কর্ণফুলীতে কোস্ট গার্ডের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ জব্দ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ভোরে কোস্ট গার্ড বেইস চট্টগ্রামের সদস্যরা ডাঙ্গারচর সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে।কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক দুপুরে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানার ডাঙ্গারচর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়।এ সময় ডাকাত দলের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ জব্দ করা হয়। তবে কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।তিনি বলেন, জব্দকৃত অস্ত্র ও গুলির বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং নদীপথকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে ভবিষ্যতেও কোস্ট গার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে।স্থানীয় সূত্র জানায়, কর্ণফুলী নদী ও চরাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে ডাকাত দলের সক্রিয় এলাকায় পরিণত হয়েছে। মাঝেমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার হলেও ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তাই স্থানীয়রা আরও ঘন ঘন অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছেন, যাতে নদীপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৮ আগস্ট ২০২৫ ০৪:৪৪ পিএম
মহেশখালীতে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক ১
কক্সবাজারের মহেশখালীতে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন মহেশখালী ও মহেশখালী থানা পুলিশের সমন্বয়ে ফকির জোম এলাকায় মোহাম্মদ শাহ ঘোনার সংলগ্ন একটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।অভিযানে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি দেশীয় অস্ত্র এবং ৭ রাউন্ড তাজা গুলিসহ ছানা উল্লাহ (৫৩) নামের একজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানা যায়।লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ আরও বলেন, “দেশের উপকূলীয় ও নদীতীরবর্তী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল পরিচালনা করছে। এর ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।”ভোরের আকাশ/জাআ
১৭ জুলাই ২০২৫ ০৬:১৮ পিএম
সমুদ্র অভিযানে সাহসিকতার জন্য আইএমও’র স্বীকৃতিস্বরূপ প্রশংসাপত্র পেল কোস্ট গার্ড
অভিযানে গৌরবময় অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের টাগ বোট ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর সদস্যদের ‘প্রশংসাপত্র (Letters of Commendation)’ প্রদান করেছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (IMO)।শনিবার (১২ জুলাই) সকালে এক বিবৃতিতে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, গত ৫ অক্টোবর রাতের বেলায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ নামক একটি তেলবাহী ট্যাংকারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক ও কার্যকর অগ্নিনির্বাপণ এবং সামুদ্রিক পরিবেশগত বিপর্যয় প্রতিরোধে ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ সাহসিকতা ও দক্ষতার অনন্য উদাহরণ স্থাপন করে।এ ঘটনায় জাহাজটিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ও দাহ্য পদার্থের আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যা সামুদ্রিক পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্যের জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। দুর্ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জরুরি উদ্ধার অভিযান শুরু করে, যেখানে বিসিজিটি প্রমত্ত ও এর দক্ষ সদস্যরা ঝুঁকি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।উক্ত অভিযানে জাহাজের মোট ৪৮ জন ক্রু-কে উদ্ধার করা হয়। চরম বৈরী আবহাওয়া, প্রবল স্রোত ও অগ্নিকাণ্ডের মাঝেও তারা তেল ছড়িয়ে পড়া রোধে ব্যারিয়ার স্থাপন এবং বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে দূষণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।এই দৃষ্টান্তমূলক ও সাহসিকতাপূর্ণ অভিযানের জন্য IMO কর্তৃপক্ষ বিসিজিটি প্রমত্ত ও এর ক্রুদের “Letters of Commendation” প্রদান করে। তারা এ অভিযানে প্রদর্শিত পেশাদারিত্ব, পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা এবং আন্তর্জাতিক নৌনিরাপত্তা নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ-কে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করেছে।বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার IMO-এর পক্ষ থেকে পাওয়া এ স্বীকৃতি দেশের জন্য এক গর্বের মাইলফলক। এটি শুধু বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের দক্ষতা ও সাহসিকতার স্বীকৃতি নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধির এক উজ্জ্বল প্রমাণ।লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ আরো জানান, “বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সর্বদা দেশের সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, বিপদগ্রস্তদের উদ্ধার, পরিবেশ রক্ষা ও দূষণ প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ভবিষ্যতেও বাহিনী আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।”ভোরের আকাশ/জাআ