প্রথমবারের মতো আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত টেস্ট সিরিজে দারুণ পারফরম্যান্সের পর এপ্রিল মাসের সেরা খেলোয়াড়ের লড়াইয়ে মনোনীত হয়েছেন তিনি।মিরাজের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স। সোমবার আইসিসি এপ্রিল মাসের জন্য মনোনীত পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করে।সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে মিরাজ নেন ১০ উইকেট, যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার এক ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে ১০৪ রানের ইনিংস ও ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন তিনি। একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার মিরাজ, যা এর আগে করেছিলেন সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজী।নারী বিভাগের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস, স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ব্রাইস এবং পাকিস্তানের ফাতিমা সানা।আইসিসির ভোটিং একাডেমি (৯০%) ও সমর্থকদের ভোট (১০%) মিলিয়ে মাস সেরা নির্বাচিত হন। ভোটিং চলছে আইসিসির ওয়েবসাইটে।ভেরের আকাশ//হ.র
০৬ মে ২০২৫ ১০:৫৬ এএম
সাবেক বিসিবি পরিচালক ইসমাইল হায়দারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক ও আলোচিত ক্রীড়া সংগঠক ইসমাইল হায়দার মল্লিকের বিরুদ্ধে প্রায় ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে থাকা ইসমাইল হায়দার দীর্ঘদিন ধরে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে এসেছেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই ক্রীড়া সংগঠকের নাম জড়িয়েছে একাধিক অনিয়ম ও ক্লাব বাণিজ্য সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে।দুদক সূত্রে জানা গেছে, ইসমাইল হায়দারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান চলছিল। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কমিশন মামলার সিদ্ধান্ত নেয়।মামলার তদন্ত চলাকালে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ, পাশাপাশি অর্থের উৎস ও লেনদেনের বিষয়েও বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে দুদক।এদিকে, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং তার স্ত্রীকে ঘিরেও দুর্নীতির অনুসন্ধান চলছে। প্রায় ৩২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৮০০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধেও দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।দুদক কর্মকর্তারা জানান, পাপনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), স্টেডিয়াম নির্মাণ, আইসিসি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ, এবং বিদেশি কোচ নিয়োগে বড় অঙ্কের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়, যেখানে একাধিক অসঙ্গতির তথ্য পাওয়া গেছে।কমিশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।ভেরের আকাশ//হ.র