপরাজিত থাকল দলটি।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:১৬ পিএম
ছেলের বলে ৫ ছক্কা, হার্ট অ্যাটাকে লঙ্কান ক্রিকেটারের বাবার মৃত্যু
এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে বাংলাদেশ খেলতে পারবে কি না তা নির্ভর করতে ছিল আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কার ম্যাচের ওপর। এমন ম্যাচে সমীকরনের মার প্যাচে ভাগ্য নির্ধারন ছিলো তিন দলেরই। এই জটিল আংকের পেছনে শ্রীলঙ্কার ২০তম ওভার কাল হয়ে আসে। লঙ্কান উদীয়মান ক্রিকেটার দুনিথ ওয়েলালাগের সেই ওভারে ৩২ রান দেন, তাতে আফগানরা সংগ্রহ পায় ১৭০ রানের। শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটের জয়ে বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে সুপার ফোরে ওঠে শ্রীলঙ্কা।তবে ওয়েলালাগের পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোক। তাঁর বাবা সুরাঙ্গা ওয়েলালাগে ছেলের মন্থর বোলিং দেখে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এমনটাই জানায় দেশটির লঙ্কা সারার এক প্রতিবেদনে।প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ চলাকালীন। কলম্বোতে বসে টেলিভিশনে ম্যাচটি দেখছিলেন দুনিথ ওয়েলালাগের বাবা। খেলার এক পর্যায়ে আফগান তারকা ব্যাটার মোহাম্মদ নবি দুনিথের শেষ ওভারে টানা পাঁচটি ছক্কা হাঁকান। ছেলের বোলিংয়ের এই ধাক্কা মেনে নিতে না পেরে তীব্র মানসিক চাপে ভুগতে থাকেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সুরাঙ্গা বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসকরা শেষ পর্যন্ত তাঁকে আর বাঁচাতে পারেননি।এই মর্মান্তিক সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মাত্র ২১ বছর বয়সী স্পিন অলরাউন্ডার দুনিথ ওয়েলালাগে বর্তমানে জাতীয় দলের অন্যতম আশার প্রতীক। তাঁর বাবার এমন আকস্মিক প্রয়াণে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররাও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।এদিকে ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ১৭০ রানের লক্ষ্য সফলভাবে তাড়া করে। মাত্র ছয় উইকেট হারিয়ে এবং আট বল হাতে রেখে জয় পায় লঙ্কানরা। কিন্তু মাঠের সাফল্যের উচ্ছ্বাস ছাপিয়ে গেছে ওয়েলালাগে পরিবারের এই অপূরণীয় ক্ষতি।উল্লেখ্য, সুরাঙ্গা ওয়েলালাগেও নিজে একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার ছিলেন। তিনি ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রিন্স অব ওয়েলস কলেজ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে খেলেছিলেন। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ক্রিকেট সার্কেলে যুক্ত ছিলেন এবং ছেলের ক্রিকেট ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৫২ পিএম
বাবা হারালেন ক্রিকেটার এবাদত হোসেন
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার এবাদত হোসেন চৌধুরীর বাবা সাবেক বিজিবি সদস্য নিজাম উদ্দিন চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে সিলেট ওয়েসিস হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর।নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামে। তবে বর্তমানে তিনি একই ইউনিয়নের রুকনপুর গ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।পরিবার সূত্রে জানাগেছে, এবাদত হোসেনের বাবা ছিলেন অনেক দিন ধরেই ক্যান্সারে ভুগছিলেন। নিয়মিত তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তার ফলে শারীরিকভাবে অনেকটা সুস্থও ছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি হঠাৎ কিছুটা অসুস্থবোধ করেন। এসময় এবাদতই তাকে নিয়ে সিলেটের হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে তিনি হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় এবাদতের বাবার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার পর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:২০ এএম
আরব আমিরাতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৪১ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের দেয়া ১৪৭ রানের জবাবে ১০৫ রানে অল আউট হয়েছে আরব আমিরাত।বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে পাকিস্তানের এশিয়া কাপের ম্যাচটা ছিল নকআউট। এই ম্যাচের জয়ী দলেরই নিশ্চিত হওয়ার কথা সুপার ফোর। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনায় ছিল পাকিস্তানের ম্যাচ বয়কট ইস্যু। ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন না করায় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় পাকিস্তান। তার অপসারণ দাবিতে বুধবার বিকালের পর থেকে নানা নাটকীয়তার জন্ম দেয় পিসিবি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য এক ঘণ্টা বিলম্বে গড়িয়েছে ম্যাচ। সেই ম্যাচ ৪১ রানে জিতে গ্রুপ ‘এ’ থেকে ভারতের পর সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে পাকিস্তানেরও।শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানকে ৯ উইকেটে ১৪৬ রানে আটকে দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। দলের পেসার জুনাইদ সিদ্দিক ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন। সঙ্গে বাঁহাতি স্পিনার সিমরনজিৎ সিং শিকার করেছেন ৩ উইকেট। পাকিস্তানকে লড়াইয়ের মতো স্কোর এনে দেন মূলদ শাহীন শাহ আফ্রিদি। শেষ দিকে মাত্র ১৪ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি। তাতে ছিল দুটি চার ও শেষ ওভারে একটি ছক্কার মার।ঘাসের উইকেটে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত যথার্থ প্রমাণ করেন জুনাইদ। পাকিস্তানের ওপেনার সাইম আয়ুবকে শূন্য রানে ফেরান তিনি। যা পাকিস্তানি ব্যাটারের টানা তৃতীয় ‘ডাক’। শাহেবজাদা ফারহান রিভিউ নিয়ে এলবিডাব্লিউ থেকে বাঁচলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন লং লেগে। ৩ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর তখন ৯ রানে দুই উইকেট।সেখান থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে ভূমিকা রাখেন ফখর জামান ও সালমান আগা। দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে ৫০ বলে ৬১ রান যোগ করেন। ফখর ছিলেন আক্রমণাত্মক, ধ্রুব পারাশারকে টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৫ বলে পূর্ণ করেন হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো থেকে রেহাই মেলেনি পাকিস্তানের। সালমান আগা (২০) কভার দিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন ডিপ কভারে। এরপর সিমরনজিৎ এক ওভারে দুটি উইকেট তুলে নেন।হাফসেঞ্চুরির পরই ফখর ক্যাচ তুলে ফেরেন শর্ট এক্সট্রা কভারে। কিছুক্ষণ পর হাসান নওয়াজ হন এলবিডাব্লিউ। এরপর জুনাইদ তুলে নেন মোহাম্মদ নওয়াজকেও। পরে লেগকাটারে মোহাম্মদ হারিসকেও বোল্ড করেছেন। তার পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ড ১৪৬ রানে নেন শাহীন। শেষ বলে রান বাড়াতে গিয়ে রান আউট হন হারিস রউফ। তাতে পড়ে নবম উইকেট।ভোরের আকাশ/মো.আ.