সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে আজও ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয় জনগণ। প্রায় দুই ঘন্টার অবরোধে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।রবিবার (৩ আগস্ট) সকাল দশটা থেকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বিসিক বাসষ্ট্যান্ড থেকে দিলরুবা বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।কর্মসূচিতে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয়রা তাদের বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ নয় বছর অতিবাহিত হলেও স্থায়ী ক্যাম্পাস পায়নি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ। ভাড়া ভবনে কোন রকমে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ড চললেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। নেই কোন আবাসিক হল, খেলার মাঠ। শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে ৫১৯ কোটি টাকা প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হলেও একনেকে ডিপিপি অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। অতি দ্রুত ডিপিপি অনুমোদন দিয়ে ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি দেওয়া হবে।উল্লেখ্য, একনেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদন ও কাজ শুরুর দাবিতে ২৭শে জুলাই থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয়রা।ভোরের আকাশ/জাআ
০৩ আগস্ট ২০২৫ ০৪:৪৫ পিএম
আইইউবিতে চালু হলো সর্বাধুনিক ওয়াইফাই ৭.০ প্রযুক্তি
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) ক্যাম্পাসে নতুন উচ্চগতির ও নিরাপদ ওয়াইফাই ৭.০ প্রযুক্তির পূর্ণাঙ্গ নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। পুরনো ওয়াইফাই ৫.০ প্রযুক্তির পরিবর্তে এই আধুনিক নেটওয়ার্ক ক্যাম্পাসে ইন্টারনেট ব্যবহারে গতিশীলতা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে।রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় আইইউবির ডিএমকে লেকচার গ্যালারিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই প্রযুক্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা।নতুন ওয়াইফাই ৭.০ সিস্টেমে ক্যাম্পাসজুড়ে ব্যাপক সংখ্যক অ্যাকসেস পয়েন্ট ও শক্তিশালী ব্যাকবোন সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। এতে একসঙ্গে ২৫ হাজারের বেশি ডিভাইস সংযুক্ত থাকতে পারবে, যেখানে পূর্বের নেটওয়ার্কে মাত্র কয়েকশ ডিভাইসের বেশি সেবা দেওয়া যেত না। এই নেটওয়ার্ক ‘ফিউচার রেডি’ হিসেবে পরিচিত, অর্থাৎ ভবিষ্যতে যে কোনো আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণে সক্ষম হবে আইইউবি ক্যাম্পাস।আইইউবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ডিরেক্টর অব অটোমেশন ড. মাহাদী হাসান জানান, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন আইওটি ডিভাইসের বাড়তি চাহিদা পূরণের জন্য এই অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এটি জিরো-ট্রাস্ট সিকিউরিটি, স্মার্ট লার্নিং এনভায়রনমেন্ট এবং বিওয়াইওডি সুবিধাসহ ভবিষ্যতে সহজ সম্প্রসারণের সুযোগ নিশ্চিত করবে।উপাচার্য অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, “দ্রুতগতির ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট শিক্ষার্থীদের জন্য অপরিহার্য। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি আজ পূরণ হলো, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।”বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দিদার এ হুসেইন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চাহিদা বুঝে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান এবং বলেন, “ধাপে ধাপে সব প্রয়োজন মেটানো হবে।”অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি তওহীদ সামাদ, রাশেদ চৌধুরী, আলতামাশ কবির, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ, ড. হোসনে আরা আলি, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড্যানিয়েল ডব্লিউ. লুন্ড এবং কোষাধ্যক্ষ খন্দকার মো. ইফতেখার হায়দার।ভোরের আকাশ//হ.র